সম্পাদকীয়
আবার দলবদ্ধ ধর্ষণ। নরসিংদীর পলাশে ঘুরতে এসেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। স্বামীকে পিটিয়ে তাঁর সামনেই ধর্ষণ করা হয়েছে স্ত্রীকে। এ ধরনের নির্মম ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। কক্সবাজার, গাজীপুরের শ্রীপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নোয়াখালী, নাটোরসহ আরও কয়েক জায়গায় অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের নির্মমতার কথা জানা গেছে।
কেন একদল মানুষ একজন নারীকে ধর্ষণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে, সেটা নিয়ে সমাজতাত্ত্বিকেরা ভেবে দেখতে পারেন। কোন মানসিকতা এই অপরাধের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কাউকে কাউকে, তার সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে। এ ধরনের আচরণের পেছনে বেকারত্ব, ক্ষমতা, ক্ষমতাবানদের সঙ্গে আঁতাত, অপরাধ করেও শাস্তি না পাওয়ার অভিজ্ঞতা ইত্যাদি নানা কারণই থাকতে পারে। তবে প্রবণতাটি যে ভয়াবহ এবং এভাবে ঘটতে থাকলে তা যে সামাজিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে, সেই শঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না।
পত্রিকায় ছাপা হয়, রেডিও-টেলিভিশনে প্রচার হয় এই ঘটনাগুলো। সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা হয়। ফলে ঘটনাগুলোর বর্ণনাও কাউকে কাউকে এই অপরাধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। খবর ছাপলে তা মানুষ পড়ে। চমকপ্রদ খবরের প্রতি পাঠক বা দর্শক-শ্রোতার আকর্ষণ অনেক বেশি। খবর পড়ে, শুনে, দেখে তা থেকে নিজের মতোই কর্মপন্থা আবিষ্কার করে ফেলেন পাঠক-শ্রোতা-দর্শক। চমকপ্রদ খবর পড়ে সে ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
কিছু ঘটলে সেই সংবাদ দেশবাসীকে জানানো সাংবাদিকদের কর্তব্য। তবে সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব আছে, সংবাদ পরিবেশনের ভঙ্গি ঠিক আছে কি না, তা দেখার। এ ধরনের অপরাধ যারা ঘটায়, তারা শাস্তি পাচ্ছে কি না, সে খবরটা পরে আর সেভাবে প্রচারিত হয় না। কিংবা চমকপ্রদ খবরের আকর্ষণের কাছে শাস্তির খবরের আকর্ষণ ম্লান হয়ে যায়। কখনো কখনো অপরাধীরা শাস্তিও পায় না।
শাস্তি দিয়ে হয়তো নির্দিষ্ট অপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়। কিন্তু যাঁরা এখনো অপরাধ ঘটাননি, কিন্তু অপরাধ ঘটানোর মওকা খুঁজছেন, তাঁদের কীভাবে চিহ্নিত করা যাবে? তাঁদের শরীরে তো সে রকম কোনো চিহ্ন নেই, চিহ্ন নেই চেহারায়ও। তাই অপরাধ সংঘটনের পরই কেবল তা জানা যায়।
এই অশ্লীল নির্মমতা থেকে বেরিয়ে আসার একটা পথ রয়েছে সামাজিক সচেতনতার ভেতর। সমাজে যাঁরা গণ্যমান্য, তাঁরা নিজ এলাকার মানুষকে দিকনির্দেশক হয়ে উঠতে পারেন। তাঁরা এমন বার্তা দিতে পারেন যে কেউ এ ধরনের নৃশংসতা করলে সমাজে তাঁর ঠাঁই হবে না। এলাকার শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব যে সবার, সেটা বোঝাতে হবে। এলাকার শান্তিরক্ষা বাহিনী বা পুলিশকে হতে হবে তৎপর। বিপদ ঘটে তখনই, যখন সমাজ অধিপতি বা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষার দায় যাঁদের, তাঁদের মধ্যেও অপরাধের প্রতি প্রশ্রয়ের মনোভাব দেখা যায়। এটা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অস্বাভাবিক ঘটনার লাগাম টেনে ধরা যাবে না। মূল দায়টা সমাজপতিদেরই।
আবার দলবদ্ধ ধর্ষণ। নরসিংদীর পলাশে ঘুরতে এসেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। স্বামীকে পিটিয়ে তাঁর সামনেই ধর্ষণ করা হয়েছে স্ত্রীকে। এ ধরনের নির্মম ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। কক্সবাজার, গাজীপুরের শ্রীপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নোয়াখালী, নাটোরসহ আরও কয়েক জায়গায় অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের নির্মমতার কথা জানা গেছে।
কেন একদল মানুষ একজন নারীকে ধর্ষণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে, সেটা নিয়ে সমাজতাত্ত্বিকেরা ভেবে দেখতে পারেন। কোন মানসিকতা এই অপরাধের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কাউকে কাউকে, তার সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে। এ ধরনের আচরণের পেছনে বেকারত্ব, ক্ষমতা, ক্ষমতাবানদের সঙ্গে আঁতাত, অপরাধ করেও শাস্তি না পাওয়ার অভিজ্ঞতা ইত্যাদি নানা কারণই থাকতে পারে। তবে প্রবণতাটি যে ভয়াবহ এবং এভাবে ঘটতে থাকলে তা যে সামাজিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে, সেই শঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না।
পত্রিকায় ছাপা হয়, রেডিও-টেলিভিশনে প্রচার হয় এই ঘটনাগুলো। সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা হয়। ফলে ঘটনাগুলোর বর্ণনাও কাউকে কাউকে এই অপরাধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। খবর ছাপলে তা মানুষ পড়ে। চমকপ্রদ খবরের প্রতি পাঠক বা দর্শক-শ্রোতার আকর্ষণ অনেক বেশি। খবর পড়ে, শুনে, দেখে তা থেকে নিজের মতোই কর্মপন্থা আবিষ্কার করে ফেলেন পাঠক-শ্রোতা-দর্শক। চমকপ্রদ খবর পড়ে সে ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
কিছু ঘটলে সেই সংবাদ দেশবাসীকে জানানো সাংবাদিকদের কর্তব্য। তবে সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব আছে, সংবাদ পরিবেশনের ভঙ্গি ঠিক আছে কি না, তা দেখার। এ ধরনের অপরাধ যারা ঘটায়, তারা শাস্তি পাচ্ছে কি না, সে খবরটা পরে আর সেভাবে প্রচারিত হয় না। কিংবা চমকপ্রদ খবরের আকর্ষণের কাছে শাস্তির খবরের আকর্ষণ ম্লান হয়ে যায়। কখনো কখনো অপরাধীরা শাস্তিও পায় না।
শাস্তি দিয়ে হয়তো নির্দিষ্ট অপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়। কিন্তু যাঁরা এখনো অপরাধ ঘটাননি, কিন্তু অপরাধ ঘটানোর মওকা খুঁজছেন, তাঁদের কীভাবে চিহ্নিত করা যাবে? তাঁদের শরীরে তো সে রকম কোনো চিহ্ন নেই, চিহ্ন নেই চেহারায়ও। তাই অপরাধ সংঘটনের পরই কেবল তা জানা যায়।
এই অশ্লীল নির্মমতা থেকে বেরিয়ে আসার একটা পথ রয়েছে সামাজিক সচেতনতার ভেতর। সমাজে যাঁরা গণ্যমান্য, তাঁরা নিজ এলাকার মানুষকে দিকনির্দেশক হয়ে উঠতে পারেন। তাঁরা এমন বার্তা দিতে পারেন যে কেউ এ ধরনের নৃশংসতা করলে সমাজে তাঁর ঠাঁই হবে না। এলাকার শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব যে সবার, সেটা বোঝাতে হবে। এলাকার শান্তিরক্ষা বাহিনী বা পুলিশকে হতে হবে তৎপর। বিপদ ঘটে তখনই, যখন সমাজ অধিপতি বা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষার দায় যাঁদের, তাঁদের মধ্যেও অপরাধের প্রতি প্রশ্রয়ের মনোভাব দেখা যায়। এটা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অস্বাভাবিক ঘটনার লাগাম টেনে ধরা যাবে না। মূল দায়টা সমাজপতিদেরই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪