Ajker Patrika

তিস্তার চরে সবজি চাষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৪
তিস্তার চরে সবজি চাষ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ বালুচরে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন শাকসবজি। এতে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। ধু-ধু বালুচরে এখন সবুজের সমারোহ। মরা তিস্তা যেন ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে। তিস্তার গর্ভে জমি জিরাত হারানো পরিবারগুলো চরের জমিতে ফসল ফলিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডীপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি শুকিয়ে আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। তিস্তার বালু চর এখন আলু, ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ, বেগুন, বাদাম, রসুন, সরিষা, তিল, তিশিসহ নানাবিধ শাকসবজিতে ভরে উঠেছে।

উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরের মোবারক আলী জানান, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে তিনি চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজ, মরিচ, আলু ও রসুন চাষাবাদ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি ২০ হাজার টাকার আলু, ১০ হাজার টাকার পেঁয়াজ, ১০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। লক্ষাধিক টাকা লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি বলেন, ‘চরের মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি। পাশাপাশি গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি ও কবুতর পালন করে আসছেন তাঁরা। তিস্তার গতি পরিবর্তন হয়ে অসংখ্য শাখা নদীতে পরিণত হয়েছে। তিস্তার বালু চরে কৃষকেরা বিভিন্ন ফসল ফলাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির জানান, উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এর সিংহভাগ চাষাবাদ হয়েছে তিস্তার চরাঞ্চলে। বর্ষাকালে পলি জমে চরের জমিগুলো উর্বর হওয়ায় সব ফসলের ফলন ভালো হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত