সম্পাদকীয়
লোকটার নিশ্চয়ই মাথা খারাপ হয়নি। যা হয়েছে, তা হলো লোভ। তাই ১৬টা পোশাক পরে চলে এসেছেন ঢাকায়। সেই পোশাকের পরতে পরতে সোনার গুঁড়ো। মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ৪ কোটির বেশি টাকার সোনা শরীরে জড়িয়ে শারজা থেকে উড়ে এসেছিলেন ঢাকায়।
হয়রত শাহজালাল বিমানবন্দরে কত ধরনের অপরাধই না সংঘটিত হয়। সোনা চোরাচালান তারই একটি। কিন্তু সব অপরাধী ধরা পড়ে কি না, তা আমাদের জানা নেই। অবৈধ অনেক কিছুই যাত্রীরা নিয়ে আসে, কিন্তু সব সময় তা হয়তো ধরা পড়ে না। আগাম সংবাদ থাকলে সেই সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা তৎপর হয়ে ওঠেন। আর যদি গোপন সংবাদ না থাকে? তাহলে কী ঘটে, সেটা আমাদের মতো আমজনতার জানার কথা নয়।
মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ধরা পড়েছেন বলে খবর হয়েছেন। ধরা না পড়লে এই ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিশাল চোরাচালান ‘জায়েজ’ হয়ে যেত। শহীদ মিয়া কার হয়ে কাজ করছিলেন, এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, এসব নিশ্চয়ই জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে কৌতূহল হয়: কার বুদ্ধিতে তিনি ১৬টা পোশাক পরে প্লেন ভ্রমণ করলেন? এ রকম পোশাকের ঘনঘটাই তো তাঁকে শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট! টাকার লোভটা কি এতই বড় ছিল যে তিনি এ বিষয়গুলোকে পাত্তাই দেননি!
সোনার চোরাচালান শুধু আন্তর্জাতিক রুটেই হয় না, তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে মার্চ মাসে। একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার গাড়িচালক ৪০টি সোনার বারসহ ধরা পড়েছিলেন সে সময়। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন তিনি। তারপর সোনার বারগুলো হস্তান্তর করেন অন্য আরেকজনকে। একটি সিএনজিতে করে তাঁরা বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় এপিবিএনের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন। যাঁর কাছে গাড়ির চালক এই ৪০ সোনার বার হস্তান্তর করেছিলেন, তিনি স্বীকার করেছিলেন, এই চালান জায়গামতো পৌঁছে দিলে তিনি ১০ হাজার টাকা পেতেন। মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য এত বড় ঝুঁকি নিলেন তিনি!
সোনা কিংবা মাদক চোরাচালান কিন্তু আমাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য কোনো নতুন খবর নয়। মাঝে মাঝেই পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিমানবন্দরে যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে, তাদের সততা ও বিচক্ষণতা এই চোরাচালান ঠেকাতে পারে। না জানার কোনো কারণ নেই, সোনা বা মাদক চোরাকারবারিরা অনেক শক্তিশালী হয়। তারা সব সময়ই লোভের জাল ছড়িয়ে রাখে। মোটা টাকার লোভ সামলানো কঠিন কাজ। তাই কোনো কোনো সংস্থার সদস্যরা এই প্রলোভনে যদি পড়েন, তাহলে সবকিছুই ‘ম্যানেজ’ করে নেওয়া সহজ ব্যাপার। তখন কিন্তু সোনা বা মাদক চোরাচালান ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
আমরা চাইব, আমাদের বিমানবন্দরে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা তাঁদের পেশার মর্যাদা রক্ষা করবেন। প্রলোভনে পড়ে সততা বিকিয়ে দেবেন না। আমাদের এই চাওয়া খুব বড় কিছু নয়।
লোকটার নিশ্চয়ই মাথা খারাপ হয়নি। যা হয়েছে, তা হলো লোভ। তাই ১৬টা পোশাক পরে চলে এসেছেন ঢাকায়। সেই পোশাকের পরতে পরতে সোনার গুঁড়ো। মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ৪ কোটির বেশি টাকার সোনা শরীরে জড়িয়ে শারজা থেকে উড়ে এসেছিলেন ঢাকায়।
হয়রত শাহজালাল বিমানবন্দরে কত ধরনের অপরাধই না সংঘটিত হয়। সোনা চোরাচালান তারই একটি। কিন্তু সব অপরাধী ধরা পড়ে কি না, তা আমাদের জানা নেই। অবৈধ অনেক কিছুই যাত্রীরা নিয়ে আসে, কিন্তু সব সময় তা হয়তো ধরা পড়ে না। আগাম সংবাদ থাকলে সেই সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা তৎপর হয়ে ওঠেন। আর যদি গোপন সংবাদ না থাকে? তাহলে কী ঘটে, সেটা আমাদের মতো আমজনতার জানার কথা নয়।
মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ধরা পড়েছেন বলে খবর হয়েছেন। ধরা না পড়লে এই ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিশাল চোরাচালান ‘জায়েজ’ হয়ে যেত। শহীদ মিয়া কার হয়ে কাজ করছিলেন, এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, এসব নিশ্চয়ই জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে কৌতূহল হয়: কার বুদ্ধিতে তিনি ১৬টা পোশাক পরে প্লেন ভ্রমণ করলেন? এ রকম পোশাকের ঘনঘটাই তো তাঁকে শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট! টাকার লোভটা কি এতই বড় ছিল যে তিনি এ বিষয়গুলোকে পাত্তাই দেননি!
সোনার চোরাচালান শুধু আন্তর্জাতিক রুটেই হয় না, তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে মার্চ মাসে। একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার গাড়িচালক ৪০টি সোনার বারসহ ধরা পড়েছিলেন সে সময়। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন তিনি। তারপর সোনার বারগুলো হস্তান্তর করেন অন্য আরেকজনকে। একটি সিএনজিতে করে তাঁরা বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় এপিবিএনের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন। যাঁর কাছে গাড়ির চালক এই ৪০ সোনার বার হস্তান্তর করেছিলেন, তিনি স্বীকার করেছিলেন, এই চালান জায়গামতো পৌঁছে দিলে তিনি ১০ হাজার টাকা পেতেন। মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য এত বড় ঝুঁকি নিলেন তিনি!
সোনা কিংবা মাদক চোরাচালান কিন্তু আমাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য কোনো নতুন খবর নয়। মাঝে মাঝেই পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিমানবন্দরে যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে, তাদের সততা ও বিচক্ষণতা এই চোরাচালান ঠেকাতে পারে। না জানার কোনো কারণ নেই, সোনা বা মাদক চোরাকারবারিরা অনেক শক্তিশালী হয়। তারা সব সময়ই লোভের জাল ছড়িয়ে রাখে। মোটা টাকার লোভ সামলানো কঠিন কাজ। তাই কোনো কোনো সংস্থার সদস্যরা এই প্রলোভনে যদি পড়েন, তাহলে সবকিছুই ‘ম্যানেজ’ করে নেওয়া সহজ ব্যাপার। তখন কিন্তু সোনা বা মাদক চোরাচালান ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
আমরা চাইব, আমাদের বিমানবন্দরে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা তাঁদের পেশার মর্যাদা রক্ষা করবেন। প্রলোভনে পড়ে সততা বিকিয়ে দেবেন না। আমাদের এই চাওয়া খুব বড় কিছু নয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫