Ajker Patrika

রমজানের চাঁদ দেখা ইবাদত

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪৬
রমজানের চাঁদ দেখা ইবাদত

চাঁদ দেখার মাধ্যমে হিজরি সনের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া। কারণ ইসলামের অনেক ইবাদত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। দুই ঈদ, রমজানের রোজা, নফল রোজা, কোরবানি, হজ, আশুরা, শবে বরাত, শবে কদরসহ ইসলামের অসংখ্য আচার-অনুষ্ঠান চান্দ্রমাসের হিসেবেই পালিত হয়। মহানবী (সা.) বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই প্রতি মাসে নতুন চাঁদ দেখার আয়োজন করতেন। তাই চাঁদ দেখে হিজরি সনের হিসাব রাখা সওয়াবের কাজ।

প্রতি মাসের ২৯ বা ৩০ তারিখ নতুন চাঁদ উঠলে মহানবী (সা.) চমৎকার একটি দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-ইউমনি ওয়াল-ইমানি ওয়াস-সালামাতি ওয়াল-ইসলাম, রাব্বি ওয়া-রাব্বুকা আল্লাহু’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, আমাদের সৌভাগ্য, বিশ্বাস, নিরাপত্তা ও আনুগত্যের সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে চাঁদটি উদিত করুন। আল্লাহ আমার ও তোমার পালনকর্তা।’ (তিরমিজি)

রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। রমজানে মাসব্যাপী রোজা পালন করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। এ মহান ইবাদতও চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। তাই কখন থেকে রোজা শুরু হবে, তা জানতে শাবান মাসের শেষে চাঁদ দেখা বড় সওয়াবের কাজ। রমজানের চাঁদ দেখার গুরুত্ব বর্ণনা করে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো। যদি কোনো কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় এবং চাঁদ দেখা না যায়, তবে তোমরা শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করো।’ (বুখারি)

পৃথিবীর যে অঞ্চলে চাঁদ দেখা যাবে, সে অঞ্চলে রোজা আরম্ভ হবে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘প্রতিটি শহরের বাসিন্দাদের রোজা পালনের ভিত্তি হলো সেই শহরে চাঁদ দৃশ্যমান হওয়া। মহানবী (সা.) আমাদের এমনটিই শেখান।’ (শরহু মুশকিলিল আসার)

আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত