Ajker Patrika

ভয়ে ভয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত

লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর প্রতিনিধি
ভয়ে ভয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব জামিরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তার এক পাশে খাল, অন্য পাশে পুকুর। গাইড ওয়াল না থাকায় কয়েক গত বছর রাস্তাটির দুই পাশ ভাঙতে ভাঙতে একেবারে সরু হয়ে গেছে।

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সরু এ রাস্তার দুই পাশে জমে থাকবে পানি। এতে ঝুঁকির মুখে পড়বে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। 
বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি মেরামতের জন্য খাল এবং পুকুরের দুই পাড়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দেড় বছর আগে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব জামিরতলী গ্রামে ১৯৩০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৪০০ ফুট দূরে বিদ্যালয়ের অবস্থান। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য যে রাস্তা আছে, তাঁর পূর্ব পাশে ওয়াপদা খাল এবং পশ্চিম পাশে একটি পুকুর। রাস্তাটি খাল এবং পুকুরে ভাঙতে ভাঙতে একেবারে সরু হয়ে গেছে। এতে প্রাথমিকের শিশুশিক্ষার্থীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে তারা কোনোমতে সেখান দিয়ে যাতায়াত করছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৪ জন। এদের মধ্যে ৯০ ভাগ শিশু এ রাস্তা ব্যবহার করে। বর্ষাকালে রাস্তার দুই পাশেই পানিতে টইটম্বুর। এদের অনেকেই সাঁতার জানে না। কখন শিশুরা দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে, এ নিয়ে আমরা খুব আতঙ্কে থাকি। এলাকার অনেক অভিভাবক শুধু রাস্তার কারণে এ বিদ্যালয়ে তাঁদের সন্তানকে ভর্তি করাতে চায় না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসতে আমাদের ভয় লাগে। বর্ষার দিনে দুই পাশেই পানি থাকে। পা পিছলে পানিতে পড়ে যেতে পারি।’ 
স্থানীয় বাসিন্দা নুর হোসেন ও ফারুক হোসেন বলেন, ‘কয়েক বছর থেকে রাস্তাটির অবস্থা এমন জরাজীর্ণ। প্রশাসনের কারও নজরে পড়ে না। কত দিকে কত কাজ হয়। ব্যক্তিস্বার্থেও সরকারি বরাদ্দ আসে। আর সরকারি এ বিদ্যালয়ের জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই।’ 

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের রাস্তার সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা পরিষদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু দেড় বছরেও কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। আমরা চাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দিয়ে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করার। এতে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি ছাড়াই বিদ্যালয়ে আসতে পারবে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘রাস্তাটির কাজে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া সম্ভব নয়। এ কাজে বড় বাজেটের দরকার। জেলা বা উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দিলে রাস্তার সমস্যা সমাধান করা যায়।’

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম রাস্তাটির বেহালের কথা জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ে যে ফান্ড দেওয়া হয়, তাতে রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব নয়। জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন যেন রাস্তাটির দিকে নজর দেয়, সে জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অতি দ্রুত একটা বরাদ্দ দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত