পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিঙ্গা গ্রামের জনবহুল এলাকায় গড়ে উঠেছে সিসা তৈরির কারখানা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এই কারখানাটি এখন পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে গৃহপালিত পশু। স্থানীয় এক প্রভাবশালী কারখানাটির মালিক হওয়ায় প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, গোসিংগা গ্রামের পাকা সড়কের পাশেই সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি ৫০ শতক জায়গা ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলেছেন সিসা কারখানা। কারখানার চারপাশে টিনের বেড়া ও পলিথিন দিয়ে প্রাচীর তৈরি করেছেন। প্রাচীরের ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল, পুরোনো ব্যাটারির স্তূপ, বস্তাভর্তি ব্যাটারির ভেতরে থাকা পুরোনো সিসা, প্লাস্টিকের ডাস্ট, জায়গাটির অধিকাংশ স্থানজুড়ে বড় গর্ত। পাশেই রয়েছে পরিশোধিত সিসার স্তূপ। এলাকাজুড়ে একটা ভ্যাপসা গন্ধ। কারখানায় যেসব শ্রমিক রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি ঢাকা, সাতক্ষীরা ও বগুড়া জেলায়। এঁরা মাসিক বেতন-ভাতায় এই কারখানায় কাজ করে থাকেন।
কারখানা শ্রমিক শাহ আলম বলেন, ‘স্থানীয় বাজার থেকে পুরোনো ব্যাটারি কিনে তা থেকে অ্যাসিডমিশ্রিত জমাটবাঁধা বর্জ্য একটি গর্তের মধ্যে কাঠ ও কয়লা দিয়ে সাজানো হয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দিয়ে একটি পাম্পের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে প্রচণ্ড বেগে হাওয়া দিলে তাপের সৃষ্টি হয়। এরপর কাঠ ও কয়লা পুড়িয়ে একটি আগুনের কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়ে সিসা তরল হয়ে মিশ্রিত অ্যাসিড, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য ডাস্ট পুড়ে ধোঁয়া উড়ে গিয়ে সিসা পরিশোধিত হয়। একটি বড় ব্যাটারি থেকে প্রায় ২২ কেজি, ছোট ব্যাটারি থেকে ১০ কেজি সিসা পাওয়া যায়। এ সিসা ঢাকার বিভিন্ন ব্যাটারি তৈরির কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা কাদের খান বলেন, ব্যাটারির অ্যাসিডমিশ্রিত সিসা পরিশোধিত করার সময় বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। কারখানা দেওয়ার দুই মাসের মাথায় স্থানীয় কৃষক পলাশ মল্লিক ও মজিবুর রহমানের দুটি গরু মারা গেছে; অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও কয়েকটি। এমনকি গাছপালা মরে যাচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘কাজ অবৈধ জেনেই কারখানার মালিক সাদ্দাম এই অজপাড়াগাঁয়ে কারখানাটি গড়ে তুলেছেন। যাতে করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসাটি করতে পারে।’
এ বিষয়ে জমির মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, এক বছরের জন্য ৪০ হাজার টাকায় ৫০ শতক জমি ভাড়া নেন মো. সাদ্দাম হোসেন। প্রথমে তিনি জানিয়েছেন কিছু পুরোনো ব্যাটারি রাখবেন। পরে দেখি তিনি বেশকিছু শ্রমিক নিয়ে কারখানা করে সেখানে সিসা তৈরি করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার মালিক মো. সাদ্দাম বলেন, ‘এটা অবৈধ না। আর এতে কোনো ক্ষতিও হয় না। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখার কিছু নাই।’ সরকারের কোনো অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, ‘এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন। কোনো অনুমোদন দরকার হয় না।’
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘এ ধরনের পদার্থ মানুষের শ্বাসকষ্ট, হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ওই কারখানার আশপাশের ঘাস খেলে গবাদিপশু অসুস্থ কিংবা মারাও যেতে পারে।’
পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদি বলেন, ‘এ ধরনের কারখানার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধু জনবহুল স্থানেই না। অবৈধ এ ধরনের কারখানা করার কোনো সুযোগ নাই। বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, ‘ওই অবৈধ কারখানা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিঙ্গা গ্রামের জনবহুল এলাকায় গড়ে উঠেছে সিসা তৈরির কারখানা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এই কারখানাটি এখন পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে গৃহপালিত পশু। স্থানীয় এক প্রভাবশালী কারখানাটির মালিক হওয়ায় প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, গোসিংগা গ্রামের পাকা সড়কের পাশেই সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি ৫০ শতক জায়গা ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলেছেন সিসা কারখানা। কারখানার চারপাশে টিনের বেড়া ও পলিথিন দিয়ে প্রাচীর তৈরি করেছেন। প্রাচীরের ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল, পুরোনো ব্যাটারির স্তূপ, বস্তাভর্তি ব্যাটারির ভেতরে থাকা পুরোনো সিসা, প্লাস্টিকের ডাস্ট, জায়গাটির অধিকাংশ স্থানজুড়ে বড় গর্ত। পাশেই রয়েছে পরিশোধিত সিসার স্তূপ। এলাকাজুড়ে একটা ভ্যাপসা গন্ধ। কারখানায় যেসব শ্রমিক রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি ঢাকা, সাতক্ষীরা ও বগুড়া জেলায়। এঁরা মাসিক বেতন-ভাতায় এই কারখানায় কাজ করে থাকেন।
কারখানা শ্রমিক শাহ আলম বলেন, ‘স্থানীয় বাজার থেকে পুরোনো ব্যাটারি কিনে তা থেকে অ্যাসিডমিশ্রিত জমাটবাঁধা বর্জ্য একটি গর্তের মধ্যে কাঠ ও কয়লা দিয়ে সাজানো হয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দিয়ে একটি পাম্পের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে প্রচণ্ড বেগে হাওয়া দিলে তাপের সৃষ্টি হয়। এরপর কাঠ ও কয়লা পুড়িয়ে একটি আগুনের কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়ে সিসা তরল হয়ে মিশ্রিত অ্যাসিড, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য ডাস্ট পুড়ে ধোঁয়া উড়ে গিয়ে সিসা পরিশোধিত হয়। একটি বড় ব্যাটারি থেকে প্রায় ২২ কেজি, ছোট ব্যাটারি থেকে ১০ কেজি সিসা পাওয়া যায়। এ সিসা ঢাকার বিভিন্ন ব্যাটারি তৈরির কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা কাদের খান বলেন, ব্যাটারির অ্যাসিডমিশ্রিত সিসা পরিশোধিত করার সময় বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। কারখানা দেওয়ার দুই মাসের মাথায় স্থানীয় কৃষক পলাশ মল্লিক ও মজিবুর রহমানের দুটি গরু মারা গেছে; অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও কয়েকটি। এমনকি গাছপালা মরে যাচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘কাজ অবৈধ জেনেই কারখানার মালিক সাদ্দাম এই অজপাড়াগাঁয়ে কারখানাটি গড়ে তুলেছেন। যাতে করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসাটি করতে পারে।’
এ বিষয়ে জমির মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, এক বছরের জন্য ৪০ হাজার টাকায় ৫০ শতক জমি ভাড়া নেন মো. সাদ্দাম হোসেন। প্রথমে তিনি জানিয়েছেন কিছু পুরোনো ব্যাটারি রাখবেন। পরে দেখি তিনি বেশকিছু শ্রমিক নিয়ে কারখানা করে সেখানে সিসা তৈরি করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার মালিক মো. সাদ্দাম বলেন, ‘এটা অবৈধ না। আর এতে কোনো ক্ষতিও হয় না। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখার কিছু নাই।’ সরকারের কোনো অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, ‘এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন। কোনো অনুমোদন দরকার হয় না।’
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘এ ধরনের পদার্থ মানুষের শ্বাসকষ্ট, হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ওই কারখানার আশপাশের ঘাস খেলে গবাদিপশু অসুস্থ কিংবা মারাও যেতে পারে।’
পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদি বলেন, ‘এ ধরনের কারখানার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধু জনবহুল স্থানেই না। অবৈধ এ ধরনের কারখানা করার কোনো সুযোগ নাই। বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, ‘ওই অবৈধ কারখানা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪