সম্পাদকীয়
মধ্যযুগের বাংলা পুঁথিসাহিত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসর শ্রেণি, বিশেষ করে হিন্দু ভদ্রশ্রেণি। কিন্তু বাংলার মুসলিম সমাজ এই ঐতিহ্যকে ত্যাগ করেনি। ফলে বাংলার মুসলমান সাহিত্যিকদের লেখায় রয়ে গেছে তার প্রকাশ। সেই যুগে চোখে যা দেখি, তার চেয়ে ইউরোপীয় শিক্ষায় যা পেয়েছি, তা হয়ে উঠেছিল অনেক বেশি সত্য।
আবহমান পল্লির ছবি ফুটে উঠেছিল জসীমউদ্দীনের লেখায়। এ জন্যই দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘এই পল্লিদৃশ্য আমাদের চোখের সামনে ছিল। এখনো হয়তো কিছু আছে কিন্তু এই সকল হারাইয়া ফেলিয়াছিলাম। এই হারানো জিনিস নতুন করিয়ে পাওয়ার যে আনন্দ কবি জসীমউদ্দীন তাহা আমাদের দিয়াছেন।’
জসীমউদ্দীনের বাবার চাচা দানু মোল্লা ছিলেন অন্ধ। তিনি নানা ধরনের কেচ্ছা-কাহিনি জানতেন। দানু মোল্লার কাছে গিয়ে জসীমউদ্দীন বলতেন, ‘দাদা, কেচ্ছা কও।’ দানু মোল্লা মেলে ধরতেন তাঁর কেচ্ছার পৃথিবী। সরিতুল্লা হাজির কথাও বলেছেন জসীমউদ্দীন, যিনি অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন না। কিন্তু তাঁর সাধ ছিল নিজে নিজে সোনাভানের পুঁথি পড়ার। জসীমউদ্দীন তাঁকে পড়ালেখা শেখালেন। সরিতুল্লা হাজি নিজে নিজে পুঁথি পড়া শিখলেন।
হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব দেখেছেন জসীমউদ্দীন। কিন্তু সে সময় সমাজে এক ধর্মের সমালোচনা অন্য ধর্মের লোকে করলেও তা নিয়ে কৌতুক হতো, কেউ কারও ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত না। কবির জন্মস্থান ছিল ফরিদপুর। এ অঞ্চলটি ছিল ফরায়েজি আন্দোলনের ঘাঁটি। কিন্তু হিন্দু জমিদারের বাড়িতে মুসলমান প্রজারা পূজার সময় যাত্রাগানের আসরে ভিড় জমাত, সেই দর্শকের তালিকায় ছিলেন জসীমউদ্দীনও।
হিন্দু-মুসলমান সবাইকে দেখেছেন জসীমউদ্দীন। তারপর যা লিখেছেন, তা হয়ে উঠেছে সবার সাহিত্য। কালিদাস রায় এ কারণেই লিখেছেন. ‘যতীন্দ্রমোহন এ কুমুদরঞ্জন বঙ্গের পল্লী প্রকৃতিকে দেখিয়াছেন হিন্দুর চোখে। শ্রীমান জসীমউদ্দীন তাহাকে বাঙালির চোখে দেখিয়াছেন, অর্থাৎ হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের দৃষ্টিতে দেখিয়াছেন।’
সূত্র: জাহিরুল হাসান, জসীমউদ্দীন জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৫১০-৫১২
মধ্যযুগের বাংলা পুঁথিসাহিত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসর শ্রেণি, বিশেষ করে হিন্দু ভদ্রশ্রেণি। কিন্তু বাংলার মুসলিম সমাজ এই ঐতিহ্যকে ত্যাগ করেনি। ফলে বাংলার মুসলমান সাহিত্যিকদের লেখায় রয়ে গেছে তার প্রকাশ। সেই যুগে চোখে যা দেখি, তার চেয়ে ইউরোপীয় শিক্ষায় যা পেয়েছি, তা হয়ে উঠেছিল অনেক বেশি সত্য।
আবহমান পল্লির ছবি ফুটে উঠেছিল জসীমউদ্দীনের লেখায়। এ জন্যই দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘এই পল্লিদৃশ্য আমাদের চোখের সামনে ছিল। এখনো হয়তো কিছু আছে কিন্তু এই সকল হারাইয়া ফেলিয়াছিলাম। এই হারানো জিনিস নতুন করিয়ে পাওয়ার যে আনন্দ কবি জসীমউদ্দীন তাহা আমাদের দিয়াছেন।’
জসীমউদ্দীনের বাবার চাচা দানু মোল্লা ছিলেন অন্ধ। তিনি নানা ধরনের কেচ্ছা-কাহিনি জানতেন। দানু মোল্লার কাছে গিয়ে জসীমউদ্দীন বলতেন, ‘দাদা, কেচ্ছা কও।’ দানু মোল্লা মেলে ধরতেন তাঁর কেচ্ছার পৃথিবী। সরিতুল্লা হাজির কথাও বলেছেন জসীমউদ্দীন, যিনি অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন না। কিন্তু তাঁর সাধ ছিল নিজে নিজে সোনাভানের পুঁথি পড়ার। জসীমউদ্দীন তাঁকে পড়ালেখা শেখালেন। সরিতুল্লা হাজি নিজে নিজে পুঁথি পড়া শিখলেন।
হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব দেখেছেন জসীমউদ্দীন। কিন্তু সে সময় সমাজে এক ধর্মের সমালোচনা অন্য ধর্মের লোকে করলেও তা নিয়ে কৌতুক হতো, কেউ কারও ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত না। কবির জন্মস্থান ছিল ফরিদপুর। এ অঞ্চলটি ছিল ফরায়েজি আন্দোলনের ঘাঁটি। কিন্তু হিন্দু জমিদারের বাড়িতে মুসলমান প্রজারা পূজার সময় যাত্রাগানের আসরে ভিড় জমাত, সেই দর্শকের তালিকায় ছিলেন জসীমউদ্দীনও।
হিন্দু-মুসলমান সবাইকে দেখেছেন জসীমউদ্দীন। তারপর যা লিখেছেন, তা হয়ে উঠেছে সবার সাহিত্য। কালিদাস রায় এ কারণেই লিখেছেন. ‘যতীন্দ্রমোহন এ কুমুদরঞ্জন বঙ্গের পল্লী প্রকৃতিকে দেখিয়াছেন হিন্দুর চোখে। শ্রীমান জসীমউদ্দীন তাহাকে বাঙালির চোখে দেখিয়াছেন, অর্থাৎ হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের দৃষ্টিতে দেখিয়াছেন।’
সূত্র: জাহিরুল হাসান, জসীমউদ্দীন জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৫১০-৫১২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫