Ajker Patrika

‘জেনে-বুঝেই বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ০৫
‘জেনে-বুঝেই বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান’

পদ্মা ব্যাংকের ২০২০ সালের আর্থিক বিবরণী ভালোভাবে দেখে বিশ্লেষণ করে ডেলমর্গান বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে। ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এখান থেকে তারা ভালো মুনাফা পাবে। এসব বিচার-বিশ্লেষণ করেই ডেলমর্গান এই ব্যাংকে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের অস্বচ্ছ তথ্য দেওয়া হয়নি। কোনো ধরনের প্রতারণারও আশ্রয় নেওয়া হয়নি। গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন এসেছে এবং যার ওপর ভিত্তি করে টিআইবি বিবৃতি দিয়েছে, তার সবই মিথ্যা, অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর বলেছেন পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহসান খসরু।

বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও টিআইবির বিবৃতি প্রসঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিদেশি বিনিয়োগ পেতে পদ্মা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী থেকে লোকসানের তথ্য গোপনে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মতি দিয়েছে এমন একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে টিআইবি।

এহসান খসরু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক ডেলমর্গান অ্যান্ড কোম্পানি পদ্মা ব্যাংকে ৭০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এর অর্ধেক বিনিয়োগ হবে মূলধন হিসেবে। বাকি অর্ধেক হবে বন্ড বা অন্য উপায়ে। এই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিসহ সব ধরনের নিয়মকানুন মেনে পদ্মা ব্যাংক কাজ করছে। বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পদ্মা ব্যাংককে কোনো ছাড় দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। বরং পদ্মা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী সুসংহত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহায়তা করেছে।’

খসরু বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ আনার প্রক্রিয়া সহজ ও সরলীকরণের জন্য নিয়মকানুন মেনে ও গবেষণা করে পদ্মা ব্যাংককে আরও ভালো করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের পথকে মসৃণ করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ছাড় দেয়নি। সবকিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে।’

বিষয়টি নিয়ে টিআইবির বিবৃতি প্রসঙ্গে এহসান খসরু বলেন, “একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন এমন একটি স্বচ্ছ উদ্যোগকে ‘প্রতারণামূলক সুবিধা’ বলে আখ্যায়িত করে বিবৃতি দেওয়ায় আমি হতবাক হয়েছি। কোনো ধরনের গবেষণা না করে, ভালোভাবে বিচারবিশ্লেষণ, যাচাই-বাছাই না করে শুধু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনের এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি দেওয়া বিস্ময়কর ঘটনা। এটাকে আমি স্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছ বিবৃতি বলছি। এ ধরনের উদ্ভট বিবৃতি টিআইবি কোনোভাবেই দিতে পারে না।”

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত