নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার লিখিত অভিযোগ জানাতে নরসিংদী মডেল থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনেরা। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই মা ও নবজাতকের মৃত্যু ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম সালেহা বেগম (৩০)। তিনি নরসিংদী শহরের শালিধা নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক হান্নান মিয়ার স্ত্রী।
নিহত নারীর স্বজনেরা জানান, গত শুক্রবার দুপুরের পর শহরের ওই ক্লিনিকে গর্ভের শিশুর পরিস্থিতি জানার জন্য আলট্রাসনোগ্রাম করাতে যান প্রসূতি সালেহা। আলট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট সেখানকার একজন নারী চিকিৎসককে দেখান তিনি। ওই চিকিৎসক তাঁকে জানান, ১৫ দিন পর তাঁর প্রসবের সম্ভাব্য সময়। তবে ইচ্ছে করলে তিনি সিজার করাতে পারেন। বিষয়টি জানালে এক সপ্তাহ দেখার পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেন স্বজনেরা। এই আলোচনার মধ্যেই ওই চিকিৎসক সালেহাকে স্যালাইন দেওয়ার কথা বলে কেবিনে নিয়ে যান।
স্বজনেরা আরও জানান, সন্ধ্যার দিকে ওই নারী চিকিৎসক স্বজনদের জানান, সালেহার তীব্র খিঁচুনি উঠেছে, দ্রুত কয়েক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন, অথচ সালেহা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। রাত ৮টার দিকে স্বজনদের কাউকে কিছু না বলে সালেহাকে হাঁটিয়ে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে নেওয়া হয়। পরে তাঁরা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে সালেহার সিজার করেন। রাত ৯টার দিকে স্বজনদের হাতে একটি ছেলে নবজাতক তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু চোখ না ফোটায় তাপের মধ্যে রাখার কথা বলে নবজাতককে আবার ভেতরে নিয়ে যান তাঁরা।
এরপর দীর্ঘ সময় পরও অপারেশন থিয়েটার থেকে সালেহাকে বের করছিলেন না তাঁরা। রাত ১১টার দিকে ওই চিকিৎসক ও নার্স অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সালেহাকে তুলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, স্বজনেরা জানতে চাইলে তাঁরা জানান, অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ওই সময় সালেহার দুই বোন ও একজন বোনজামাই তাঁদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন। ওই সময় সালেহা জিব বের করে দাঁতে কামড় দেওয়া অবস্থায় ছিল। শরীর ছিল বরফের মতো ঠান্ডা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাপ এলাকায় পৌঁছার পরই অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে ওই চিকিৎসক ও নার্স নেমে পালিয়ে যান। ওই অবস্থায় স্বজনেরা সালেহাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ২-৩ ঘণ্টা আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রাত ১১টার দিকে নবজাতককে স্বজনদের হাতে তুলে দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নবজাতকের অবস্থা ভালো না, তাকে তাড়াতাড়ি নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ওই হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরামর্শ দেন দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে। রাত ২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা হন স্বজনেরা। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। মা ও নবজাতকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
সালেহার ছোট বোন রাশিদা বেগম বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকাল থেকে মামলা করতে থানার সামনে বসে আছি, কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না।’
নরসিংদী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় ক্লিনিকটির দুই কর্মকর্তাকে থানায় এনেছি। ফৌজদারি বিষয় না হওয়ায় আমরা এ ঘটনায় মামলা নিতে পারছি না। বিষয়টি সিভিল সার্জনের পরামর্শে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ একটি দল ক্লিনিকটি সিলগালা করতে যায়। কিন্তু সেখানে কিছু রোগী ভর্তি থাকায় ক্লিনিকটি সিলগালা করা যায়নি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
নরসিংদী শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার লিখিত অভিযোগ জানাতে নরসিংদী মডেল থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনেরা। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই মা ও নবজাতকের মৃত্যু ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম সালেহা বেগম (৩০)। তিনি নরসিংদী শহরের শালিধা নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক হান্নান মিয়ার স্ত্রী।
নিহত নারীর স্বজনেরা জানান, গত শুক্রবার দুপুরের পর শহরের ওই ক্লিনিকে গর্ভের শিশুর পরিস্থিতি জানার জন্য আলট্রাসনোগ্রাম করাতে যান প্রসূতি সালেহা। আলট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট সেখানকার একজন নারী চিকিৎসককে দেখান তিনি। ওই চিকিৎসক তাঁকে জানান, ১৫ দিন পর তাঁর প্রসবের সম্ভাব্য সময়। তবে ইচ্ছে করলে তিনি সিজার করাতে পারেন। বিষয়টি জানালে এক সপ্তাহ দেখার পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেন স্বজনেরা। এই আলোচনার মধ্যেই ওই চিকিৎসক সালেহাকে স্যালাইন দেওয়ার কথা বলে কেবিনে নিয়ে যান।
স্বজনেরা আরও জানান, সন্ধ্যার দিকে ওই নারী চিকিৎসক স্বজনদের জানান, সালেহার তীব্র খিঁচুনি উঠেছে, দ্রুত কয়েক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন, অথচ সালেহা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। রাত ৮টার দিকে স্বজনদের কাউকে কিছু না বলে সালেহাকে হাঁটিয়ে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে নেওয়া হয়। পরে তাঁরা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে সালেহার সিজার করেন। রাত ৯টার দিকে স্বজনদের হাতে একটি ছেলে নবজাতক তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু চোখ না ফোটায় তাপের মধ্যে রাখার কথা বলে নবজাতককে আবার ভেতরে নিয়ে যান তাঁরা।
এরপর দীর্ঘ সময় পরও অপারেশন থিয়েটার থেকে সালেহাকে বের করছিলেন না তাঁরা। রাত ১১টার দিকে ওই চিকিৎসক ও নার্স অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সালেহাকে তুলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, স্বজনেরা জানতে চাইলে তাঁরা জানান, অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ওই সময় সালেহার দুই বোন ও একজন বোনজামাই তাঁদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন। ওই সময় সালেহা জিব বের করে দাঁতে কামড় দেওয়া অবস্থায় ছিল। শরীর ছিল বরফের মতো ঠান্ডা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাপ এলাকায় পৌঁছার পরই অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে ওই চিকিৎসক ও নার্স নেমে পালিয়ে যান। ওই অবস্থায় স্বজনেরা সালেহাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ২-৩ ঘণ্টা আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রাত ১১টার দিকে নবজাতককে স্বজনদের হাতে তুলে দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নবজাতকের অবস্থা ভালো না, তাকে তাড়াতাড়ি নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ওই হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরামর্শ দেন দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে। রাত ২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা হন স্বজনেরা। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। মা ও নবজাতকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
সালেহার ছোট বোন রাশিদা বেগম বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকাল থেকে মামলা করতে থানার সামনে বসে আছি, কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না।’
নরসিংদী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় ক্লিনিকটির দুই কর্মকর্তাকে থানায় এনেছি। ফৌজদারি বিষয় না হওয়ায় আমরা এ ঘটনায় মামলা নিতে পারছি না। বিষয়টি সিভিল সার্জনের পরামর্শে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ একটি দল ক্লিনিকটি সিলগালা করতে যায়। কিন্তু সেখানে কিছু রোগী ভর্তি থাকায় ক্লিনিকটি সিলগালা করা যায়নি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪