সম্পাদকীয়
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘দেশপ্রেমের জন্য কোনো ট্যাবলেট নেই।’ কথাটি যথার্থ এবং এ রকম একটি সহজ সত্যকে অবলীলায় প্রকাশ করার জন্য তিনি সাধুবাদ পেতেই পারেন। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জনশুনানি: জাতীয় উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাস্তবতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আমরা সেই অনুষ্ঠানের কথায় বিস্তারিতভাবে যাব না। তবে এ অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান দেশের উন্নতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমস্যা, গার্মেন্টসকর্মীদের সমস্যা, প্রান্তিক মানুষের সমস্যা নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন, তা নিয়ে ভাবা জরুরি এবং এই ভাবনার সঙ্গে দেশপ্রেমের সম্পর্ক নিবিড়।
দেশপ্রেম যে ট্যাবলেট নয় এবং তা গিলে খেলেই মানুষ দেশপ্রেমী হয়ে উঠবে না, এটা খুব জরুরি কথা। মুখের বুলি অথবা তোষামোদির মাধ্যমে দেশপ্রেম গজিয়ে ওঠে না।
জীবনাচরণের সর্বক্ষেত্রেই যদি দেশপ্রেমের চাষবাস না হয়, তাহলে সেটা কথার কথা হিসেবেই রয়ে যায়। কোনো যুক্তিসংগত ভাবনার সঙ্গে তা মিলতে পারে না।
আমাদের দুর্ভাগ্য, পরিবারে, শিক্ষালয়ে, সামাজিক আলোচনায়, রাজনীতির মঞ্চে সবকিছুই থাকছে, শুধু অবহেলিত থাকছে দেশ। আমাদের এই দেশে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে একটি পক্ষ প্রবলভাবে বিদ্যমান। এই মানুষদের জীবনে আর যা-ই থাকুক, দেশপ্রেম থাকবে না—এ কথা অনায়াসেই বলে দেওয়া যায়। যারা এই দেশের মুক্তিযুদ্ধকেই স্বাগত জানায়নি, তারা দেশটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাবে, এ নিয়ে নতুন করে বলার কী আছে?
যাঁরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে নিজেদের পরিচয় দেন, তাঁদের মধ্যেও মুখস্থবিদ্যার প্রভাব প্রকট। ইতিহাসের কয়েকটি সাল-তারিখ এবং জাতীয় নেতাদের নাম মুখস্থ করলেই যে দেশপ্রেমে বলীয়ান হওয়া যায় না, সেটা তাঁরা ভুলে যান। ভুলে যান যে দেশের জন্য কাজ, তথা নিজে যে কাজে দক্ষ, সেটা আন্তরিক ও সৎভাবে করে যাওয়ার মধ্যেও দেশপ্রেম বিদ্যমান। সবাই নিজের কাজটা ঠিকভাবে করলে সততা আর আন্তরিকতাই দেশপ্রেমের একটা আবহ তৈরি করতে পারে। তখন ঘুষ, দুর্নীতি দূর হতে পারে।
কিন্তু রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতিসহ সব জায়গাতেই যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যাতে মনে হয় দেশপ্রেমের ট্যাবলেট গিলেই এই মানুষেরা দেশের উন্নতি করার কথা ভাবছেন। আর কিছু নয়।
আমাদের শিক্ষালয়গুলোয় যে পড়াশোনা হয়, তা যুগোপযোগী নয়। আমাদের রাজনীতিতে রয়েছে সততা আর নৈতিকতার অভাব। আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে চলছে লুটের কারবার, আমাদের অর্থনীতিতে চলছে গোঁজামিলের খেলা—এভাবে চলতে থাকলে কোথাও গিয়ে ঠাঁই পাওয়া যাবে না। ফলে যা দাঁড়াচ্ছে, অর্থ-প্রভাব-প্রতিপত্তি-সম্মান সবকিছুরই দেখা পাওয়া যাচ্ছে, বাদ থাকছে শুধু দেশপ্রেম।
দেশপ্রেম এমন কোনো পুঁজি নয়, যা ভাঙিয়ে খাওয়া যায়। এই অর্থে দেশপ্রেমের কোনো ট্যাবলেট নেই।
সে কথা যত তাড়াতাড়ি হৃদয়ঙ্গম করা যাবে, ততই তা আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘দেশপ্রেমের জন্য কোনো ট্যাবলেট নেই।’ কথাটি যথার্থ এবং এ রকম একটি সহজ সত্যকে অবলীলায় প্রকাশ করার জন্য তিনি সাধুবাদ পেতেই পারেন। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জনশুনানি: জাতীয় উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাস্তবতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আমরা সেই অনুষ্ঠানের কথায় বিস্তারিতভাবে যাব না। তবে এ অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান দেশের উন্নতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমস্যা, গার্মেন্টসকর্মীদের সমস্যা, প্রান্তিক মানুষের সমস্যা নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন, তা নিয়ে ভাবা জরুরি এবং এই ভাবনার সঙ্গে দেশপ্রেমের সম্পর্ক নিবিড়।
দেশপ্রেম যে ট্যাবলেট নয় এবং তা গিলে খেলেই মানুষ দেশপ্রেমী হয়ে উঠবে না, এটা খুব জরুরি কথা। মুখের বুলি অথবা তোষামোদির মাধ্যমে দেশপ্রেম গজিয়ে ওঠে না।
জীবনাচরণের সর্বক্ষেত্রেই যদি দেশপ্রেমের চাষবাস না হয়, তাহলে সেটা কথার কথা হিসেবেই রয়ে যায়। কোনো যুক্তিসংগত ভাবনার সঙ্গে তা মিলতে পারে না।
আমাদের দুর্ভাগ্য, পরিবারে, শিক্ষালয়ে, সামাজিক আলোচনায়, রাজনীতির মঞ্চে সবকিছুই থাকছে, শুধু অবহেলিত থাকছে দেশ। আমাদের এই দেশে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে একটি পক্ষ প্রবলভাবে বিদ্যমান। এই মানুষদের জীবনে আর যা-ই থাকুক, দেশপ্রেম থাকবে না—এ কথা অনায়াসেই বলে দেওয়া যায়। যারা এই দেশের মুক্তিযুদ্ধকেই স্বাগত জানায়নি, তারা দেশটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাবে, এ নিয়ে নতুন করে বলার কী আছে?
যাঁরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে নিজেদের পরিচয় দেন, তাঁদের মধ্যেও মুখস্থবিদ্যার প্রভাব প্রকট। ইতিহাসের কয়েকটি সাল-তারিখ এবং জাতীয় নেতাদের নাম মুখস্থ করলেই যে দেশপ্রেমে বলীয়ান হওয়া যায় না, সেটা তাঁরা ভুলে যান। ভুলে যান যে দেশের জন্য কাজ, তথা নিজে যে কাজে দক্ষ, সেটা আন্তরিক ও সৎভাবে করে যাওয়ার মধ্যেও দেশপ্রেম বিদ্যমান। সবাই নিজের কাজটা ঠিকভাবে করলে সততা আর আন্তরিকতাই দেশপ্রেমের একটা আবহ তৈরি করতে পারে। তখন ঘুষ, দুর্নীতি দূর হতে পারে।
কিন্তু রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতিসহ সব জায়গাতেই যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যাতে মনে হয় দেশপ্রেমের ট্যাবলেট গিলেই এই মানুষেরা দেশের উন্নতি করার কথা ভাবছেন। আর কিছু নয়।
আমাদের শিক্ষালয়গুলোয় যে পড়াশোনা হয়, তা যুগোপযোগী নয়। আমাদের রাজনীতিতে রয়েছে সততা আর নৈতিকতার অভাব। আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে চলছে লুটের কারবার, আমাদের অর্থনীতিতে চলছে গোঁজামিলের খেলা—এভাবে চলতে থাকলে কোথাও গিয়ে ঠাঁই পাওয়া যাবে না। ফলে যা দাঁড়াচ্ছে, অর্থ-প্রভাব-প্রতিপত্তি-সম্মান সবকিছুরই দেখা পাওয়া যাচ্ছে, বাদ থাকছে শুধু দেশপ্রেম।
দেশপ্রেম এমন কোনো পুঁজি নয়, যা ভাঙিয়ে খাওয়া যায়। এই অর্থে দেশপ্রেমের কোনো ট্যাবলেট নেই।
সে কথা যত তাড়াতাড়ি হৃদয়ঙ্গম করা যাবে, ততই তা আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫