সম্পাদকীয়
একবার নয়, বারবার নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে ছাত্রলীগ খবরের শিরোনাম হচ্ছে। ছাত্রলীগ নেতাদের ছায়াতলে থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে অপরাধী চক্র বলীয়ান হয়ে উঠেছে, তা উঠে এসেছে রোববারের আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রধান খবরে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম আসাটা যেন অনিবার্য হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার প্রশ্রয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ।
সংগঠনটির অতীত গৌরবের যে পুঁজি, তা আর অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। নতুন পুঁজি সংগ্রহ না করলে সংগঠনটি হয়তো টিকে থাকবে কোনোভাবে, তবে এটা আর কোনো ভালো কাজে লাগবে না। প্রশ্ন আসতে পারে, নতুন পুঁজি সংগ্রহ করা হবে কীভাবে এবং তার সুযোগ আছে কি না? মনে রাখতে হবে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও আছে। ছাত্রলীগ যেহেতু এখন আর কোনো শক্তি নয়, মূলত একটি অপশক্তি হয়ে উঠেছে, সেহেতু একে দমন করলে আওয়ামী লীগ দুর্বল না হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। শক্তি ও অপশক্তির পার্থক্যও বুঝতে হবে।
অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা চালু আছে যে অপরাধীর প্রতি কঠোর হলে বুঝি গণতন্ত্র দুর্বল হয়। আসলে গণতন্ত্র দুর্বল হয় ভিন্নমতের প্রতি কঠোর হলে। অপরাধী বা অপশক্তির প্রতি কঠোর হলে গণতন্ত্র আরও মজবুত হয়।
গত শতকের পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকে ছাত্রলীগ কি গৌরবগাথা তৈরি করেছিল, তা মনে করে তাদের এখনকার অপকর্মের ছাড় দেওয়ার পরিণতি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা যদি এখনো বুঝতে কারও সমস্যা হয়, তাহলে তো খারাপ খবরের শিরোনাম হওয়া থেকে ছাত্রলীগকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।
সব থেকে ভালো হতো দেশে সব ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করতে পারলে। ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস একসময় উজ্জ্বল ছিল—তাই ছাত্র আন্দোলন বা ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার কথা বললে অনেকেই আবেগের বশে কাঁপতে থাকেন। এই আবেগের কারণেই কি আমাদের বর্তমানে ছাত্ররাজনীতির নামে নানা নষ্টামি মেনে নিতে হচ্ছে না!
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সংগঠনের নামে অনেকের বাড়াবাড়ি নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন। একবার তিনি অভিমান করে ছাত্রলীগের অভিভাবকত্ব না করার কথাও বলেছিলেন। একবার বলেছিলেন, ছাত্রলীগকে আগাছামুক্ত করতে হবে। কিন্তু আগাছামুক্ত করার প্রক্রিয়াটি অব্যাহতভাবে এগিয়েছে বলে মনে হয় না। ‘আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করার জন্য আমার ছাত্রদলই যথেষ্ট’ বলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একবার যে মহান বাণী দিয়েছিলেন, সম্ভবত সেবারই শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলেন।
আমরা মনে করি, ছাত্রলীগকে সুপথে ফিরিয়ে আনার ওটাই সঠিক পথ। অন্য বইপুস্তক পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবিলম্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও আদর্শ-উদ্দেশ্যসংবলিত বইপত্র পড়া বাধ্যতামূলক করা হোক।
একবার নয়, বারবার নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে ছাত্রলীগ খবরের শিরোনাম হচ্ছে। ছাত্রলীগ নেতাদের ছায়াতলে থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে অপরাধী চক্র বলীয়ান হয়ে উঠেছে, তা উঠে এসেছে রোববারের আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রধান খবরে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম আসাটা যেন অনিবার্য হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার প্রশ্রয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ।
সংগঠনটির অতীত গৌরবের যে পুঁজি, তা আর অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। নতুন পুঁজি সংগ্রহ না করলে সংগঠনটি হয়তো টিকে থাকবে কোনোভাবে, তবে এটা আর কোনো ভালো কাজে লাগবে না। প্রশ্ন আসতে পারে, নতুন পুঁজি সংগ্রহ করা হবে কীভাবে এবং তার সুযোগ আছে কি না? মনে রাখতে হবে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও আছে। ছাত্রলীগ যেহেতু এখন আর কোনো শক্তি নয়, মূলত একটি অপশক্তি হয়ে উঠেছে, সেহেতু একে দমন করলে আওয়ামী লীগ দুর্বল না হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। শক্তি ও অপশক্তির পার্থক্যও বুঝতে হবে।
অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা চালু আছে যে অপরাধীর প্রতি কঠোর হলে বুঝি গণতন্ত্র দুর্বল হয়। আসলে গণতন্ত্র দুর্বল হয় ভিন্নমতের প্রতি কঠোর হলে। অপরাধী বা অপশক্তির প্রতি কঠোর হলে গণতন্ত্র আরও মজবুত হয়।
গত শতকের পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকে ছাত্রলীগ কি গৌরবগাথা তৈরি করেছিল, তা মনে করে তাদের এখনকার অপকর্মের ছাড় দেওয়ার পরিণতি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা যদি এখনো বুঝতে কারও সমস্যা হয়, তাহলে তো খারাপ খবরের শিরোনাম হওয়া থেকে ছাত্রলীগকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।
সব থেকে ভালো হতো দেশে সব ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করতে পারলে। ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস একসময় উজ্জ্বল ছিল—তাই ছাত্র আন্দোলন বা ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার কথা বললে অনেকেই আবেগের বশে কাঁপতে থাকেন। এই আবেগের কারণেই কি আমাদের বর্তমানে ছাত্ররাজনীতির নামে নানা নষ্টামি মেনে নিতে হচ্ছে না!
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সংগঠনের নামে অনেকের বাড়াবাড়ি নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন। একবার তিনি অভিমান করে ছাত্রলীগের অভিভাবকত্ব না করার কথাও বলেছিলেন। একবার বলেছিলেন, ছাত্রলীগকে আগাছামুক্ত করতে হবে। কিন্তু আগাছামুক্ত করার প্রক্রিয়াটি অব্যাহতভাবে এগিয়েছে বলে মনে হয় না। ‘আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করার জন্য আমার ছাত্রদলই যথেষ্ট’ বলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একবার যে মহান বাণী দিয়েছিলেন, সম্ভবত সেবারই শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলেন।
আমরা মনে করি, ছাত্রলীগকে সুপথে ফিরিয়ে আনার ওটাই সঠিক পথ। অন্য বইপুস্তক পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবিলম্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও আদর্শ-উদ্দেশ্যসংবলিত বইপত্র পড়া বাধ্যতামূলক করা হোক।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫