সম্পাদকীয়
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ-বিজয়ের প্রাক্কালে ডিসেম্বর মাসেই পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের অধিক সংখ্যায় হত্যা করেছিল। অবশ্য একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি নিধনযজ্ঞের শুরুতেই পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপককে হত্যা করেছিল। পোড়া মাটির নীতি নিয়ে তারা জেনোসাইড চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসজুড়েই। তবে নভেম্বর মাসের শেষ থেকে ডিসেম্বরের সূচনায় এটা স্পষ্ট হয়েছিল যে পাকিস্তানের পরাজয় অনিবার্য। পরাজয়ের আগে বাঙালি জাতিকে মেধা-মননে দুর্বল করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল।
আমরা আমাদের শত্রু-মিত্র চিনতে অনেক সময় ভুল করি। শত্রুদের প্রতি নমনীয়তা দেখাই, দরদ দেখাই, মানবিক আচরণ করি। এ কারণে অনেক সময় আমরা ভুল করি এবং চরম খেসারত দিয়ে তারপর অনুশোচনা করি। কিন্তু আমাদের শত্রুরা ভুল করে না, ক্ষমাও করে না। পাকিস্তানিরা ঠিকই তাদের শত্রু চিহ্নিত করেছিল এবং তাদের নিষ্ঠুরভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় করেছিল। ওরা কারও বয়স, শিক্ষা, মর্যাদা, সম্মান, খ্যাতি, দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি—কিছুই বিবেচনা করেনি। নারী-পুরুষ সবকিছু তুচ্ছ বিবেচনা করে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে গেছে এবং নির্দয় যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করেছে। শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ক্রীড়াবিদসহ বাছাই করে কৃতী মানুষদের নিষ্ঠুর অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যা করে তারা পৈশাচিক উল্লাস করেছে। তাদের প্রতিহিংসাপরায়ণতার শিকার হয়েছেন পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাবক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, মানবসেবায় ব্রতী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহ। বাদ যাননি অজাতশত্রু আত্মভোলা দার্শনিক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব। নয় মাস ধরেই একদিকে যেমন গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং বেপরোয়া ধর্ষণ চলেছে, অন্যদিকে তেমনি চলেছে বেছে বেছে কৃতবিদ্য মানুষদের হত্যা। পরাজয়ের আগমুহূর্তে তারা বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে বধ্যভূমিতে।
কতজন বুদ্ধিজীবীকে তারা হত্যা করেছিল, তার সংখ্যাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সংখ্যাটা শতাধিক কিংবা সহস্রাধিক যা-ই হোক না কেন, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো পাকিস্তানিদের মনোভঙ্গি। তারা বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চেয়েছে, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য ও পঙ্গু করতে চেয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা আবেগপ্রবণ হই, আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করি। আমরা তোমাদের ভুলব না—বলে বিলাপ সংগীত গাই। কিন্তু আসলে কি আমরা তাঁদের কথা মনে রেখেছি? বুদ্ধিজীবীদের শুধু এক দিনের স্মরণ নয়, প্রয়োজন সারাক্ষণ আত্মদানকারী শহীদদের কাছ থেকে সাহসী হওয়ার প্রেরণা নেওয়া। যাঁরা অকুতোভয়ে মরণ শঙ্কারে চরণে দলে গেছেন, তাঁদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে তখনই, যখন আমরা তাঁদের স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলতে পারব। শহীদেরা জীবন দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-সমতাভিত্তিক একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে। আমরা কি এখন অনেকটাই লক্ষ্যচ্যুত হইনি?
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ-বিজয়ের প্রাক্কালে ডিসেম্বর মাসেই পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের অধিক সংখ্যায় হত্যা করেছিল। অবশ্য একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি নিধনযজ্ঞের শুরুতেই পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপককে হত্যা করেছিল। পোড়া মাটির নীতি নিয়ে তারা জেনোসাইড চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসজুড়েই। তবে নভেম্বর মাসের শেষ থেকে ডিসেম্বরের সূচনায় এটা স্পষ্ট হয়েছিল যে পাকিস্তানের পরাজয় অনিবার্য। পরাজয়ের আগে বাঙালি জাতিকে মেধা-মননে দুর্বল করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল।
আমরা আমাদের শত্রু-মিত্র চিনতে অনেক সময় ভুল করি। শত্রুদের প্রতি নমনীয়তা দেখাই, দরদ দেখাই, মানবিক আচরণ করি। এ কারণে অনেক সময় আমরা ভুল করি এবং চরম খেসারত দিয়ে তারপর অনুশোচনা করি। কিন্তু আমাদের শত্রুরা ভুল করে না, ক্ষমাও করে না। পাকিস্তানিরা ঠিকই তাদের শত্রু চিহ্নিত করেছিল এবং তাদের নিষ্ঠুরভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় করেছিল। ওরা কারও বয়স, শিক্ষা, মর্যাদা, সম্মান, খ্যাতি, দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি—কিছুই বিবেচনা করেনি। নারী-পুরুষ সবকিছু তুচ্ছ বিবেচনা করে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে গেছে এবং নির্দয় যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করেছে। শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ক্রীড়াবিদসহ বাছাই করে কৃতী মানুষদের নিষ্ঠুর অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যা করে তারা পৈশাচিক উল্লাস করেছে। তাদের প্রতিহিংসাপরায়ণতার শিকার হয়েছেন পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাবক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, মানবসেবায় ব্রতী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহ। বাদ যাননি অজাতশত্রু আত্মভোলা দার্শনিক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব। নয় মাস ধরেই একদিকে যেমন গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং বেপরোয়া ধর্ষণ চলেছে, অন্যদিকে তেমনি চলেছে বেছে বেছে কৃতবিদ্য মানুষদের হত্যা। পরাজয়ের আগমুহূর্তে তারা বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে বধ্যভূমিতে।
কতজন বুদ্ধিজীবীকে তারা হত্যা করেছিল, তার সংখ্যাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সংখ্যাটা শতাধিক কিংবা সহস্রাধিক যা-ই হোক না কেন, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো পাকিস্তানিদের মনোভঙ্গি। তারা বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চেয়েছে, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য ও পঙ্গু করতে চেয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা আবেগপ্রবণ হই, আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করি। আমরা তোমাদের ভুলব না—বলে বিলাপ সংগীত গাই। কিন্তু আসলে কি আমরা তাঁদের কথা মনে রেখেছি? বুদ্ধিজীবীদের শুধু এক দিনের স্মরণ নয়, প্রয়োজন সারাক্ষণ আত্মদানকারী শহীদদের কাছ থেকে সাহসী হওয়ার প্রেরণা নেওয়া। যাঁরা অকুতোভয়ে মরণ শঙ্কারে চরণে দলে গেছেন, তাঁদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে তখনই, যখন আমরা তাঁদের স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলতে পারব। শহীদেরা জীবন দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-সমতাভিত্তিক একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে। আমরা কি এখন অনেকটাই লক্ষ্যচ্যুত হইনি?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫