নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা সহনীয় পর্যায়ে আসায় প্রায় দুই বছর পর আবাসন খাতে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। আর এ সুযোগে মধ্যবিত্ত নগরবাসীও নিজের একটি নীড় গড়ে তোলার অধরা স্বপ্নকে মুঠোবন্দী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে রাজধানীতে অনেক দিন পর শুরু হওয়া প্রতীক্ষিত আবাসন মেলা তাদের ইচ্ছেকে বাস্তব রূপ দেওয়ায় সহায়তা করছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান রিহ্যাবের আবাসন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্যোক্তারা সহনীয় দামে এবং সেরা মানের পণ্য ও সেবার পসরা সাজিয়ে ফ্ল্যাট বা বাড়ির ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। আর ক্রেতারাও দীর্ঘদিনের মনের ভেতরের লালিত স্বপ্নকে সত্যি করতে মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফ্ল্যাট ও প্লটের অফার দেখছেন, চিন্তা করছেন। কেউ কেউ বুকিং দিচ্ছেন। অনেকে ফ্ল্যাট দেখার পাশাপাশি নিজের ফ্ল্যাটের জন্য টাইলস, রং, ইলেকট্রিক সামগ্রী কিংবা লিফট, জেনারেটরসহ অন্যান্য সহযোগী উপরকণও পরখ করে নিচ্ছেন। এসব মিলিয়ে ফ্ল্যাটের বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে অসাধারণ মেলবন্ধন হয়ে উঠছে রাজধানীর আবাসন মেলা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মেলা শুরু হলেও প্রকৃতপক্ষে শুক্রবার ছুটির দিনই ক্রেতা-গ্রাহকদের উপস্থিতি ও আগ্রহ দেখা যায়। আর গতকাল শনিবার তা আরও বাড়তে থাকে। দুদিনের ছুটিতে অপেক্ষাকৃত বেশি সংখ্যক ক্রেতা ও আগ্রহী দর্শনার্থীদের রিহ্যাবের আবাসন মেলায় দেখা যায়। তাঁরা দেশের স্বনামধন্য কোম্পানির পাশাপাশি রিহ্যাবের সদস্য সাধারণ কোম্পানির ফ্ল্যাট ও প্লটের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন। অনেকে দামের সঙ্গে নিজের সাধ ও সাধ্যের ভারসাম্য খোঁজারও চেষ্টা করেন। ক্রেতাদের অধিকাংশই স্বল্পমূল্যের ছোট ফ্ল্যাট কেনার ব্যাপারে বেশি আগ্রহ দেখান। বিশেষ করে ১০০ থেকে ১২০০ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটের দিকেই বেশি মনোযোগ দেখা গেছে ক্রেতাদের। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ৭ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি স্কয়ার ফুটের দাম অফার করছেন। দামের ব্যাপারে ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও উদ্যোক্তারা জানান, গেল কয়েক মাস ধরে নির্মাণসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাটের দামও বাড়ছে। তবে যতটা পারা যায় দাম সহনীয় রেখে তা যেন মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের হাতের নাগালে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।
মেলায় বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত ছোট ফ্ল্যাটের দিকেই ক্রেতাদের বেশি মনোযোগ। কারণ একটি বড় আকারের ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার ওপরে। আর মাঝারি মানের ফ্ল্যাটের দামও ৭০ বা ৮০ লাখের কাছাকাছি। তাই ক্রেতাদের চাহিদা ৪০ থেকে ৫০ লাখের মধ্যে। এটা কঠিন বিষয়। তারপরও নানান অফারে ও সহজ শর্তে ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, আবাসন মেলা ঘিরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে আবাসনের সঙ্গে জড়িত পুরো নির্মাণ খাতের আরও অসংখ্য সহযোগী উপখাত। রাজধানীতে মানুষের নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই করার প্রচেষ্টায় প্লট, ফ্ল্যাটের ব্যবসা যেমন গতি পায়, তেমনি এর সঙ্গে জড়িত শিল্প বিশেষ করে রড, সিমেন্ট, টাইলস, রঙের ব্যবসাও সমানভাবে এগিয়ে যায়। মেলায় আসা আগ্রহী ক্রেতারা ফ্ল্যাট কেনার দিকে যতটা মনোযোগ দিচ্ছেন, অন্য সহযোগী খাতের দিকেও নজর থাকছে সমানভাবে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে আবাসন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মেলায় স্টল ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে হাজির হয়েছেন সহযোগী শিল্পের উদ্যোক্তারা। সরেজমিনে এবং অনেকের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া যায়।
নির্মাণসামগ্রীর স্টলগুলোতেও ক্রেতারা ঘুরে দেখছেন, দরদাম করছেন, পণ্যের অর্ডারও দিয়ে ফেলছেন। মেলায় অংশ নেওয়া ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের করপোরেট ও ব্র্যান্ডিং বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হক বলেন, ‘মানুষের আগ্রহের জায়গাটা আমরা অনুভব করতে পারছি। যাঁরা প্লট বা ফ্ল্যাট কিনতে আসছেন, তাঁরা আমাদের টাইলসগুলো দেখছেন, নিজেদের বাসার জন্য অর্ডারও করে যাচ্ছেন।’
স্টোন ব্রিকসের স্টলে দেখা গেল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, ক্রেতাদের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। দোহার থেকে মেলায় আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, জমি আর ফ্ল্যাট থাকলে তো হয় না। অন্য জিনিসপত্রও লাগে।
করোনা সহনীয় পর্যায়ে আসায় প্রায় দুই বছর পর আবাসন খাতে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। আর এ সুযোগে মধ্যবিত্ত নগরবাসীও নিজের একটি নীড় গড়ে তোলার অধরা স্বপ্নকে মুঠোবন্দী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে রাজধানীতে অনেক দিন পর শুরু হওয়া প্রতীক্ষিত আবাসন মেলা তাদের ইচ্ছেকে বাস্তব রূপ দেওয়ায় সহায়তা করছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান রিহ্যাবের আবাসন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্যোক্তারা সহনীয় দামে এবং সেরা মানের পণ্য ও সেবার পসরা সাজিয়ে ফ্ল্যাট বা বাড়ির ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। আর ক্রেতারাও দীর্ঘদিনের মনের ভেতরের লালিত স্বপ্নকে সত্যি করতে মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফ্ল্যাট ও প্লটের অফার দেখছেন, চিন্তা করছেন। কেউ কেউ বুকিং দিচ্ছেন। অনেকে ফ্ল্যাট দেখার পাশাপাশি নিজের ফ্ল্যাটের জন্য টাইলস, রং, ইলেকট্রিক সামগ্রী কিংবা লিফট, জেনারেটরসহ অন্যান্য সহযোগী উপরকণও পরখ করে নিচ্ছেন। এসব মিলিয়ে ফ্ল্যাটের বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে অসাধারণ মেলবন্ধন হয়ে উঠছে রাজধানীর আবাসন মেলা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মেলা শুরু হলেও প্রকৃতপক্ষে শুক্রবার ছুটির দিনই ক্রেতা-গ্রাহকদের উপস্থিতি ও আগ্রহ দেখা যায়। আর গতকাল শনিবার তা আরও বাড়তে থাকে। দুদিনের ছুটিতে অপেক্ষাকৃত বেশি সংখ্যক ক্রেতা ও আগ্রহী দর্শনার্থীদের রিহ্যাবের আবাসন মেলায় দেখা যায়। তাঁরা দেশের স্বনামধন্য কোম্পানির পাশাপাশি রিহ্যাবের সদস্য সাধারণ কোম্পানির ফ্ল্যাট ও প্লটের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন। অনেকে দামের সঙ্গে নিজের সাধ ও সাধ্যের ভারসাম্য খোঁজারও চেষ্টা করেন। ক্রেতাদের অধিকাংশই স্বল্পমূল্যের ছোট ফ্ল্যাট কেনার ব্যাপারে বেশি আগ্রহ দেখান। বিশেষ করে ১০০ থেকে ১২০০ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটের দিকেই বেশি মনোযোগ দেখা গেছে ক্রেতাদের। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ৭ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি স্কয়ার ফুটের দাম অফার করছেন। দামের ব্যাপারে ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও উদ্যোক্তারা জানান, গেল কয়েক মাস ধরে নির্মাণসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাটের দামও বাড়ছে। তবে যতটা পারা যায় দাম সহনীয় রেখে তা যেন মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের হাতের নাগালে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।
মেলায় বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত ছোট ফ্ল্যাটের দিকেই ক্রেতাদের বেশি মনোযোগ। কারণ একটি বড় আকারের ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার ওপরে। আর মাঝারি মানের ফ্ল্যাটের দামও ৭০ বা ৮০ লাখের কাছাকাছি। তাই ক্রেতাদের চাহিদা ৪০ থেকে ৫০ লাখের মধ্যে। এটা কঠিন বিষয়। তারপরও নানান অফারে ও সহজ শর্তে ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, আবাসন মেলা ঘিরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে আবাসনের সঙ্গে জড়িত পুরো নির্মাণ খাতের আরও অসংখ্য সহযোগী উপখাত। রাজধানীতে মানুষের নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই করার প্রচেষ্টায় প্লট, ফ্ল্যাটের ব্যবসা যেমন গতি পায়, তেমনি এর সঙ্গে জড়িত শিল্প বিশেষ করে রড, সিমেন্ট, টাইলস, রঙের ব্যবসাও সমানভাবে এগিয়ে যায়। মেলায় আসা আগ্রহী ক্রেতারা ফ্ল্যাট কেনার দিকে যতটা মনোযোগ দিচ্ছেন, অন্য সহযোগী খাতের দিকেও নজর থাকছে সমানভাবে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে আবাসন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মেলায় স্টল ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে হাজির হয়েছেন সহযোগী শিল্পের উদ্যোক্তারা। সরেজমিনে এবং অনেকের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া যায়।
নির্মাণসামগ্রীর স্টলগুলোতেও ক্রেতারা ঘুরে দেখছেন, দরদাম করছেন, পণ্যের অর্ডারও দিয়ে ফেলছেন। মেলায় অংশ নেওয়া ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের করপোরেট ও ব্র্যান্ডিং বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হক বলেন, ‘মানুষের আগ্রহের জায়গাটা আমরা অনুভব করতে পারছি। যাঁরা প্লট বা ফ্ল্যাট কিনতে আসছেন, তাঁরা আমাদের টাইলসগুলো দেখছেন, নিজেদের বাসার জন্য অর্ডারও করে যাচ্ছেন।’
স্টোন ব্রিকসের স্টলে দেখা গেল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, ক্রেতাদের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। দোহার থেকে মেলায় আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, জমি আর ফ্ল্যাট থাকলে তো হয় না। অন্য জিনিসপত্রও লাগে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫