রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি বা এলপিআর শেষ হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মচারী ইসমাইল হোসেনের। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এরই মধ্যে অবসর ভাতা পাওয়ার সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা।
কিন্তু পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাঁকে। দ্বারে দ্বারে ঘুরে খরচ করতে হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। টাকা খরচের পরও ঘুরতে হয়েছে আরও চার মাস।
তাঁর মতো অবসরে যাওয়া এমন অসংখ্য রেলওয়ে কর্মকর্তা ও শ্রমিক জিম্মি দালাল চক্রের কাছে।
পেনশন বা অবসর ভাতার কাগজপত্র চূড়ান্ত করতে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের। তবে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুর বিভাগীয় উপ-অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কর্মস্থলে নতুন যোগ দিয়েছি। পেনশন গ্রহীতা কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়পত্র চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় হয়রানির শিকার হন এমন তথ্য আমার জানা নেই।’
সৈয়দপুর রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, একজন কর্মকর্তা এলপিআর শেষ করে অবসরে গেলে ভাতা চূড়ান্ত করতে সুনির্দিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তার ছাড়পত্র, বাসা বাড়ি, বিদ্যুৎ, মেডিকেল ও ঋণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। কোনো কর্মকর্তার বকেয়া থাকলে সেই বকেয়া টাকা সমন্বয় করা হয়। সবশেষে নথিপত্র যায় স্থানীয় রেলওয়ে হিসাব রক্ষণ দপ্তরে।
সূত্র আরও জানায়, রেলওয়ের কারখানা শাখার কর্মচারী আমজাদ হোসেনসহ ১৭ জনের একটি চক্র রয়েছে। তাঁরা মাস শেষে বেতন নিলেও সরকারি দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। অবসরে যাওয়া রেলওয়ে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পেনশন তদবির নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা।
প্রতিজনের কাছ থেকে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই চক্রটি পেনশন গ্রহীতাদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করেন।
অভিযুক্ত রেল কর্মচারী আমজাদ হোসেন জানান, পেনশনের নথিপত্র চূড়ান্ত করতে অনেকগুলো দপ্তরের ছাড়পত্র লাগে। এসব ছাড়পত্র আনতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হয় বলেই পেনশনে যাওয়া কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে হয়।
ভুক্তভোগী আরও কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, পেনশন ছাড়পত্র চূড়ান্ত করতে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। নিজ বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছেও ছাড় পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পেনশনের ছাড়পত্র চূড়ান্ত করতে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। কারখানার এক কর্মচারীকে (পেনশন দালাল) তিনি এই টাকা দিয়েছেন। কিন্তু ছাড়পত্র এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। আরও ২০ হাজার টাকা চাইছেন ওই ব্যক্তি।
অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি বা এলপিআর শেষ হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মচারী ইসমাইল হোসেনের। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এরই মধ্যে অবসর ভাতা পাওয়ার সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা।
কিন্তু পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাঁকে। দ্বারে দ্বারে ঘুরে খরচ করতে হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। টাকা খরচের পরও ঘুরতে হয়েছে আরও চার মাস।
তাঁর মতো অবসরে যাওয়া এমন অসংখ্য রেলওয়ে কর্মকর্তা ও শ্রমিক জিম্মি দালাল চক্রের কাছে।
পেনশন বা অবসর ভাতার কাগজপত্র চূড়ান্ত করতে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের। তবে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুর বিভাগীয় উপ-অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কর্মস্থলে নতুন যোগ দিয়েছি। পেনশন গ্রহীতা কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়পত্র চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় হয়রানির শিকার হন এমন তথ্য আমার জানা নেই।’
সৈয়দপুর রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, একজন কর্মকর্তা এলপিআর শেষ করে অবসরে গেলে ভাতা চূড়ান্ত করতে সুনির্দিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তার ছাড়পত্র, বাসা বাড়ি, বিদ্যুৎ, মেডিকেল ও ঋণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। কোনো কর্মকর্তার বকেয়া থাকলে সেই বকেয়া টাকা সমন্বয় করা হয়। সবশেষে নথিপত্র যায় স্থানীয় রেলওয়ে হিসাব রক্ষণ দপ্তরে।
সূত্র আরও জানায়, রেলওয়ের কারখানা শাখার কর্মচারী আমজাদ হোসেনসহ ১৭ জনের একটি চক্র রয়েছে। তাঁরা মাস শেষে বেতন নিলেও সরকারি দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। অবসরে যাওয়া রেলওয়ে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পেনশন তদবির নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা।
প্রতিজনের কাছ থেকে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই চক্রটি পেনশন গ্রহীতাদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করেন।
অভিযুক্ত রেল কর্মচারী আমজাদ হোসেন জানান, পেনশনের নথিপত্র চূড়ান্ত করতে অনেকগুলো দপ্তরের ছাড়পত্র লাগে। এসব ছাড়পত্র আনতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হয় বলেই পেনশনে যাওয়া কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে হয়।
ভুক্তভোগী আরও কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, পেনশন ছাড়পত্র চূড়ান্ত করতে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। নিজ বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছেও ছাড় পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পেনশনের ছাড়পত্র চূড়ান্ত করতে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। কারখানার এক কর্মচারীকে (পেনশন দালাল) তিনি এই টাকা দিয়েছেন। কিন্তু ছাড়পত্র এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। আরও ২০ হাজার টাকা চাইছেন ওই ব্যক্তি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪