৮ চেয়ারম্যানের শপথ সেবক হওয়ার প্রত্যয়

তিতাস উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।

এতে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এ সময় জেলার স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মো. শওকত ওসমান ও তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

শপথ পাঠ করা চেয়ারম্যানরা হলেন সদর কড়িকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদ, জিয়ারকান্দির আলী আশরাফ, মজিদপুরের জাহাঙ্গীর আলম, নারান্দিয়ার আরিফুজ্জামান খোকা, ভিটিকান্দির বাবুল আহম্মেদ, বলরামপুরের মো. নুর নবী, জগতপুরের মো. মজিবুর রহমান ও সাতানীর মো. শামসুল হক সরকার। এঁরা সবাই আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।

সদর কড়িকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ইউনিয়নবাসীর সেবার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। সে জন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।’

জিয়ারকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান আলী আশরাফ বলেন, ‘আমি দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণ করেছি। আগামী দিনগুলোতে জনগণের সেবা করাই লক্ষ্য।’

মজিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মজিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। ইউনিয়নবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মুন্সি মজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অব্যাহত রাখা এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেয়ারম্যানদের সক্রিয় ভূমিকা থাকবে বলে আশা করি।’

এদিকে আদালতের নির্দেশে কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে শপথগ্রহণ ছয় মাসের স্থগিত রয়েছে। এ জন্য এই পদের শপথগ্রহণ করা হয়নি।

এই ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম সরকার আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গেজেট প্রকাশের পর পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবারক হোসেন মামলা করেছে। আমিও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছি। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’

দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর তিতাস উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ করা হয়।