লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
গৌরীপুর-গোপালপুর সড়কের পাশের জমিতে চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। বংশ পরম্পরায় অনেকেই এই কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে বিক্রি করেন। প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো বাপ-দাদার ঐতিহ্য এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে এখনো অনেকে কাজ করে যাচ্ছেন। নানা প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এই কাজকেই জীবন-জীবিকার অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে চান।
সরেজমিনে নাটোরের লালপুরের পালিদেহা গ্রামে দেখা যায়, সড়কের পাশে নির্মিত কারখানার এক বিঘা জমিতে নির্মিত পাঁচটি চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। সেখানে তৈরি করা হচ্ছে কাঠকয়লা।
এ বিষয়ে কারখানা মালিক শাহাবুল ইসলাম (৩৫) বলেন, এক বিঘা জমি পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি চুল্লি। প্রতিবছর জমির মালিককে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। শুকনো মৌসুমে বছরে ছয় মাস এই কয়লা উৎপাদন করা যায়।
শাহাবুল ইসলাম আরও বলেন, একটি চুল্লিতে ১৭০ মণ কাঠ পুড়িয়ে ১ টন, অর্থাৎ ৩৫ বস্তা কয়লা উৎপাদন করা হয়। ভাটায় পাঁচটি চুল্লিতে এক চালানে সাড়ে ৮০০ মণ কাঠ পুড়িয়ে ১৭৫ বস্তা কয়লা পাওয়া যায়। এক চালান খড়ি পোড়াতে সময় লাগে ১০ দিন। প্রতি মণ কাঠখড়ি বিক্রেতাদের থেকে সাধারণত ১১০ টাকা দরে কেনেন তিনি। ইটভাটার মৌসুমে ১৫০ টাকা মণ দরে কিনতে হয়। প্রতি ২৫ কেজি কয়লার বস্তা বিক্রি হয় ৬৫০ টাকা দরে।
কাঠকয়লা বিক্রেতা মুকুল সরকার (৬১) বলেন, বাপ-দাদারা ১৫০ বছর আগে পার্শ্ববর্তী আরামবাড়িয়ায় এ ব্যবসা শুরু করেন। পাঁচটি চুল্লি বানাতে ১০ দিন সময় লাগে। নিজেরাই চুল্লি তৈরির কারিগর ছিলেন। প্রতি চুল্লিতে ১৭০ মণ খড়ি সাজিয়ে আগুন দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০ দিন অতিবাহিত হলে ধোঁয়া দেখে বোঝা যায় কয়লা প্রস্তুত হয়ে গেছে। মাসে ২ হাজার ৫৫০ মণ খড়ি লাগে। ছয় মাসে ১৫ হাজার ৩০০ মণ খড়ি পুড়িয়ে কয়লা বানানো হয়।
এ বিষয়ে আনার আলী (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। উৎপাদিত কয়লা পাবনা, রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়া, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। অটোরাইস মিল, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, স্বর্ণকার, কামারশালা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ঈশ্বরদী সেনাবাহিনী ফার্মসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় এ কয়লা। এ কাজকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে চান তিনি। এ ছাড়া সরকারি সহায়তা পেলে এ ব্যবসায় আরও উন্নতি করা সম্ভব।
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কাঠকয়লা তৈরিতে ব্যবহৃত খড়ি সংগ্রহের কারণে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এতে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গৌরীপুর-গোপালপুর সড়কের পাশের জমিতে চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। বংশ পরম্পরায় অনেকেই এই কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে বিক্রি করেন। প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো বাপ-দাদার ঐতিহ্য এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে এখনো অনেকে কাজ করে যাচ্ছেন। নানা প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এই কাজকেই জীবন-জীবিকার অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে চান।
সরেজমিনে নাটোরের লালপুরের পালিদেহা গ্রামে দেখা যায়, সড়কের পাশে নির্মিত কারখানার এক বিঘা জমিতে নির্মিত পাঁচটি চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। সেখানে তৈরি করা হচ্ছে কাঠকয়লা।
এ বিষয়ে কারখানা মালিক শাহাবুল ইসলাম (৩৫) বলেন, এক বিঘা জমি পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি চুল্লি। প্রতিবছর জমির মালিককে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। শুকনো মৌসুমে বছরে ছয় মাস এই কয়লা উৎপাদন করা যায়।
শাহাবুল ইসলাম আরও বলেন, একটি চুল্লিতে ১৭০ মণ কাঠ পুড়িয়ে ১ টন, অর্থাৎ ৩৫ বস্তা কয়লা উৎপাদন করা হয়। ভাটায় পাঁচটি চুল্লিতে এক চালানে সাড়ে ৮০০ মণ কাঠ পুড়িয়ে ১৭৫ বস্তা কয়লা পাওয়া যায়। এক চালান খড়ি পোড়াতে সময় লাগে ১০ দিন। প্রতি মণ কাঠখড়ি বিক্রেতাদের থেকে সাধারণত ১১০ টাকা দরে কেনেন তিনি। ইটভাটার মৌসুমে ১৫০ টাকা মণ দরে কিনতে হয়। প্রতি ২৫ কেজি কয়লার বস্তা বিক্রি হয় ৬৫০ টাকা দরে।
কাঠকয়লা বিক্রেতা মুকুল সরকার (৬১) বলেন, বাপ-দাদারা ১৫০ বছর আগে পার্শ্ববর্তী আরামবাড়িয়ায় এ ব্যবসা শুরু করেন। পাঁচটি চুল্লি বানাতে ১০ দিন সময় লাগে। নিজেরাই চুল্লি তৈরির কারিগর ছিলেন। প্রতি চুল্লিতে ১৭০ মণ খড়ি সাজিয়ে আগুন দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০ দিন অতিবাহিত হলে ধোঁয়া দেখে বোঝা যায় কয়লা প্রস্তুত হয়ে গেছে। মাসে ২ হাজার ৫৫০ মণ খড়ি লাগে। ছয় মাসে ১৫ হাজার ৩০০ মণ খড়ি পুড়িয়ে কয়লা বানানো হয়।
এ বিষয়ে আনার আলী (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। উৎপাদিত কয়লা পাবনা, রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়া, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। অটোরাইস মিল, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, স্বর্ণকার, কামারশালা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ঈশ্বরদী সেনাবাহিনী ফার্মসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় এ কয়লা। এ কাজকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে চান তিনি। এ ছাড়া সরকারি সহায়তা পেলে এ ব্যবসায় আরও উন্নতি করা সম্ভব।
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কাঠকয়লা তৈরিতে ব্যবহৃত খড়ি সংগ্রহের কারণে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এতে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪