রেজা করিম, ঢাকা
সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিতে শেষ সময়ের কৌশল ঠিক করেছে বিএনপি। তিন মাসের একটি পরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। জুলাইয়ের শুরু থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই যাত্রা। চূড়ান্ত লক্ষ্য সরকার পতন। আগামী সেপ্টেম্বরেই এই লক্ষ্য পূরণ করতে চায় তারা।
সরকারের পতন ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি ও দলটির সমমনারা। এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে এক দফা নিয়ে অগ্রসর হতে যাচ্ছে তারা। ঈদের পরেই এক দফার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ নিয়ে শরিকদের সঙ্গে তাঁর দলের আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এক দফার আন্দোলনে যাব। এ জন্য দল প্রস্তুত। আমরা আমাদের আন্দোলন করব। সেই আন্দোলন কোন সময় জ্বলে উঠবে, সেটা বলা সম্ভব না হলেও তাকে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে চাই। তবে আমরা কোনো রক্তপাত চাই না।’
আগামী জুলাই থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার কথা বলছেন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারীরাও। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির
সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে সরকারবিরোধী সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হবে, যাতে আমরা অংশ নেব। এর আগে এক দফার যৌথ ঘোষণা আসবে।’ ঈদের পর প্রথমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরে বিএনপির সঙ্গে সার্বিক আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অনড় রয়েছে বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা দলটির ধারণা সরকারের পতন ঘটাতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটাতে চায় তারা।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, জুলাই থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন শুরু হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যে পূরণের টার্গেট রয়েছে। তবে শেষ ঝাঁকুনি দেওয়া হবে পরিস্থিতি বুঝে। যখনই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে, তখন থেকে লক্ষ্যে থাকবে ১০ দিনের মধ্যে যা করার করে ফেলা। সেটা সেপ্টেম্বরের আগেও হতে পারে। ঈদ-পরবর্তী দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আরও বিশদ আলোচনা হবে।
নতুন কর্মসূচি ‘মেহনতি মানুষের পদযাত্রা’
ছাত্র, তরুণ, যুবকদের পাশাপাশি দেশের কৃষক, শ্রমিক, শ্রমজীবী মানুষেরও সংঘবদ্ধ করে মাঠে নামাতে মেহনতি মানুষের পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দলের সমন্বয়ে ছয়টি জেলা ও বিভাগীয় শহরে এ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৫ জুলাই নোয়াখালী, ১৯ জুলাই দিনাজপুর, ২৮ জুলাই রাজশাহী, ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ ও ১৯ আগস্ট বরিশালে মেহনতি মানুষের পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ
বিএনপির পাশাপাশি দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও ভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৬টি শহরে তরুণদের নিয়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, বগুড়া ও বরিশালে সমাবেশ শেষ করেছে তারা। ৯ জুলাই সিলেট, ১৭ জুলাই খুলনা ও ২২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করার কথা রয়েছে। তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পাবে। আর ২২ জুলাই ঢাকায় হবে তারুণ্যের সমাবেশ। ওই সমাবেশে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হবে। সেই সমাবেশকে ঘিরেও চলমান আন্দোলন নতুন মাত্রা পেতে পারে বলেও আশা করছেন সংগঠনগুলোর নেতারা। এ ছাড়া বিএনপির চার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দলের যৌথ উদ্যোগে ৬ বিভাগে পদযাত্রা শুরু হচ্ছে জুলাই থেকে। চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিতে শেষ সময়ের কৌশল ঠিক করেছে বিএনপি। তিন মাসের একটি পরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। জুলাইয়ের শুরু থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই যাত্রা। চূড়ান্ত লক্ষ্য সরকার পতন। আগামী সেপ্টেম্বরেই এই লক্ষ্য পূরণ করতে চায় তারা।
সরকারের পতন ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি ও দলটির সমমনারা। এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে এক দফা নিয়ে অগ্রসর হতে যাচ্ছে তারা। ঈদের পরেই এক দফার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ নিয়ে শরিকদের সঙ্গে তাঁর দলের আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এক দফার আন্দোলনে যাব। এ জন্য দল প্রস্তুত। আমরা আমাদের আন্দোলন করব। সেই আন্দোলন কোন সময় জ্বলে উঠবে, সেটা বলা সম্ভব না হলেও তাকে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে চাই। তবে আমরা কোনো রক্তপাত চাই না।’
আগামী জুলাই থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার কথা বলছেন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারীরাও। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির
সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে সরকারবিরোধী সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হবে, যাতে আমরা অংশ নেব। এর আগে এক দফার যৌথ ঘোষণা আসবে।’ ঈদের পর প্রথমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরে বিএনপির সঙ্গে সার্বিক আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অনড় রয়েছে বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা দলটির ধারণা সরকারের পতন ঘটাতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটাতে চায় তারা।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, জুলাই থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন শুরু হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যে পূরণের টার্গেট রয়েছে। তবে শেষ ঝাঁকুনি দেওয়া হবে পরিস্থিতি বুঝে। যখনই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে, তখন থেকে লক্ষ্যে থাকবে ১০ দিনের মধ্যে যা করার করে ফেলা। সেটা সেপ্টেম্বরের আগেও হতে পারে। ঈদ-পরবর্তী দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আরও বিশদ আলোচনা হবে।
নতুন কর্মসূচি ‘মেহনতি মানুষের পদযাত্রা’
ছাত্র, তরুণ, যুবকদের পাশাপাশি দেশের কৃষক, শ্রমিক, শ্রমজীবী মানুষেরও সংঘবদ্ধ করে মাঠে নামাতে মেহনতি মানুষের পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দলের সমন্বয়ে ছয়টি জেলা ও বিভাগীয় শহরে এ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৫ জুলাই নোয়াখালী, ১৯ জুলাই দিনাজপুর, ২৮ জুলাই রাজশাহী, ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ ও ১৯ আগস্ট বরিশালে মেহনতি মানুষের পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ
বিএনপির পাশাপাশি দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও ভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৬টি শহরে তরুণদের নিয়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, বগুড়া ও বরিশালে সমাবেশ শেষ করেছে তারা। ৯ জুলাই সিলেট, ১৭ জুলাই খুলনা ও ২২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করার কথা রয়েছে। তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পাবে। আর ২২ জুলাই ঢাকায় হবে তারুণ্যের সমাবেশ। ওই সমাবেশে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হবে। সেই সমাবেশকে ঘিরেও চলমান আন্দোলন নতুন মাত্রা পেতে পারে বলেও আশা করছেন সংগঠনগুলোর নেতারা। এ ছাড়া বিএনপির চার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দলের যৌথ উদ্যোগে ৬ বিভাগে পদযাত্রা শুরু হচ্ছে জুলাই থেকে। চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫