Ajker Patrika

আ.লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৮

বরিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৪৬
আ.লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৮

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম কবির হোসেন খানকে (৪২) শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত সোমবার রাত ৯টার দিকে শ্রীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন মোল্লার ভাইয়ের বাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়। থানা-পুলিশ এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শ্রীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের সমর্থকদের মধ্যে গত সোমবার রাতে সংঘর্ষ হয়। চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা স্থানীয় সাংসদ পংকজ দেবনাথের সমর্থক এবং কাজী রুবেল পংকজনাথ বিরোধী গ্রুপের। স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

শ্রীপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নোমান মোল্লা জানান, সোমবার রাতে তার ওয়ার্ডের বানঘাট বাজারের জোর মসজিদে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলকে মাহফিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি ৪-৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে মাহফিলে যাচ্ছিলেন। চেয়ারম্যান হারুন মোল্লার ভাইয়ের বাড়ির সামনের রাস্তা অতিক্রম করার সময় চেয়ারম্যানের ছেলে তানভীরের নেতৃত্বে রুবেল ও তার সঙ্গীদের মোটরসাইকেল থামানো হয়। তারা বাজারের মাহফিলে রুবেলকে যেতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা হামলা চালান। তারা কবির হোসেন খান ও হাসান মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা বলেন, ‘কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে তার সঙ্গে হেরেছেন। এখন আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছেন। সোমবার রাতে ওই এলাকায় ঢুকে গ্রামের মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা করেছে। কাজী রুবেলের লোকজনই ফাঁকা গুলি করেছে। পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জন নিরীহ লোককে আটক করেছে।’

কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানিয়েছেন, তাদের মাহফিলে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে তাদের আটকে কোপাকুপি শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘একতরফা গুলি হইছে, গোলাগুলি নয়। পুলিশ এ বিষয়টি জানেন। তাই তাদের লোকজনকে বাড়ি থেকে ধরে এনেছে।’

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্রীপুর ইউনিয়নে দুটি পক্ষের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। সোমবার রাতে চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা ও আসন্ন নির্বাচনে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রুবেলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাসুদ মোল্লা, মাইদুল মোল্লা, মারজান মোল্লা ও ফিরোজন নামের ৪ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন।’ ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ঘটনাস্থলে গুলিবর্ষণ হয়েছে এমন প্রমাণ পাননি বলেও দাবি করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত