Ajker Patrika

জোড়াতালির কাঠের সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৫৮
জোড়াতালির কাঠের সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক সময়ের খরস্রোতা ভদ্রা নদী আশির দশকে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এরপর ওই ভরাট নদীর ওপর দিয়ে এলজিইডি অধিদপ্তরের অর্থায়নে পাকা কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়। গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের ভরাট হওয়া ভদ্রা নদী খনন করে। এতে শোভনা-খর্ণিয়া দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুঃখ দুর্দশার কথা ভেবে এলাকার সাধারণ মানুষের আর্থিক অনুদানে ও উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় খনন করা নদীর ওপর প্রায় ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়।

এ সেতু প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, মোটর ভ্যান, নছিমন ও করিমন যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়ন একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য খর্ণিয়া, ডুমুরিয়া, খুলনাসহ বিভিন্ন হাটে বাজারজাত করার একমাত্র উপায় এ কাঠের সেতুটি।

কিন্তু সম্প্রতি এ সেতুটির একাংশ ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছে দারুণ ভোগান্তিতে। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পারাপার করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে কথা হয় শোভনা পশ্চিম পাড়া এলাকার কৃষক কোরমান শেখ, আবু বক্কার, ব্যবসায়ী রুহুল বাওয়ালি, মনিরুল সরদারসহ অনেকেই বলেন, শোভনা-খর্ণিয়া সড়কের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ কাঠের সেতু। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির এতই চাপ যে বছর যেতে না যেতেই কয়েক দফা ভেঙে পড়ে। তাতে স্বেচ্ছাশ্রমে আবারও জোড়াতালি দিয়ে চলতে হয় জনগণের। বর্তমানে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এখানে একটা পাকা ব্রিজ না হলে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

এ প্রসঙ্গে শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য বলেন, ‘অতি দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা হবে। এ ছাড়া পাকা ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত