Ajker Patrika

জনবল সংকটে বিঘ্নিত স্বাস্থ্যসেবা

গঙ্গাচড়া ও তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৫৩
জনবল সংকটে বিঘ্নিত স্বাস্থ্যসেবা

গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে সেবাদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

উপজেলার সাধারণ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল এই ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে স্বাস্থ্য সহকারীর পদ রয়েছে ৪৩টি। যার মধ্যে ১৬টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে আছে। বাধ্য হয়ে কর্মকর্তারা নিজেরা চাঁদা দিয়ে হাসপাতালে তিনজন আয়া নিয়োগ করেছেন।

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তার ১২ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে রেজাউল করিম নামে একজন গত বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেজাউলের বাড়ি রংপুর মহানগরীর উত্তম মনোহর এলাকায়। তিনি এখন নগরীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিক চালান। হাসপাতালে বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে গত বছরের ৮ জানুয়ারি, ২৬ জুন ও সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

রেজাউল এর আগেও দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পর ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর হাসপাতালে ফেরেন। তবে মাত্র ১৩ দিন কাজ করার পর বেতন-ভাতা নিয়ে আবার চলে যান। এখন অবদি তিনি হাসপাতালে ফেরেননি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানে চিকিৎসকের পদ আছে ৩১টি। তবে দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তা উপজেলার গজঘণ্টা ও বেতগাড়ী ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা দেন। একজন চিকিৎসক রংপুর কারাগার হাসপাতালে এবং তিনজন করোনা হাসপাতালে প্রেষণে রয়েছেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন আটজন। চক্ষু ও হৃদ্‌রোগের বিশেষজ্ঞ পদে চিকিৎসক নেই। শিশুদের চিকিৎসাসেবাও ব্যাহত হচ্ছে। শিশু বিশেষজ্ঞ সিফাত বিনতে করিম গত ৮ আগস্ট থেকে মাতৃত্বকালীন ৬ মাসের ছুটিতে আছেন।

হাসপাতালে নার্সের পদ আছে ৩২টি। কর্মরত আছেন ২৯ জন। তৃতীয় শ্রেণির ৯৩টি মঞ্জুরি পদের বিপরীতে জনবল আছে ৬২ জন। এখন পর্যন্ত চতুর্থ শ্রেণির দুটি পদ খালি রয়েছে।

আয়ার পদ আছে মাত্র দুটি। এ পদে দুজন কর্মরতও আছেন। তাঁদের কাজ হচ্ছে হাসপাতালের অভ্যন্তরে চিকিৎসাসেবায় নার্স ও চিকিৎসকদের সহযোগিতা করা। কিন্তু দুজন আয়াকে দিয়ে কাজ সামাল দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় চিকিৎসকেরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে বাড়তি আরও তিনজনকে রেখে হাসপাতালে কাজ করাচ্ছেন।

সূত্র আরো জানায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১১ মাসে অন্তর্বিভাগে ৪ হাজার ৪০০ জন, বহির্বিভাগে ৯০ হাজার ৯০৮ জন ও জরুরি বিভাগে ৮ হাজার ৪৫৫ জন চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এখানে প্রায় প্রতিদিনই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার করানো হয়। চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে দিনে গড়ে অন্তত ৫০০ জনকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস বলেন, ‘হাসপাতালটি এ উপজেলার সাধারণ মানুষের একমাত্র চিকিৎসার ভরসাস্থল। কিন্তু জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে জরুরি জনবল প্রয়োজন। আমরা কম জনবল নিয়েও দিনরাত পরিশ্রম করে এখানে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালটিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য প্রহরী নিয়োগ করা দরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় ঝামেলা বাড়বে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত