তানিম আহমেদ, ঢাকা
টানা তিন নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু আসনে শরিকদের ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেসব আসনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়েছিল জোটসঙ্গীরা। দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তি না বাড়ায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শরিকদের চাওয়া অনুযায়ী আসনে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। প্রধান দলের এই অনড় অবস্থানে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে জোটসঙ্গীদের। তবে তারা এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলছে না।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু আমাদের এক ধরনের কথা বলছেন; অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সকালে-বিকেলে আরেক ধরনের কথা বলছেন, এটা তো আমরা বুঝতে পারছি না।’
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জোট শরিকেরা অন্যের ওপর ভর করে নির্বাচিত হলেও নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করেনি। আবার তাদের ছাড় দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সংগঠন গড়ে উঠছে না। এমন পরিস্থিতিতে গত তিনবারের মতো এবারও জোটের নেতাদের নৌকায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনীহা ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি শেখ হাসিনার।
গত ২৬ নভেম্বর ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে শরিক জাসদের সভাপতি হাসানুল হক
ইনুর (কুষ্টিয়া-২) ও জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের (নারায়ণগঞ্জ-৫) আসনে প্রার্থী দেয়নি দলটি। শরিকদের বাকি সাতটি আসনে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ; যা নিয়ে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল জোটের মধ্যে।
৪ ডিসেম্বর শরিকদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় জোটগত এবং এককভাবে নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ।
আর ছাড় দেওয়া আসনে শরিকদের প্রার্থীরা নৌকায় নির্বাচন করবেন। আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করায় জন্য জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে তিন মেয়াদেও শরিকদের সংগঠন শক্তিশালী না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
জোটের এক নেতা বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে যা বুঝতে পারছি, আমরা আসন বেশি চাইলেও আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে না। চার দলের চার নেতার আসন নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ওই সব আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে তারা নির্বাচন থেকে সরাবে না। এতে ছাড় দিলেও ভোটের বৈতরণি পার হতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।’
৪ ডিসেম্বরের পর একাধিক বৈঠক হলেও আসন ভাগাভাগি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আওয়ামী লীগ বলছে, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেই ছাড় দেওয়া আসনের তালিকা শরিকদের দেবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলতে বদ্ধপরিকর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। ফলে নানা রকম পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। আর সব সময়ই সব চাওয়া পূরণ করা সম্ভব হয় না।’
তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল, তাদের অনেক সমীকরণ থাকতে পারে। তবে এটা পরিষ্কার, জোট একটাই হবে, সেটা হলো ১৪ দলীয় জোট, আর কোনো জোট হবে না। ছাড় দেওয়া আসনে আমরা নৌকায় নির্বাচন করব। সমন্বয়টা তাদের ব্যাপার।’
টানা তিন নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু আসনে শরিকদের ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেসব আসনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়েছিল জোটসঙ্গীরা। দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তি না বাড়ায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শরিকদের চাওয়া অনুযায়ী আসনে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। প্রধান দলের এই অনড় অবস্থানে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে জোটসঙ্গীদের। তবে তারা এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলছে না।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু আমাদের এক ধরনের কথা বলছেন; অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সকালে-বিকেলে আরেক ধরনের কথা বলছেন, এটা তো আমরা বুঝতে পারছি না।’
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জোট শরিকেরা অন্যের ওপর ভর করে নির্বাচিত হলেও নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করেনি। আবার তাদের ছাড় দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সংগঠন গড়ে উঠছে না। এমন পরিস্থিতিতে গত তিনবারের মতো এবারও জোটের নেতাদের নৌকায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনীহা ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি শেখ হাসিনার।
গত ২৬ নভেম্বর ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে শরিক জাসদের সভাপতি হাসানুল হক
ইনুর (কুষ্টিয়া-২) ও জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের (নারায়ণগঞ্জ-৫) আসনে প্রার্থী দেয়নি দলটি। শরিকদের বাকি সাতটি আসনে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ; যা নিয়ে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল জোটের মধ্যে।
৪ ডিসেম্বর শরিকদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় জোটগত এবং এককভাবে নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ।
আর ছাড় দেওয়া আসনে শরিকদের প্রার্থীরা নৌকায় নির্বাচন করবেন। আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করায় জন্য জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে তিন মেয়াদেও শরিকদের সংগঠন শক্তিশালী না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
জোটের এক নেতা বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে যা বুঝতে পারছি, আমরা আসন বেশি চাইলেও আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে না। চার দলের চার নেতার আসন নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ওই সব আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে তারা নির্বাচন থেকে সরাবে না। এতে ছাড় দিলেও ভোটের বৈতরণি পার হতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।’
৪ ডিসেম্বরের পর একাধিক বৈঠক হলেও আসন ভাগাভাগি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আওয়ামী লীগ বলছে, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেই ছাড় দেওয়া আসনের তালিকা শরিকদের দেবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলতে বদ্ধপরিকর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। ফলে নানা রকম পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। আর সব সময়ই সব চাওয়া পূরণ করা সম্ভব হয় না।’
তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল, তাদের অনেক সমীকরণ থাকতে পারে। তবে এটা পরিষ্কার, জোট একটাই হবে, সেটা হলো ১৪ দলীয় জোট, আর কোনো জোট হবে না। ছাড় দেওয়া আসনে আমরা নৌকায় নির্বাচন করব। সমন্বয়টা তাদের ব্যাপার।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫