Ajker Patrika

আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৫০
আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে পদবঞ্চিত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠনে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ এবং কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে ১০ থেকে ১২ জন বিভিন্ন পদে থাকা নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ সময় সব ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিতদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সাবেক পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ফজল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ করে অবিলম্বে কমিটি বাতিল ও পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি জানান। এ ছাড়া কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলত জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মমিন মণ্ডলের পছন্দের মানুষকে নিয়ে এ কমিটি করেছেন। ফলে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা বাদ পড়েছেন।

দেলুয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাক সরকার বলেন, ‘২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দেলুয়া কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু গত বছর প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের নির্বাচন করতে বলায় আমি তা প্রত্যাখ্যান করে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করি। সে জন্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আমার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর পরিবর্তে একজন জাতীয় পার্টি ও অন্যজন ফ্রিডম পার্টির কর্মী ছিলেন, তাঁদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।’

ক্ষিদ্রমাটিয়া দক্ষিণ ২ নম্বর ওয়ার্ডের বক্কার শেখ বলেন, ‘১৯৭০ সাল থেকে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ৪০ বছর ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। স্বাধীনতাযুদ্ধে আমার বড় ভাইকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে। আমি একজন শহীদ পরিবারের সন্তান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে বললে আমি তা প্রত্যাখ্যান করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় আমার প্রার্থিতা বাতিল করে বের করে দেন। ’

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী দেলখোশ আলী প্রামাণিক বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। যাঁরা গত উপজেলা এবং পৌর নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহ প্রার্থীর নির্বাচন করেছেন, তাঁদের মূল কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত