Ajker Patrika

খালের অংশ ভরাট করে রাস্তা

মো. খায়রুল ইসলাম, গৌরনদী
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ৩৮
খালের অংশ ভরাট করে রাস্তা

গৌরনদী উপজেলার একটি খালের অংশ দখল করে রাস্তা বানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানিতে ডুবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাঁধ অপসারণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী। অবশ্য অভিযুক্তদের দাবি নিজেদের জায়গা বাঁধ দিয়েছেন, সরকারি জায়গায় নয়।

ভুক্তভোগী কৃষক, ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার দিয়াসুর চকিদার বাড়ি হইতে বড় খাল (মোল্লা খাল) ভায়া বাংলা বাজার সরকারি খালটির বয়স ২০০ বছর। বর্তমানে এই খালটি প্রভাবশালীরা জবর দখল করে বালু দিয়েভরাট করায় দুই গ্রামের মানুষ ভোগান্তিকে পড়েছেন। আমন ধানের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

জানা যায় সরকারি খালটির মধ্যবর্তী স্থানে, নিজেদের বাড়ির সামনে দিয়াশুর গ্রামের মৃত হাতেম আলী হাওলাদারের ছেলে সুলতান হাওলাদার (৬৫), দুলাল হাওলাদার (৫০), ভাতিজা সাইদুল হাওলাদার (৪৫) দুই শ ফুটের একটি বাঁধ দিয়েছেন। বাঁধের ফলে গত ৩-৪ দিনের বৃষ্টিতে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ৫০০ একর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কালনা ও দিয়াসুর দুই গ্রামের ৫০০ পরিবারকে জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মুরগির ফার্ম ও গরুর খামারে পানি ঢুকে আর্থিক ক্ষতি হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালনা ও দিয়াসুর গ্রামের আমন ধান ডুবে গেছে। বাড়িতে আঙিনায় পানি জমে, পথ ঘাট কর্দমাক্ত হয়ে ভোগান্তি হচ্ছে মানুষের।

দিয়াসুর গ্রামের কয়েকজন বৃদ্ধ বলেন, মোগো বাপ দাদা ও হ্যাগো পূর্ব পুরুষেরা খাল দিয়া নৌকায় ধান আখ আনা নেওয়া করত। হেই সরকারি খাল দহল করায় মোগো ফসল নষ্ট অইয়া গেছে।

গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৫০) বলেন, ‘খালে বান দেয়ায় মোগো গ্রামের হগোলডিরি বাড়ি ঘরে পানি ওঠছে, মোগো রাস্তা ডুবে গেছে।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে দুলাল হাওলাদার বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় বাঁধ দিয়ে ভরাট করেছি। কোনো সরকারি খাল দখল করিনি। কিছু লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

গৌরনদী পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইখতিয়ার হোসেন বলেন, ‘খাল ভরাটে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ও মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আমি কৃষক ও এলাকাবাসীর দাবিকে সমর্থন করছি।’

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। কোনো ব্যক্তির জন্য জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। সরকারি খাল দখলকারীদের আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জনস্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত