Ajker Patrika

মন্দিরে হামলার তিন আসামি চেয়ারম্যান প্রার্থী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৫৪
মন্দিরে হামলার তিন আসামি চেয়ারম্যান প্রার্থী

নাসিরনগরে গৌর মন্দির মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ৩ আসামি এবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁরা নিজ নিজ ইউনিয়নে প্রচারণার জন্য জোরে শোরে মাঠেও নেমেছেন। তবে এই তিন প্রার্থী বিজয়ী হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শঙ্কা বাড়বে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদীরা।

অভিযোগপত্রভুক্ত ৩ আসামি হলেন নাসিরনগর সদর ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক শেখ মো. আব্দুল আহাদ, হরিপুর ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফারুক মিয়া ও গোর্কণ ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. এ হান্নান।

তবে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক শেখ মো. আব্দুল আহাদ আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। অন্যজন হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফারুক মিয়া নির্বাচন করছেন আনারস প্রতীকে। তাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল তাঁদের মনোনয়ন দেয়নি। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. এ হান্নান নির্বাচন করছেন। তার প্রতীক হল চশমা।

জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেসবুকে গুজব রটিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরসহ শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় নাসিরনগর গৌর মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে নাসিরনগর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ২২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে ২২৮ আসামির মধ্যে এই তিন প্রার্থীর নামও রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা ৩ জন জামিনে রয়েছেন। এ ঘটনায় ৮টি মামলা মধ্যে মাত্র একটি মামলা অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১২৪ জনের অধিক।

নাসিরনগর গৌর মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বলেন, এই তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আমার মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তাঁরা যদি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয় তাহলে হিন্দু কমিউনিটির মধ্যে শঙ্কা থাকবে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, একটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭টি মামলার তদন্তকাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত