অর্চি হক, ঢাকা
করোনাকাল পেরিয়ে এবার পুরোনো চেহারায় ফিরেছে বইমেলা। লেখক, পাঠক—সবার মধ্যেই উৎসবের আমেজ। কিন্তু বই প্রকাশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন রূপ। করোনাকালের চেয়েও এ বছর নতুন বই প্রকাশ কমে গেছে!
এবার অমর একুশে বইমেলার প্রথম সাত দিনে ৫২৮টি নতুন বই এসেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এ সংখ্যা সর্বনিম্ন। ২০১৯ সালের বইমেলায় প্রথম সাত দিনে ৮৩২টি নতুন বই এসেছিল। ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ৮৪১টি নতুন বই। আর করোনা বিঘ্নিত ২০২১ ও ২০২২ সালের বইমেলায় প্রথম সাত দিনে এসেছিল যথাক্রমে ৬৯১ ও ৬৯২টি নতুন বই। অর্থাৎ এবার প্রথম সাত দিনে করোনাকালের মেলার চেয়ে অর্ধশতাধিক বই কম এসেছে।
এবার বই কম এলেও পাঠক উপস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশকেরা। অন্বেষা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, কাগজের দামসহ বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার বই কম আসছে। কিন্তু মেলায় দর্শক-পাঠকের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবে গত দুই বছরের চেয়ে বেশি।
একই রকম কথা বলেন রিদম প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারী ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সহসভাপতি গফুর হোসেন। তিনি বলেন, মেলা উদ্বোধনের পর শুক্র ও শনিবার ভিড় ছিল উপচে পড়া। এরপর দু-তিন দিন একটু ভিড় কম। কাগজের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সংখ্যায় কম হলেও ভালো মানের বই আসবে মেলায়।
মঙ্গলবার কর্মদিবস হওয়ার পরেও মেলায় পাঠক ও দর্শকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। অফিস ছুটির পর অনেকেই মেলায় ঢুঁ মেরে বই নেড়েচেড়ে দেখে বাসায় ফিরেছেন। বইমেলায় আসা সরকারি কর্মকর্তা তাসনুভা সোহানী বলেন, ‘শাহবাগে আমার অফিস। প্রতিদিন বাসায় ফেরার আগে একবার মেলায় ঘুরে যাই। কিছু বইও কিনি। আজও দুটো কিনেছি।’
মেয়েকে নিয়ে আজিমপুর থেকে মেলায় এসেছেন বদরুদ্দোজা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অফিস শেষে বাসায় ফিরে মেয়েকে নিয়ে মেলায় চলে আসি। কার্টুনের বইয়ের প্রতি ওর আগ্রহ বেশি। তাই প্রতিদিনই দু-একটা বই কিনে দিতে হয়।’
সপ্তম দিনে অর্থাৎ মঙ্গলবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১০৪টি। এগুলোর মধ্যে গল্পের বই ১৩টি, উপন্যাস ১৬টি, প্রবন্ধের বই ২টি, কবিতাগ্রন্থ ৩১টি, গবেষণাগ্রন্থ ২টি, ছড়ার বই ১টি, শিশুসাহিত্য ২টি, জীবনী ৫টি, রচনাবলি ২টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই ৩টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান ৩টি, ভ্রমণকাহিনি ১টি, ইতিহাস, রাজনীতি এবং চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যবিষয়ক বই ১টি করে, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক বই ১টি, রম্য/ধাঁধার বই ১টি, ধর্মীয় বই ১টি, অনুবাদ ২টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি এবং অন্যান্য ১৩টি নতুন বই এসেছে।
এদিন বিকেলে বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মাহবুব তালুকদার ও আলী ইমাম স্মরণে দুটি অনুষ্ঠান। এতে ‘স্মরণ: মাহবুব তালুকদার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাজী রহমান। আহমাদ মাযহার লিখিত ‘স্মরণ আলী ইমাম’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন মোকারম হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ড. নিমাই মণ্ডল, আমীরুল ইসলাম এবং ওমর কায়সার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদুর রেজা সাগর।
‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন আবুল কাসেম, সাকিরা পারভীন, জালাল ফিরোজ ও পলাশ মাহবুব।
মেলার অষ্টম দিন বুধবার বিকেল চারটায় মূল মঞ্চে শেখ সাদী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে ‘জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: ওস্তাদ আলী আকবর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
করোনাকাল পেরিয়ে এবার পুরোনো চেহারায় ফিরেছে বইমেলা। লেখক, পাঠক—সবার মধ্যেই উৎসবের আমেজ। কিন্তু বই প্রকাশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন রূপ। করোনাকালের চেয়েও এ বছর নতুন বই প্রকাশ কমে গেছে!
এবার অমর একুশে বইমেলার প্রথম সাত দিনে ৫২৮টি নতুন বই এসেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এ সংখ্যা সর্বনিম্ন। ২০১৯ সালের বইমেলায় প্রথম সাত দিনে ৮৩২টি নতুন বই এসেছিল। ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ৮৪১টি নতুন বই। আর করোনা বিঘ্নিত ২০২১ ও ২০২২ সালের বইমেলায় প্রথম সাত দিনে এসেছিল যথাক্রমে ৬৯১ ও ৬৯২টি নতুন বই। অর্থাৎ এবার প্রথম সাত দিনে করোনাকালের মেলার চেয়ে অর্ধশতাধিক বই কম এসেছে।
এবার বই কম এলেও পাঠক উপস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশকেরা। অন্বেষা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, কাগজের দামসহ বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার বই কম আসছে। কিন্তু মেলায় দর্শক-পাঠকের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবে গত দুই বছরের চেয়ে বেশি।
একই রকম কথা বলেন রিদম প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারী ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সহসভাপতি গফুর হোসেন। তিনি বলেন, মেলা উদ্বোধনের পর শুক্র ও শনিবার ভিড় ছিল উপচে পড়া। এরপর দু-তিন দিন একটু ভিড় কম। কাগজের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সংখ্যায় কম হলেও ভালো মানের বই আসবে মেলায়।
মঙ্গলবার কর্মদিবস হওয়ার পরেও মেলায় পাঠক ও দর্শকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। অফিস ছুটির পর অনেকেই মেলায় ঢুঁ মেরে বই নেড়েচেড়ে দেখে বাসায় ফিরেছেন। বইমেলায় আসা সরকারি কর্মকর্তা তাসনুভা সোহানী বলেন, ‘শাহবাগে আমার অফিস। প্রতিদিন বাসায় ফেরার আগে একবার মেলায় ঘুরে যাই। কিছু বইও কিনি। আজও দুটো কিনেছি।’
মেয়েকে নিয়ে আজিমপুর থেকে মেলায় এসেছেন বদরুদ্দোজা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অফিস শেষে বাসায় ফিরে মেয়েকে নিয়ে মেলায় চলে আসি। কার্টুনের বইয়ের প্রতি ওর আগ্রহ বেশি। তাই প্রতিদিনই দু-একটা বই কিনে দিতে হয়।’
সপ্তম দিনে অর্থাৎ মঙ্গলবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১০৪টি। এগুলোর মধ্যে গল্পের বই ১৩টি, উপন্যাস ১৬টি, প্রবন্ধের বই ২টি, কবিতাগ্রন্থ ৩১টি, গবেষণাগ্রন্থ ২টি, ছড়ার বই ১টি, শিশুসাহিত্য ২টি, জীবনী ৫টি, রচনাবলি ২টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই ৩টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান ৩টি, ভ্রমণকাহিনি ১টি, ইতিহাস, রাজনীতি এবং চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যবিষয়ক বই ১টি করে, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক বই ১টি, রম্য/ধাঁধার বই ১টি, ধর্মীয় বই ১টি, অনুবাদ ২টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি এবং অন্যান্য ১৩টি নতুন বই এসেছে।
এদিন বিকেলে বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মাহবুব তালুকদার ও আলী ইমাম স্মরণে দুটি অনুষ্ঠান। এতে ‘স্মরণ: মাহবুব তালুকদার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাজী রহমান। আহমাদ মাযহার লিখিত ‘স্মরণ আলী ইমাম’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন মোকারম হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ড. নিমাই মণ্ডল, আমীরুল ইসলাম এবং ওমর কায়সার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদুর রেজা সাগর।
‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন আবুল কাসেম, সাকিরা পারভীন, জালাল ফিরোজ ও পলাশ মাহবুব।
মেলার অষ্টম দিন বুধবার বিকেল চারটায় মূল মঞ্চে শেখ সাদী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে ‘জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: ওস্তাদ আলী আকবর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫