Ajker Patrika

১২ দিনেও অপসারিত হয়নি নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ০৪
১২ দিনেও অপসারিত হয়নি  নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী

চতুর্থ ধাপে গত ২৬ ডিসেম্বর সিরাজদিখানের ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন হয়। এরপর কেটে গেছে প্রায় দুই সপ্তাহ। তবে উপজেলার ১৪টি ইউপিতে এখনো রয়ে গেছে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন। এগুলো অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রশুনিয়া, বাসাইল, কেয়াইন, বয়রাগাদী, ইছাপুরা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে টাঙানো পোস্টারের দড়ি ছিঁড়ে কিছু অংশ মাটিতে ঝুলে আছে। আর কিছু অংশ ওপরে ঝুলছে। আবার কোথাও রাস্তায় পড়ে রয়েছে ছেঁড়া দড়ি। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ব্যানার, ফেস্টুনও রয়ে গেছে। কিন্তু এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানো হয়।

রশুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, রাস্তাঘাট দোকানপাটে নির্বাচনী পোস্টার রয়ে গেছে। নির্বাচন হয়েছে বেশ কয়েক দিন আগে। কিন্তু ব্যানার, পোস্টার অপসারণ করেনি কেউ। তাই প্রশাসনের দাবি জানাচ্ছি এগুলো যাতে সরানো হয়। না হলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকবে না।

সিরাজদিখান পরিবহনের গাড়িচালক মনির হোসেন বলেন, ব্যানারের দড়ি মাঝেমধ্যে বাসের ছাদে লেগে যায়। অনেক স্থানের পোস্টারের পোস্টারের দড়ি ঝুলে রয়েছে। কেউ সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে না। এগুলো পরিষ্কার করা দরকার বলে মনে করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমার স্কুলে নির্বাচনী কেন্দ্র ছিল। এর কারণে প্রার্থীদের পোস্টার, ফেস্টুন স্কুলজুড়ে রয়েছে। নির্বাচন ১২ দিন আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এগুলো সরাননি প্রার্থীরা। আমরা বারবার বলেও কাউকে দিয়ে এগুলো সরানোর কাজ করাতে পারিনি। তাই নির্বাচন কার্যালয়ের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘আমরা নিজ দায়িত্বে পোস্টার-ফেস্টুন উঠিয়ে ফেলব। এতে হয়তো কয়েক দিন সময় লাগবে।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনা ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রার্থীদের নির্বাচনের পরদিন থেকেই পোস্টার-ফেস্টুন উঠিয়ে ফেলার জন্য বলে দিয়েছি। আর এই পোস্টার ফেস্টুনগুলো অপসারণ করতে হবে প্রার্থীদের নিজেদের খরচে। এটা নির্দেশ দেওয়া আছে। তারপর যদি কেউ না উঠিয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত