মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন করলে মানুষে-মানুষে সুন্দর ও মানবিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। হাদিসের ভাষায় এগুলোকে এক মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অপর মুসলিম ভাইয়ের কর্তব্য আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কর্তব্যগুলো হলো—
অসুস্থের সেবা করা: কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, সেবা-শুশ্রূষা করা, সহমর্মী হওয়া, প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা করা এবং তার জন্য দোয়া করা একজন মুসলমানের অন্যতম দায়িত্ব।
জানাজায় হাজির হওয়া: কোনো মুসলমান মারা গেলে তার জানাজা ও দাফন-কাফনে উপস্থিত হওয়া, মাগফিরাতের দোয়া করা, পরিবার-পরিজনকে সান্ত্বনার বাণী শোনানো এবং প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানো মুসলমানের কর্তব্য।
ডাকলে সাড়া দেওয়া: সমাজের কোনো মানুষই স্বনির্ভর নয়; পরস্পরের সহায়তায় সমাজ এগিয়ে যায়। তাই কেউ বিপদে পড়লে অন্যদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করা চাই।
সালাম দেওয়া: দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হলে পরস্পর সালাম বিনিময় ও মঙ্গল কামনা করবে। সালামের সঙ্গে মুসাফাহা যোগ করা সুন্নত। দীর্ঘদিন পর সাক্ষাৎ হলে কোলাকুলি করাও সুন্নত।
হাঁচির জবাব দেওয়া: কেউ যখন হাঁচি দেয় তখন তার জন্য ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। জবাবে পাশের মানুষটি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলে তার জন্য আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ চাইবে।
কল্যাণ কামনা করা: একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো, সব সময় অপর মুসলমানের কল্যাণ কামনা করা—যার জন্য কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে, সে উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক।
সূত্র: তিরমিজি: ২৭৩৭, নাসায়ি: ১৯৩৮, আহমাদ: ১০৯৬৬।
লেখক: মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন করলে মানুষে-মানুষে সুন্দর ও মানবিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। হাদিসের ভাষায় এগুলোকে এক মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অপর মুসলিম ভাইয়ের কর্তব্য আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কর্তব্যগুলো হলো—
অসুস্থের সেবা করা: কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, সেবা-শুশ্রূষা করা, সহমর্মী হওয়া, প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা করা এবং তার জন্য দোয়া করা একজন মুসলমানের অন্যতম দায়িত্ব।
জানাজায় হাজির হওয়া: কোনো মুসলমান মারা গেলে তার জানাজা ও দাফন-কাফনে উপস্থিত হওয়া, মাগফিরাতের দোয়া করা, পরিবার-পরিজনকে সান্ত্বনার বাণী শোনানো এবং প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানো মুসলমানের কর্তব্য।
ডাকলে সাড়া দেওয়া: সমাজের কোনো মানুষই স্বনির্ভর নয়; পরস্পরের সহায়তায় সমাজ এগিয়ে যায়। তাই কেউ বিপদে পড়লে অন্যদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করা চাই।
সালাম দেওয়া: দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হলে পরস্পর সালাম বিনিময় ও মঙ্গল কামনা করবে। সালামের সঙ্গে মুসাফাহা যোগ করা সুন্নত। দীর্ঘদিন পর সাক্ষাৎ হলে কোলাকুলি করাও সুন্নত।
হাঁচির জবাব দেওয়া: কেউ যখন হাঁচি দেয় তখন তার জন্য ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। জবাবে পাশের মানুষটি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলে তার জন্য আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ চাইবে।
কল্যাণ কামনা করা: একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো, সব সময় অপর মুসলমানের কল্যাণ কামনা করা—যার জন্য কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে, সে উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক।
সূত্র: তিরমিজি: ২৭৩৭, নাসায়ি: ১৯৩৮, আহমাদ: ১০৯৬৬।
লেখক: মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫