নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে কারসাজির গল্প অনেক দিনের। সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দেখিয়ে একটি চক্র নিজেদের আখের গোছানোর পাঁয়তারা করছিল। ২০ গুণ দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত অংশ নিজের পকেটে ভরার পরিকল্পনা করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খান। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অভিযানে তাঁর সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসন জমির মূল্য নির্ধারণ করার আগেই সেলিম চেয়ারম্যান জমির ১৩৯টি দলিলে বেচাকেনার যে মূল্য দেখিয়েছেন তা নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে ২০ গুণ বেশি।
মাহবুব হোসেন বলেন, জমির মূল্যের তারতম্য প্রকাশ হওয়ার পরে সেলিম চেয়ারম্যান জমির মৌজা মূল্য বাড়ানোর যে চেষ্টা বা পরিকল্পনা করেছিলেন সেটি আর সফল হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৩৬০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
দুদকের সচিব আরও জানান, মেঘনা নদীতে প্রায় ২০০ ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে অননুমোদিতভাবে বিক্রি করে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অগাধ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চাঁদপুরে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অবৈধ বালুমহালের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া সেলিম চেয়ারম্যানের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও তাঁর ভাই জাওয়াদুর রহিমের সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব তা এড়িয়ে যান।
অভিযানকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ ও মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন দুদক সচিব।
সেলিম খান প্রথম আলোচনায় আসেন ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময়। ওই অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে ক্যাসিনো ব্যবসায় তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে আসে। এ ছাড়া ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের তালিকায়ও উঠে আসে তাঁর নাম।
২০১৯ সালে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে চাঁদপুরে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। সেখানে গৃহহীনদের কাছ থেকে প্রতিটি ঘর বরাদ্দ বাবদ ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। সে বছরই ৩১ অক্টোবর কমিশন সেলিম খানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সেলিম খান, তাঁর স্ত্রী শাহানা বেগম ও তাঁদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুদক। ওই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম খান দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন সেখানে তার মোট আয় দেখানো হয় ৬২ লাখ টাকা।
তবে সেলিমের সম্পদের অনুসন্ধান ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দুদকের কাছে সেলিমের যে সম্পদের তথ্য রয়েছে তা প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া নামে-বেনামে তাঁর বেশ কিছু সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে। সেসবের মূল্য এখন পর্যন্ত নির্ণয় করতে পারেনি সংস্থাটি।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে কারসাজির গল্প অনেক দিনের। সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দেখিয়ে একটি চক্র নিজেদের আখের গোছানোর পাঁয়তারা করছিল। ২০ গুণ দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত অংশ নিজের পকেটে ভরার পরিকল্পনা করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খান। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অভিযানে তাঁর সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসন জমির মূল্য নির্ধারণ করার আগেই সেলিম চেয়ারম্যান জমির ১৩৯টি দলিলে বেচাকেনার যে মূল্য দেখিয়েছেন তা নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে ২০ গুণ বেশি।
মাহবুব হোসেন বলেন, জমির মূল্যের তারতম্য প্রকাশ হওয়ার পরে সেলিম চেয়ারম্যান জমির মৌজা মূল্য বাড়ানোর যে চেষ্টা বা পরিকল্পনা করেছিলেন সেটি আর সফল হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৩৬০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
দুদকের সচিব আরও জানান, মেঘনা নদীতে প্রায় ২০০ ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে অননুমোদিতভাবে বিক্রি করে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অগাধ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চাঁদপুরে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অবৈধ বালুমহালের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া সেলিম চেয়ারম্যানের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও তাঁর ভাই জাওয়াদুর রহিমের সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব তা এড়িয়ে যান।
অভিযানকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ ও মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন দুদক সচিব।
সেলিম খান প্রথম আলোচনায় আসেন ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময়। ওই অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে ক্যাসিনো ব্যবসায় তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে আসে। এ ছাড়া ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের তালিকায়ও উঠে আসে তাঁর নাম।
২০১৯ সালে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে চাঁদপুরে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। সেখানে গৃহহীনদের কাছ থেকে প্রতিটি ঘর বরাদ্দ বাবদ ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। সে বছরই ৩১ অক্টোবর কমিশন সেলিম খানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সেলিম খান, তাঁর স্ত্রী শাহানা বেগম ও তাঁদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুদক। ওই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম খান দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন সেখানে তার মোট আয় দেখানো হয় ৬২ লাখ টাকা।
তবে সেলিমের সম্পদের অনুসন্ধান ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দুদকের কাছে সেলিমের যে সম্পদের তথ্য রয়েছে তা প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া নামে-বেনামে তাঁর বেশ কিছু সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে। সেসবের মূল্য এখন পর্যন্ত নির্ণয় করতে পারেনি সংস্থাটি।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
২ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫