Ajker Patrika

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০: ৪১
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বাসিন্দারা। দিন ও রাত মিলিয়ে আনুমানিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ঝড়-বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ করে দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ সময় বিদ্যুতের দেখা মিলে না। প্রায় এক মাস ধরে এ অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী ও আবাসিক প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ীতে বাণিজ্যিক ও আবাসিকসহ ১১ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এতে উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছয় মেগাওয়াট। দুটি ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে চারটি ফিডারে ১১ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পবিত্র সাহা বলল, ‘স্কুল খুলে গেছে। আমাদের পড়াশোনার চাপ বেড়ে গেছে। দিনে তো বিদ্যুৎ থাকেই না। রাতে পড়াশোনার সময়টাতেও লোডশেডিং হয়।’

শহরের উত্তর বাজার এলাকার কম্পিউটার ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান তুহিন (৩০) বলেন, ‘কয়েক মিনিট পর পরই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার কখনো কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ থাকে না। কম্পিউটারের কাজ করি, ফটোকপি মেশিন চালাই। এগুলোতে বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়। লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’

গৃহিণী আফসানা মিমি (২৪) বলেন, ‘সরকার তো বলে দেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাহলে এত লোডশেডিং কেন হয়। ফ্রিজে রাখা খাবারগুলোও নষ্ট হয়ে যায়। ছোট বাচ্চাটা গরমে ঘুমাতে পারে না। সারা রাত বাতাস করা লাগে। লোডশেডিংয়ে আমাদের জীবন এখন অতিষ্ঠ।’

আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) সুশান্ত পাল বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগে বিদ্যুতের এই সমস্যা চলছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এর ফলে কিছুটা লোডশেডিং বেড়েছে। সমস্যা মিটে গেলে চাহিদা পূরণ করতে কোনো সমস্যা হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত