জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
শর্তের বেড়াজালে থমকে রয়েছে এসএমই খাতের প্রণোদনা ঋণ। বড়রা চাহিদামতো ঋণ পেলেও এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা শর্ত পূরণে ব্যর্থতায় কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে দেশের প্রায় ১ কোটি সিএমএসএমই উদ্যোক্তার মধ্যে মাত্র ৮২ হাজার উদ্যোক্তা ঋণ পেয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ উদ্যোক্তা ছিলেন ৭৩ হাজার ৬৪২ জন এবং নারী উদ্যোক্তা ১৪ হাজার ৬১৭ জন। আর প্রথম পর্যায়ে ঋণ গ্রহণ করেছিলেন প্রায় ৭০ হাজার উদ্যোক্তা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা আইনি জটিলতা ও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর শর্ত পূরণ করতে না পারায় অর্থ বরাদ্দ থাকার পরেও ঋণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ঋণের লক্ষ্য পূরণে বিশেষ সুবিধার দরকার ছিল।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সরকার প্রণোদনার আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। আর সিএএসএমই খাতে দুই দফায় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৭৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান ব্যবহার করছি। সে অনুযায়ী সিএমএসএমই উদ্যোক্তা ৭৮ লাখ ১৩ হাজার। তবে বর্তমানে এটা এক কোটি ছাড়িয়েছে। সরকারের ঘোষিত ঋণ পেতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসা সনদ, কোটা পদ্ধতিসহ নানা শর্তের কারণে ঋণ বিতরণ বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা ঋণ বিতরণে সহযোগিতা করছি।’
এদিকে রপ্তানিমুখী উৎপাদন শিল্পের শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণের শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। আর রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আওতায় কাঁচামাল আমদানি বাবদ ২৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার ৯৩ দশমিক ৩০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রণোদনা সুবিধা বড় ব্যবসায়ীদের তুলনায় ছোট উদ্যোক্তারা তেমন একটা পাননি। তাই সুবিধাবঞ্চিতদের বিশেষ সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে নতুন বরাদ্দ করা ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না-ও হতে পারে।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, প্রণোদনার ঋণে ঝুঁকি আছে, কোনো সন্দেহ নেই। এ জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি এড়াতে ঋণ বিতরণে আগের চেয়ে কম দেখাচ্ছে, যা অর্থনীতির উন্নয়নে বাধা।
এ বিষয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এসএমই ঋণ বিতরণ চলমান রয়েছে। আর ঋণ পেতে তো কিছু নিয়মকানুন মানতে হয়। বেশির ভাগ উদ্যোক্তাই এগুলো মানতে পারছেন না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঋণ পেতে তো শর্ত থাকবে। বিধি অনুযায়ী ঋণের আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো তা দিতে বাধ্য। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভর্তুকির টাকা দিতে ব্যাংকগুলোর কাগজপত্র যাচাইয়ে কিছুটা সময় নিচ্ছে।
শর্তের বেড়াজালে থমকে রয়েছে এসএমই খাতের প্রণোদনা ঋণ। বড়রা চাহিদামতো ঋণ পেলেও এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা শর্ত পূরণে ব্যর্থতায় কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে দেশের প্রায় ১ কোটি সিএমএসএমই উদ্যোক্তার মধ্যে মাত্র ৮২ হাজার উদ্যোক্তা ঋণ পেয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ উদ্যোক্তা ছিলেন ৭৩ হাজার ৬৪২ জন এবং নারী উদ্যোক্তা ১৪ হাজার ৬১৭ জন। আর প্রথম পর্যায়ে ঋণ গ্রহণ করেছিলেন প্রায় ৭০ হাজার উদ্যোক্তা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা আইনি জটিলতা ও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর শর্ত পূরণ করতে না পারায় অর্থ বরাদ্দ থাকার পরেও ঋণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ঋণের লক্ষ্য পূরণে বিশেষ সুবিধার দরকার ছিল।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সরকার প্রণোদনার আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। আর সিএএসএমই খাতে দুই দফায় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৭৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান ব্যবহার করছি। সে অনুযায়ী সিএমএসএমই উদ্যোক্তা ৭৮ লাখ ১৩ হাজার। তবে বর্তমানে এটা এক কোটি ছাড়িয়েছে। সরকারের ঘোষিত ঋণ পেতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসা সনদ, কোটা পদ্ধতিসহ নানা শর্তের কারণে ঋণ বিতরণ বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা ঋণ বিতরণে সহযোগিতা করছি।’
এদিকে রপ্তানিমুখী উৎপাদন শিল্পের শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণের শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। আর রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আওতায় কাঁচামাল আমদানি বাবদ ২৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার ৯৩ দশমিক ৩০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রণোদনা সুবিধা বড় ব্যবসায়ীদের তুলনায় ছোট উদ্যোক্তারা তেমন একটা পাননি। তাই সুবিধাবঞ্চিতদের বিশেষ সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে নতুন বরাদ্দ করা ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না-ও হতে পারে।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, প্রণোদনার ঋণে ঝুঁকি আছে, কোনো সন্দেহ নেই। এ জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি এড়াতে ঋণ বিতরণে আগের চেয়ে কম দেখাচ্ছে, যা অর্থনীতির উন্নয়নে বাধা।
এ বিষয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এসএমই ঋণ বিতরণ চলমান রয়েছে। আর ঋণ পেতে তো কিছু নিয়মকানুন মানতে হয়। বেশির ভাগ উদ্যোক্তাই এগুলো মানতে পারছেন না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঋণ পেতে তো শর্ত থাকবে। বিধি অনুযায়ী ঋণের আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো তা দিতে বাধ্য। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভর্তুকির টাকা দিতে ব্যাংকগুলোর কাগজপত্র যাচাইয়ে কিছুটা সময় নিচ্ছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ মিনিট আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১ ঘণ্টা আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫