Ajker Patrika

সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, মাথায় হাত গ্রাহক-কর্মীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ২১
সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, মাথায় হাত গ্রাহক-কর্মীদের

অর্ডার করা পণ্যের টাকা ফেরত নিতে গত বুধবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ইভ্যালি কার্যালয়ে আসেন জহিরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে হাজির হন তাঁর বাসার সামনে। এই ই-কমার্স সাইটে বিনিয়োগ করা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আমার ৫ লাখ টাকা পাওনা আছে। সিইও গ্রেপ্তার হলে আমার টাকার কী হবে?’ তাঁর মতো একই কথা আরও অনেকের, যাঁরা লাভের আশায় ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করেছিলেন।

ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাঁদের গ্রেপ্তারের খবরে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও কর্মীরা। সবার চিন্তা, তাঁরা আর টাকা ফেরত পাবেন না, পণ্যও পাবেন না।

প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ শতাধিক কর্মী তিন মাস ধরে নিয়মমাফিক বেতন পাচ্ছেন না। ৯ সেপ্টেম্বর কিছুসংখ্যক কর্মীকে এক মাসের অর্ধেক বেতন দেওয়া হয়েছে। আবার ইভ্যালির বেশির ভাগ কর্মীই প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হলে তাঁরা চাকরি ও বিনিয়োগ দুটিই হারাবেন।

ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও সিইও গ্রেপ্তারের ব্যাপারে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত জানানো হবে।

এই দম্পতি গ্রেপ্তারের আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। সেই মামলাতেই রাসেল দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ইভ্যালি পণ্য বিক্রির নামে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁর মতো অসংখ্য গ্রাহকের ৭০০-৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ধানমন্ডির কার্যালয়ে যান বাদী। সেখানে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মোহাম্মদ রাসেল তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের আগে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে মোহাম্মদ রাসেল দাবি করেন, ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ছিল। সেদিন তিনিসহ ইভ্যালির কোনো কর্মীই অফিসে ছিলেন না৷

মোহাম্মদ রাসেলের গ্রেপ্তারের খবর শুনে তাঁর বাসা ও অফিসের সামনে বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ করেন ইভ্যালির কিছু গ্রাহক। মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে র‍্যাব সদস্যরা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বাধা দেন উপস্থিত গ্রাহকেরা। ‘রাসেল ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে।’, ‘রাসেল ভাইয়ের মুক্তি চাই’ বলে গ্রাহকেরা স্লোগান দেন। ইভ্যালির কিছু কর্মীকেও গ্রাহক হিসেবে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ৭ হাজার টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত