সিলেট প্রতিনিধি
‘ঘরে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি। মাটির চুলা ছিল সেটাও পানিতে তলিয়ে গেছে, তাই রান্না করতে পারছি না। খাবার পানিও নেই। আমার এক আত্মীয় কিছু খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছেন, তাই দুপুরে খেতে পারছি। রাতে কী করব জানি না।’
কথাগুলো বলছিলেন নগরীর কাজিরবাজার এলাকার বস্তির বাসিন্দা সুরাইয়া বেগম। তাঁর মতো একই অবস্থা বন্যাকবলিত নগরীর বিভিন্ন এলাকার বস্তির বাসিন্দাদের। অন্য সমস্যাগুলোর পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তাঁরা।
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। নদীর পানি উপচে গত সোমবার থেকেই তলিয়ে যেতে শুরু করে নগরের বিভিন্ন এলাকা। গতকাল মঙ্গলবার প্লাবিত এলাকায় পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরের উপশহর, তেররতন, মেন্দিবাগ, ছড়ার পাড়, সোবহানিঘাট, মাছিমপুর, তালতলা, কালিঘাট, কাজিরবাজার, শেখঘাট, লালাদীঘির পাড়, জামতলাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে নগরীর বন্যা পরিস্থিতি।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সুরমার উপচে পড়া পানি সড়ক, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে। সোমবারে যেখানে হাঁটু পানি ছিল সেখানে মঙ্গলবার কোমরপানি হয়ে গেছে। পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচলও। এসব এলাকার বাসিন্দাসহ এই প্লাবিত সড়কগুলো ব্যবহারকারীরা নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নগরীর অভিজাত এলাকা উপশহরের প্রধান সড়কে হাঁটুর ওপরে পানি। পানি ঢুকেছে উপশহরসহ আশপাশের এলাকার বাসাবাড়িতেও।
নগরীর মাছুদিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা অনিল পাল বলেন, বাসার সামনে জলে ছল ছল করছে। বাসা দুতলায় হওয়াতে রক্ষা পাইছি। কিন্তু ঘর থেকে বের হলেই হাঁটুপানি। এই হাঁটু পানি মাড়িয়ে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছি। প্রতিনিয়ত পানি বাড়তেছে। সকালের চেয়ে বিকেলে অনেক পানি বাড়ছে। এত দ্রুত পানি বাড়তে আগে দেখিনি।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ১৪.১৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১৪.১৮ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১৪.২৪ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ছিল ১৪.১৭ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১২.৭৫ সেন্টিমিটার।
সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ছিল ১০.৯৪ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১১.০৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১১.১২ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ছিল ১১.২১ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১০.৮০ সেন্টিমিটার।
এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সোমবার। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ছিল ১৬.৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১৬.৭৮, দুপুর ১২টায় ছিল ১৬.৮৮ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১৫.৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে সোমবার বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ছিল ১৩.৪৬ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১৩.৫০, দুপুর ১২টায় ছিল ১৩.৫১ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ছিল ১৩.৫৪ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১৩.০৫ সেন্টিমিটার।
‘ঘরে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি। মাটির চুলা ছিল সেটাও পানিতে তলিয়ে গেছে, তাই রান্না করতে পারছি না। খাবার পানিও নেই। আমার এক আত্মীয় কিছু খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছেন, তাই দুপুরে খেতে পারছি। রাতে কী করব জানি না।’
কথাগুলো বলছিলেন নগরীর কাজিরবাজার এলাকার বস্তির বাসিন্দা সুরাইয়া বেগম। তাঁর মতো একই অবস্থা বন্যাকবলিত নগরীর বিভিন্ন এলাকার বস্তির বাসিন্দাদের। অন্য সমস্যাগুলোর পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তাঁরা।
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। নদীর পানি উপচে গত সোমবার থেকেই তলিয়ে যেতে শুরু করে নগরের বিভিন্ন এলাকা। গতকাল মঙ্গলবার প্লাবিত এলাকায় পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরের উপশহর, তেররতন, মেন্দিবাগ, ছড়ার পাড়, সোবহানিঘাট, মাছিমপুর, তালতলা, কালিঘাট, কাজিরবাজার, শেখঘাট, লালাদীঘির পাড়, জামতলাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে নগরীর বন্যা পরিস্থিতি।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সুরমার উপচে পড়া পানি সড়ক, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে। সোমবারে যেখানে হাঁটু পানি ছিল সেখানে মঙ্গলবার কোমরপানি হয়ে গেছে। পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচলও। এসব এলাকার বাসিন্দাসহ এই প্লাবিত সড়কগুলো ব্যবহারকারীরা নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নগরীর অভিজাত এলাকা উপশহরের প্রধান সড়কে হাঁটুর ওপরে পানি। পানি ঢুকেছে উপশহরসহ আশপাশের এলাকার বাসাবাড়িতেও।
নগরীর মাছুদিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা অনিল পাল বলেন, বাসার সামনে জলে ছল ছল করছে। বাসা দুতলায় হওয়াতে রক্ষা পাইছি। কিন্তু ঘর থেকে বের হলেই হাঁটুপানি। এই হাঁটু পানি মাড়িয়ে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছি। প্রতিনিয়ত পানি বাড়তেছে। সকালের চেয়ে বিকেলে অনেক পানি বাড়ছে। এত দ্রুত পানি বাড়তে আগে দেখিনি।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ১৪.১৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১৪.১৮ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১৪.২৪ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ছিল ১৪.১৭ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১২.৭৫ সেন্টিমিটার।
সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ছিল ১০.৯৪ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১১.০৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১১.১২ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ছিল ১১.২১ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১০.৮০ সেন্টিমিটার।
এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সোমবার। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ছিল ১৬.৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১৬.৭৮, দুপুর ১২টায় ছিল ১৬.৮৮ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১৫.৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে সোমবার বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ছিল ১৩.৪৬ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১৩.৫০, দুপুর ১২টায় ছিল ১৩.৫১ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ছিল ১৩.৫৪ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেন্জার লেভেল হচ্ছে ১৩.০৫ সেন্টিমিটার।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫