Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধুর ছবির স্বত্ব রাষ্ট্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ১১
বঙ্গবন্ধুর ছবির স্বত্ব রাষ্ট্রের

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক সব ছবির স্বত্ব একমাত্র রাষ্ট্রের বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বঙ্গবন্ধুর নামে বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।

রায়ের পর সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ছবিগুলো কীভাবে ব্যবহার হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো আইন বা বিধান ছিল না। শুধু এই দুটি বই নয়, আরও বিভিন্ন বইয়ে ছবিগুলো ব্যবহার হয়েছে এবং বইয়ের কপিরাইট প্রকাশকদের নামে রাখা হয়েছে। ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে। আমরা সেই ছবিগুলোর কপিরাইট দাবি করব না। তবে বইয়ের কপিরাইট আমাদেরই থাকবে। এটাই আদালতের পর্যবেক্ষণ।’

রিটকারীর আইনজীবী অনিক আর হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবিতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো স্বত্ব থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর ছবির স্বত্ব থাকবে জনগণের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে। এখানে কেউ নিজের কপিরাইট দাবি করতে পারবে না। যাঁরা বইগুলো প্রকাশ করেছেন, সেগুলো সংগ্রহ করে প্রতিটিতে লিখে দেবেন যে, ব্যবহার করা ছবির স্বত্ব প্রকাশকের নয়।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর নামে বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট করেছিলেন আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। রিট আবেদনে বলা হয়, মুজিববর্ষে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’-এর জন্য আটটি বই কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’, ‘৩০৫৩ দিন’ এবং অধ্যাপক নাসরিন আহমদ সম্পাদিত ‘অমর শেখ রাসেল’ বইটিরও মেধাস্বত্ব চুরি করে মোটা অঙ্কের অর্থে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ‘জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড’ ও ‘স্বাধীকা পাবলিশার্স’ নামে দুটি প্রকাশনা সংস্থার মালিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে। তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয় আবেদনে।

রায়ের পর আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি বা ঐতিহাসিক কোনো ছবি কখনোই কারও মালিকানায় থাকতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা বা তাঁর আদর্শ ধারণ করা এক জিনিস, আর বঙ্গবন্ধুর নামে ব্যবসা করা অন্য জিনিস। যখনই ব্যবসার কথা আসে, তখন মন্ত্রণালয়গুলোর সতর্ক থাকা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত