Ajker Patrika

বোরো ধান ও আম চাষিরা সার সংকটে

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২২, ২০: ১১
বোরো ধান ও আম চাষিরা সার সংকটে

চারঘাটের বিভিন্ন বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার। দোকানগুলোতে সামান্য যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তাতে বোরো ধান ও আমচাষিরা সারের সংকটে ভুগছেন। যদিও কৃষি অধিদপ্তর সারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হলেও ডিলাররা কোনো রসিদ দিচ্ছেন না। কেউ কেউ রসিদ দিলেও তাতে সরকারনির্ধারিত দাম দেখাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে সার বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। ডিলারদের কাছে একরকম জিম্মি হয়ে পড়েছেন তাঁরা।

তবে এ বিষয়ে ডিলারদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণে বাজারে সারের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সরকারনির্ধারিত দামেই সার বিক্রি করছেন তাঁরা।

চারঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি—এই তিন মৌসুমে উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৩১ হাজার ৫৯১ হেক্টর। এই জমি আবাদ করতে ৩ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন টিএসপি, ৬ হাজার ৪০৯ মেট্রিক টন এমওপি, ৭ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ১৪ হাজার ১৫৮ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। সারের চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণমতো বরাদ্দ রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানায়, বরাদ্দ করা সার বিসিআইসির ৭ জন এবং বিএডিসির ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে উপজেলার কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার প্রতি বস্তা (৫০ কেজির বস্তা) টিএসপি সারের খুচরা মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা (২২ টাকা প্রতি কেজি) ও পটাশ প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা (১৫ টাকা কেজি) নির্ধারণ করে দিয়েছে।

জানা যায়, রবি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধান, গম, আলু, ভুট্টা, মসুর, পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ হয়। এ ছাড়া উপজেলায় অসংখ্য আমবাগান রয়েছে। এসব ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে জমিতে কৃষকেরা টিএসপি ও পটাশ সার ব্যবহার করেন।

উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা সদরের এক ডিলারের দোকানে টিএসপি ও পটাশ কিনতে গেলে ডিলার তাঁকে টিএসপি সার নেই বলে জানিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলার পর ডিলার তাঁকে দুই বস্তা সার দেন। প্রতি বস্তা টিএসপি ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং এমওপি ৯৫০ টাকা দাম নেয়। ডিলার কোনো রসিদ দেননি।

উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘বোরো ধানে সেচ দেব, সার লাগবে। এ জন্য নন্দনগাছি বাজারের একজন খুচরা সার বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতি বস্তা টিএসপি সার ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনলাম।’

এ বিষয়ে উপজেলার বিসিআইসি সারের ডিলার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘টিএসপি ও পটাশ সারের চাহিদা বেশি। অনেক সময় পটাশ আমাদের কাছেও থাকছে না। সার সরবরাহ থাকলে সরকারনির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছে কি না জানা নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খন্দকার ফিরোজ মাহমুদ বলেন, উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। বেশি মূল্য নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী সরকারনির্ধারিত মূল্যে চেয়ে বেশি টাকা নিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত