Ajker Patrika

চার কিমি রাস্তায় দুর্ভোগ

সাখাওয়াত হোসেন, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ০৩
চার কিমি রাস্তায় দুর্ভোগ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চর এলাকার হাজারো মানুষ একটি কাঁচা রাস্তার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বছরের পর বছর। চরফরাদী ইউনিয়নের চরচাড়ালবন্দ থেকে দক্ষিণ চরটেকী হয়ে চরপাড়াতলা পর্যন্ত এই চার কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোটবড় গর্তের। দেবে গেছে অনেক জায়গায়। এতে পথচারীদের ভোগান্তি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া দুই দিনের বৃষ্টিতে রাস্তাটি একেবারেই কাদাময় হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো সড়কজুড়েই অসংখ্য ছোটবড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে কাদাময় হয়ে পড়েছে। যান চলাচলতো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে যাওয়াও দুষ্কর। কাদা আর গর্তে একাকার হয়ে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে প্রায়।

জানা গেছে, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চরপাড়াতলা, আলগীরচর, গুলোয়ারচর, দক্ষিণ চরটেকী, নারিকেলতলারচর ও কাহেৎধান্দুলসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ চলাফেরা করে এ রাস্তায়। এ ছাড়া চরাঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়া করা হয়। নদের ওপারের শত শত লোক ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে এ রাস্তা দিয়েই উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চর এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ নদী ভাঙন আর এই চার কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। সরকার আসে সরকার যায়। কিন্তু এ সড়কটি কারও চোখে পড়ে না। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না হওয়ায় সড়কটি এখন অনেকটাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক সময় অটোরিকশা, মোটরসাইকেল উল্টে গিয়ে ছোট-খাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।

দক্ষিণ চরটেকী গ্রামের আল মামুন বলেন, চর এলাকার মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এখানকার ফসল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হয়ে থাকে। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় যথাসময়ে উৎপাদিত সবজি পরিবহন করা সম্ভব হয় না। এতে সময় বেশি লাগে, পরিবহন খরচও হয় বেশি লাগে। রাস্তাটি সংস্কার কিংবা পাকা করা হলে চর এলাকার কৃষিতে পরিবর্তন আসবে। এতে কৃষকেরা একদিকে যেমন লাভবান হবেন, তেমনি চলাচলেও গতি ফিরবে।

চরকুর্শা গ্রামের সাদ্দাম হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র চলার পথ এটি। দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বাড়ে কয়েক গুন। এতে সীমাহীন ভোগান্তি হয় পথচারীদের। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশ কয়েকবার মাটি ফেলে গর্ত ভরাট করেছি। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। রাস্তাটি পাকা করে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাগবের দাবি জানান তিনি।

মাছুম নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, প্রায়ই যাত্রী নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টি হলে কাদা মাড়িয়ে আর শুকনা মৌসুমে ধুলার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ ব্যাপারে চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বলেন, রাস্তাটি আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ছিল। পাকা করতে পরবর্তীতে এলজিইডিতে স্থানান্তর করা হয়। তিন কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। রাস্তাটি পাকা হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘ওই রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সাংসদ আইআরডিপি-২ প্রকল্পে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। শিগগিরই প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়ে আসবে বলে আশা করছি। অনুমোদন হয়ে এলেই সড়কটির পাকাকরণ কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

গুলি–ককটেল ছুড়তে ছুড়তে গজারিয়ার দুর্গম চরের পুলিশ ফাঁড়িতে ডাকাত দলের হামলা

ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অষ্টগ্রামে বিক্ষোভ

কুমিল্লায় দুই ট্যাংকে পানি, তদন্ত শেষ হয়নি ১ মাসে

মব সৃষ্টিকারীরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে, আমার জীবন বড় শঙ্কায়: ফজলুর রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত