Ajker Patrika

বেনজেমা-মানেদের সৌজন্যে ফুটবলেও ঈদ আনন্দ

হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
আপডেট : ০১ মে ২০২২, ১১: ৪১
বেনজেমা-মানেদের সৌজন্যে ফুটবলেও ঈদ আনন্দ

২০১৯ সালে করা এক গবেষণা বলছে, মোহামেদ সালাহ লিভারপুলে আসার পর থেকে যুক্তরাজ্যের মার্সিসাইড অঞ্চলে মুসলিমবিরোধী কার্যকলাপ ও অপরাধ কমেছে ১৮.৯ শতাংশ। ২০১৭ সালের জুনে এএস রোমা থেকে লিভারপুলে আসেন সালাহ। এটি শুধু একটি তথ্য নয়। এই তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে আরও অনেক কিছু।

দেশে দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংঘাত যখন ক্রমেই বেড়ে চলছিল তখন ফুটবল মাঠে দাপটের সঙ্গে সম্প্রীতি ও ঐক্যের ডাকও নিয়ে এসেছেন ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের মুসলিম খেলোয়াড়েরা। যেন ফুটবলের মঞ্চে তাঁরা নিয়ে এসেছেন ঈদের আনন্দও। আর এবারও ঈদ আনন্দ ও ফুটবল রোমাঞ্চ মিলছে এক বিন্দুতে।

সাধারণত খেলা না থাকলে অনেক খেলোয়াড় নিজ এলাকায় গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর খেলা থাকলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সতীর্থদের সঙ্গেই ঈদের আনন্দে মাতেন মুসলিম ফুটবলারেরা। এবারের ঈদও উদ্‌যাপিত হবে লিগ ফুটবল ও ইউরোপীয় ফুটবল চলাকালে। স্বাভাবিকভাবেই ঈদ উদ্‌যাপন করতে হবে সতীর্থ ও স্টাফদের সঙ্গে। তবে ঈদের আনন্দ যে একটুও কমবে না, সেটি পরিষ্কার।

আফ্রিকান কিংবা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলিম খেলোয়াড়েরা বেশ আগে থেকেই ইউরোপীয় ফুটবলে খেলে আসছেন। তবে তাঁদের প্রভাব এই সময়ের মতো অতীতে খুব কমই দেখা গেছে। এই তো কদিন আগে ইংলিশ ক্লাব ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স জানিয়েছে, এবার তাদের মাঠেই ঈদের নামাজ পড়া হবে। এই প্রথম কোনো ইংলিশ ক্লাব এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে। ব্ল্যাকবার্নের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে সরাসরি মুসলিম ফুটবলারদের যোগ হয়তো নেই। তবে এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে যে সাম্প্রতিক মুসলিম খেলোয়াড়দের উত্থানের প্রচ্ছন্ন একটা প্রভাব আছে, সে বলাই বাহুল্য।

পুরো রমজান মাসে আলোচনায় ছিলেন বেনজেমা-সালাহরা। সারা দিন রোজা রেখে ইফতারের পর হ্যাটট্রিক করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন রিয়াল তারকা করিম বেনজেমা। কোনো কোনো লিগে খেলার মাঝেই ইফতারের বিরতি দিতে দেখা গেছে। এই উদ্যোগগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

সম্প্রতি রোজা রাখার সুবিধার্থে সালাহ-মানেদের অনুশীলনের সূচি বদলানোর খবরও সামনে এসেছে। রোজায় নিজেদের সুবিধামতো অনুশীলন করেছেন জানিয়ে লিভারপুল তারকা মানে বলেন, ‘এটা একেবারেই সহজ নয়। রমজানে রোজা ও অনুশীলন এক সঙ্গে করা অনেক কঠিন। রমজানের আগে আমরা তাই অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তাদের বলেছি, সকালে অনুশীলন করা যায় কি না। এটা আমাদের জন্য সহজ। যদি আপনি সকালে অনুশীলন করেন তবে পরে বিশ্রাম ও বাসায় যাওয়ার সময় পাওয়া যায়। বেলা ২ বা ৩টার দিকে অনুশীলন শুরু করলে কঠিন হয়ে যায়। তখন কোচ তাতে সম্মতি দেন। আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

সতীর্থ ও অধীনদের ধর্মীয় বিধি পালনে এই নমনীয়তা ও সহযোগিতা অনেক বার্তা বহন করে। যা একই সঙ্গে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বাণীও ছড়িয়ে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি ঈদে ক্লাবগুলো নিয়ম করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মুসলিম সমর্থকদের। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত