Ajker Patrika

অন্যের ঘরে উঁকি দেওয়া গুনাহ

ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৪: ৪৭
অন্যের ঘরে উঁকি দেওয়া গুনাহ

অনুমতি ছাড়া কারও ঘরের দরজা-জানালা কিংবা ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকি দিলে তা ঘরের ভেতরের লোকজনের জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর হতে পারে। তাই ইসলাম এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং এ কাজের জন্য শাস্তি নির্ধারণ করেছে।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কারও ঘরে অনুমতি ছাড়া উঁকি দেবে, ওই ব্যক্তির চোখ ফুঁড়ে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম)। মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘যদি কেউ তোমার ঘরে অনুমতি ছাড়া উঁকি দেয় আর তুমি পাথর মেরে তার চোখ ফুটো করে দাও, তাতে তোমার কোনো গোনাহ হবে না।’ (বুখারি)।

হাদিসটি বিধান প্রসঙ্গে সব ইমাম একমত যে, অনুমতি ছাড়া অন্যের ঘরে উঁকি দিলে তা বড় পাপ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে ইমাম আবু হানিফা (র.) বলেন, ‘উঁকি দেওয়া ব্যক্তির চোখ ফুটো করার নির্দেশটি প্রকৃত অর্থে নয়, বরং তা ধমকস্বরূপ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রকৃতই কারও চোখ ফুটো করা যাবে না। যদি কেউ করে ফেলে, তবে তাকে চোখের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

মহানবী (সা.) উঁকি মারা ব্যক্তির চোখ ফুটো করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। হজরত সাহল ইবন সাদ (রা.) বলেন, একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরে উঁকি দেয়। এ সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘যদি আমি জানতাম তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। আর তাকানোর জন্য তো অনুমতি নেওয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে।’ (বুখারি)।

অতএব, সবার উঁকি দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। 

লেখক:অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মানবিক করিডর না ভূ-রাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত