Ajker Patrika

জাওয়াদে বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৩২
জাওয়াদে বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে শুরু করেছে। গতকাল রোববার বিকেল থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর আগে গত শনিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে আমাদের এলাকায় ক্ষয়-ক্ষতি হয়। খোলপেটুয়া নদীর বন্যতলা পয়েন্টের বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিনেও ঠিক করা হয়নি। তবে সপ্তাহ খানিক আগে ওই পয়েন্টের বেড়িবাঁধ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এখন ওই এলাকা সুরক্ষিত থাকলেও পাশের রিং বাঁধ ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে আমরা উদ্বেগে আছি।’

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খাঁয়ের বলেন, জেলার নদ-নদীগুলোতে জাওয়াদের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তা উদ্বেগজনক পর্যায়ে না। ভঙ্গুর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে বেঁধে দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। জিও ব্যাগ পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জুলফিকার আলী জানান, জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। রাতে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান জানান, উপকূলীয় এলাকার ১৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বল্প সময়ের নোটিশে উপদ্রুতরা যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেন, সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত