Ajker Patrika

উৎপাদন খরচ বাড়লেও আলুতে লাভের আশা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
উৎপাদন খরচ বাড়লেও আলুতে লাভের আশা

আলু উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ জয়পুরহাট। এ জেলায় উৎপাদিত আলু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে আগাম জাতের বীজআলু রোপণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে অন্যান্য জাতের বীজআলু রোপণের মৌসুম। এবার আলুর বীজ ও সারের দাম বেশি হওয়ায় আবাদ গতবারের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবু এই আলুতেই আগামী দিনের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা জানান, এবার জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে। গত সোমবার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪১ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বাকি আলু রোপণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মজিবুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর কম জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর কারণ, কৃষকদের আলুর পাশাপাশি সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সরিষা চাষ বেশি হলে ভোজ্যতেলের উৎপাদন বাড়বে। তাই সরিষা চাষের জন্য কৃষকদের প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে চাষিরা এখন আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ চাষ দেওয়ার আগে জমিতে জৈব ও রাসায়নিক সার ছিটিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কলের লাঙল দিয়ে আলু রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। কেউবা জমিতে সেচ দিচ্ছেন। জয়পুরহাট সদরের কয়রাপাড়া গ্রামের কৃষক মিলন রহমান বলেন, ‘এবার হামি মাত্র এক বিঘা জমিতে অ্যাস্টেরিক জাতের আলু চাষ করিচি। প্রতি বস্তা আলুর বীজ কিনিচি ২ হাজার ৪০০ টাকায়। সারও কিনিচি চড়া দামে। গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ৫-৬ হাজার ট্যাকা বেশি খরচ হওচে। আলু তোলার মৌসুমে, দাম ধানের মতন এনা বেশি প্যালে, ধার-দেনাগুলা শোধ করা পারনুহিনি।’

সদর উপজেলার কিন্দুল গ্রামের গফুর মোল্লা বলেন, ‘এবার আলু চাষে খরচ হওচে বেশি। ব্যবসায়ীরা চালাকি করে, চড়া দামে সার আর বীজ ব্যাচোচে। তেলের দামও বেশি। তাই এবার সব মিলিয়ে খরচ বেশি হওচে। শেষমেশ লাভ হোবে, না লোকসান হোবে বোঝোচি না।’

জেলার কালাই উপজেলার হারুনদা গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘এবার আলু লাগিয়েছি অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন নিয়ে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়া গেলে আলু বিক্রি করে মেয়েকে ভালো ঘর-বর দেখে বিয়ে দিয়ে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত