Ajker Patrika

সরাইলে দ্বিতীয় দিনে আনন্দমুখর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৩৭
সরাইলে দ্বিতীয় দিনে আনন্দমুখর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

খোলার দ্বিতীয় দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে। প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। দ্বিতীয় দিনে এসে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে।

১৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২২ ফেব্রুয়ারি শুরুর ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে দুই সপ্তাহ পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তিনি। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সীমিত পরিসরে শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। এ সময়ের মধ্যে ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় ও সময় কমিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল বুধবার সকাল থেকে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক পাওয়া গেলে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মানতেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা নিয়েছে, তারাই শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে। বাকিদের অনলাইনে ক্লাস করতে বলা হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রায় শতভাগ উপস্থিত আছেন বলে জানায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, রুটিন অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে প্রতি শনিবার। সপ্তম শ্রেণির ক্লাস রোববার। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সোম ও মঙ্গলবার ক্লাস হবে। নবম শ্রেণির ক্লাস হবে বুধ ও বৃহস্পতিবার। দশম ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয় দিনই ক্লাস নেওয়া হবে।

 

অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পাঠদান করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান বলেন, ‘আমরা ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা দিয়েছি। মাধ্যমিক স্কুলের ১২ বছরের নিচের শতকরা ৫ ভাগ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে। শুধু তারাই অনলাইনে ক্লাস করবে। উপজেলার সব কটি স্কুল-কলেজে তামপাত্রা মাপার যন্ত্র কেনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরে স্কুলে আসতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আবেদন, শুনানি রোববার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত