Ajker Patrika

সাত বিষয়ে অনার্স চালু পেছাচ্ছেই

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ১০: ৪৭
সাত বিষয়ে অনার্স চালু পেছাচ্ছেই

চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজে সাতটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) শাখা চালুর অনুমোদন রয়েছে। তবে এ সব বিষয়ে শিক্ষক নেই। এ ছাড়া অবকাঠামো ও ভবন সংকট রয়েছে। এ সব কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা পূরণ হয়নি। তাই কলেজটিতে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু পেছাচ্ছেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে চৌদ্দগ্রাম এইচ জে পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) শাখা চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ২০০০ সালের ৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে একটি চিঠির মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। একই বছরের ১২ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও কলেজ কর্তৃপক্ষকে স্নাতক (সম্মান) কোর্স প্রবর্তন ও উন্নয়ন প্রসঙ্গে চিঠি দেওয়া হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কলেজ থেকে এই চিঠির কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরী। তিনি ওই চিঠির জবাব দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সরকারি কলেজ শাখার ৪-এর তৎকালীন উপ-সচিব মুর্শিদা শারমিনের সই করা এক চিঠিতে কলেজে স্নাতক (সম্মান) শাখা খোলার বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। তৎকালীন অধ্যক্ষ মালেক চৌধুরী এই চিঠির জবাব দেন। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সরকারি কলেজ শাখা-৪-এর উপসচিব মুর্শিদা শারমিন এক চিঠির মাধ্যমে কলেজে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনাসহ সাতটি বিষয়ে স্নাতকের (সম্মান) পাঠদানের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ৭ মাস পরই অধ্যক্ষ আবদুল মালেক বদলি হয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন একই কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ আলী।

কলেজের সাবেক ভিপি ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন মজুমদার বলেন, ‘কলেজটিতে আজও অনার্স কোর্স চালু না হওয়া দুঃখজনক।’

তৎকালীন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমিও চাই কলেজটিতে অনার্স চালু হোক। সাতটি বিষয়ে অনুমোদন হয়ে রয়েছে। এ সব বিষয়ে আমাদের কাছে শিক্ষক নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা পূরণ করতে না পারায় অনার্স চালু করা যাচ্ছে না।’

বর্তমান অধ্যক্ষ শিব প্রসাদ দাস গুপ্ত বলেন, ‘দুর্বল অবকাঠামো ও ভবন সংকট রয়েছে কলেজটিতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত