Ajker Patrika

লোনাপানিতে সেতু কঙ্কালসার

বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, ১৪: ৪৭
লোনাপানিতে সেতু কঙ্কালসার

পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের কুচিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি খসে পড়ছে। নদীর লবণপানির কারণেই মূলত সেতুটির প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং কঙ্কালসারে পরিণত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়েই প্রতিদিন চার গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করছে।

যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের কুচিয়া নদীর দুই পাশে বাস করে টেংরামারী, উত্তর কাইনমুখী, দক্ষিণ কাইনমুখী ও দিঘাসহ কয়েক গ্রামের মানুষ। কুচিয়া নদীর ওপর সেতুটি সংস্কারের অভাবে খুঁটিতে ফাটল ধরায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া ব্রিজের দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে। ফলে খোলা ব্রিজের ওপর দিয়ে মানুষ ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উত্তর কাইনমুখী গ্রামের কিশোর মণ্ডল বলেন, আমাদের সোলাদানা ইউনিয়নটি দ্বীপবেষ্টিত। সে কারণে এ ইউনিয়নের মধ্যে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় খাল ও নদী। প্রায় ৩৫ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ সানা। নদীর লবণপানির কারণে সেতুটির প্লাস্টারে ফাটল ধরেছে। দিঘা গ্রামের কল্লোল মণ্ডল ও প্রণব মণ্ডল বলেন, ‘দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আমরা এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করছি। আমাদের ছোট ছেলে-মেয়েরা এ সেতু দিয়ে পার হয়ে স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা করে।’ দক্ষিণ কাইনমুখীর বিজন মণ্ডল জানান, এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে মালবাহী কোনো যানবাহন নিয়ে যাওয়া যায় না। মালামাল বাড়িতে নিতে হলে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে নিতে হয়।

টেংরামারী গ্রামের প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, যেকোনো সময় সেতুটি নদীর মধ্যে ধসে পড়তে পারে। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর সব খুঁটিতে ফাটল ধরে রড ও প্লাস্টার খসে পড়ছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি। সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান থাকার সময় নতুন সেতুর জন্য কাগজ তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু এখনো পাস হয়নি।’

সোলাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী বলেন, ‘সেতু দিয়ে ৪টি গ্রামসহ উপজেলার হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর পাশে নতুন আরেকটি নির্মাণের বিষয়টি ইউনিয়নবাসীর দাবি। এ নিয়ে আগামী উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা করব।’

উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক কয়েকবার সেতুটির জন্য উপজেলা সমন্বয় সভায় তুলেছেন। পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সেতুটি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সেতুটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেতুটি খুব তাড়াতাড়ি করা হবে।

এলাকাবাসী সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত