Ajker Patrika

বেষ্টনী হয়নি, শিক্ষার্থীদের পারাপারে জীবনের ঝুঁকি

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১৩: ২৭
বেষ্টনী হয়নি, শিক্ষার্থীদের পারাপারে জীবনের ঝুঁকি

সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান শুরু হওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীরা আগের মতো ঝুঁকি নিয়েই শ্রেণিকক্ষে আসছে। তিন ছাত্রী ট্রেনে কাটা পড়ে নিহতের পর বিদ্যালয় ঘেঁষা রেল লাইনে বেষ্টনী, পদচারী সেতুসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয় জোরেশোরে আলোচনায় এলেও, তা যেন ঝিমিয়ে গেছে। এই অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীদের রেল লাইন ও মহাসড়ক পারাপারে ঝুঁকি থেকেই গেল।

এ বিষয়ে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘বিদ্যালয়ে বেষ্টনী দিয়ে তো ঝুঁকি কমানো যাবে না। আমাদের প্রতিষ্ঠানে বেষ্টনী দিলেও শিক্ষার্থীদের এই রেলপথ অতিক্রম করেই প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।’

সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের অন্যতম ব্যস্ততম স্থান বিজয়পুর বাজার। এখান দিয়ে গেছে কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। এর পশ্চিম পাশে বিজয়পুরপ্রাথমিক বিদ্যালয়, বিজয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আরও পাঁচটি বিদ্যালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই শিশু। তারা প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে রেল ও সড়ক পথ পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসছে।

বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো একটি ব্যবস্থা করে দিয়ে যাবে। পদচারী সেতু, আন্ডারপাস কিংবা নিরাপত্তা বেষ্টনী কোনো কিছু তৈরির বিষয়েই সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকল।’

বিজয়পুর মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখশেদ হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। বিজয়পুর, বারপাড়া, দূর্গাপুরসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় বাধ্য হয়ে দূরের এসব প্রতিষ্ঠানে আসে শিক্ষার্থীরা।’

বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম আহম্মেদ বলেন, ‘বিজয়পুর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে একটি উড়াল সেতু নির্মাণ ও রেল পথে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়ার দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। কোনো একটি দুর্ঘটনা হলে এ দাবি সোচ্চার হয়, পরে আবার ঝিমিয়ে পড়ে। এই দাবির বাস্তবায়ন চাই।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘রেল পথে দুর্ঘটনায় তিন শিশু শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁদের প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির বিষয়টি আমরা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠাব।’

গত বুধবার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুরে ট্রেনে কাটা পড়ে বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মিম (১১), তাসফিয়া আক্তার (১২) ও লিমা আক্তার (১২) মারা যায়। তারা সবাই বারপাড়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত