Ajker Patrika

স্কুলমাঠটি খেলার অনুপযোগী

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ২৩
স্কুলমাঠটি খেলার অনুপযোগী

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী বানিয়াপাড়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বারবার নদীভাঙনে বিলীনের হুমকিতে পড়েছে। এ ছাড়া স্থানীয়দের দখলে মাঠ আজ খেলার অনুপযোগী। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ছেলেরা মাঠে খেলতে পারছে না।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটিও মাঠ সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মাঠ খেলার উপযুক্ত না হওয়ায় এলাকার ছেলেরা জড়িয়ে পড়ছে নেশায়। দ্রুতই বিদ্যালয়ের মাঠ খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রশাসন ও বিদ্যালয় কমিটিকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী বানিয়াপাড়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে থাকা এই খেলার মাঠটি এখন শুধুই কালের সাক্ষী। গত দুই যুগে নদীভাঙনে মাঠটির প্রায় ৪০ শতাংশ বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই মাঠে হাঁটুপানি জমে।

এ ছাড়া মাঠ দখল করে স্থানীয় তিনটি করাত কলের মালিকেরা গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখেছেন। তবে মাঠ দখল এই প্রথম নয়। গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এই মাঠে স্থানীয় ব্যক্তিকে দোকানের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দের পর এই মাঠে রাতারাতি পাকা, আধাপাকা ঘর তুলে ফেলেন তাঁরা। যদিও ওয়ান ইলেভেনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রশাসন অবৈধ দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দেয়। দোকানগুলো ভেঙে ফেলার সময় ইট ও খোয়ার ভাঙা অংশ দীর্ঘদিন পড়েছিল মাঠে। এতে খেলার পরিবেশ নষ্ট হয়। কিন্তু মাঠের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বা কমিটি খেলার উপযোগী করার উদ্যোগও নেয়নি। আজ অযত্ন-অবহেলায় মাঠটি আজ পরিত্যক্ত।

স্থানীয় বাসিন্দা কবি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই মাঠে খেলাধুলা করেই আমরা বড় হয়েছি। এরপর সিধলী বানিয়াপাড়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিবছর বিচিত্রা অনুষ্ঠান করেছি। অথচ আজ এই মাঠ নদীভাঙনে বিলীনের পথে। দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মাঠ রক্ষায় উদ্যোগ নিলে আবারও খেলার উপযুক্ত হয়ে উঠবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এখানকার যুবকেরা মদ, জুয়া এমনকি ইয়াবার মতো নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই যুবসমাজ বিভিন্ন ধরনের অপসংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।

সিধলী বানিয়াপাড়া পাবলিক হাইস্কুলের সভাপতি সাইদুর রহমান তোতা বলেন, ‘মাঠ বিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানেই আছে। তবে সুমেশ্বরী নদীর ভাঙনে এর আয়তন ছোট হয়ে এসেছে। এখন এখানে মাঠ করতে গেলে সরকারের বড় ধরনের ভূমিকা নিতে হবে।’

কৈলাটি ইউপির চেয়ারম্যান রুবেল ভূঁইয়া বলেন, ‘যেহেতু স্কুল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ছিল; তাই এর দেখভালের দায়িত্ব তাঁদের। তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, ‘এই মাঠটি নদীভাঙনে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। মাঠটি রক্ষায় আমার কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা ওই এলাকার কেউ আসেননি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত