Ajker Patrika

নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন, ক্ষুব্ধ নিম্ন আয়ের মানুষ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ০৯
নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন, ক্ষুব্ধ নিম্ন আয়ের মানুষ

টাঙ্গাইলে নিত্যপণ্যের বাজার অনেকটাই লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল, চিনি, পেঁয়াজ, মসলাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের। সেই সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এতে অধিকাংশ পণ্যই এখন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এর ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। পণ্যের দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

তাঁরা বলছেন, কোনো কারণ ছাড়াই প্রতিদিনই কোনো না কোনো জিনিসের দাম বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকার কারণে ধাপে ধাপে এমন দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

বুধবার টাঙ্গাইলের পার্কবাজার, ছয়আনী বাজার, বটতলা বাজার ঘুরে দেখা যায়—চাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজ, জিরাসহ সব ধরনের পণ্যের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বলে তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করছেন। দাম বাড়ার পেছনে তাঁদের কোনো হাত নেই। তাঁরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম না কমা পর্যন্ত এভাবেই বিক্রি করতে হবে।

পার্কবাজারের এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ব্রি-২৯ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি, ব্রি-২৮ চাল ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকা কেজি ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। একই অবস্থা তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন মসলার দামেও।

দামের বিষয়ে মুদি দোকানি নাজমুল বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা দরে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকায়। জিরার দাম গত সপ্তাহে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৫ কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, সেই একই পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে।

একই অবস্থা সবজির বাজারে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ফুলকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামও বেশি।

পার্কবাজারে কাগমারা এলাকার অটোরিকশাচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমাদের আয় তো বাড়েনি। তাহলে আমরা বাজার করব কীভাবে?’

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাছনিম বলেন, ‘কেউ যাতে বাড়তি দাম না নিতে পারে সে বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চলছে। যদি কেউ বাড়তি দাম নেয় তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত