সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট বাসায় ভয়ানক মাদক আইস বিক্রির অভিযোগে ইমরান হায়দার (৫৯) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ইমরান হায়দার নিজে আইস সেবন করেন, আবার বাইরেও বিক্রি করেন বলে জানায় পুলিশ।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জামালখান রোডের সিনিয়র ক্লাবের সামনে থেকে ৩ গ্রাম আইসসহ সুমন দাস (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী লিচুবাগান বাই লেইনের সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হায়দারের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আরও ৬ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া আইসের বাজার মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক প্রিটন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুমনের কাছ থেকে আইসের উৎস সম্পর্কে জানতে গিয়ে হায়দারের তথ্য পাওয়া যায়। হায়দারের কাছ থেকে নিয়ে সুমন এসব মাদক বাইরে বিক্রি করতেন। এগুলো মূলত বিত্তশালীদের কাছে বিক্রি করা হতো।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রিটন সরকার বলেন, নিজস্ব ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ইমরান। ফ্ল্যাটের পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জানা গেছে, বাসায় প্রায় সময়ই লোকজন যাওয়া-আসা করত। এতে বোঝা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ব্যবসা চালিয়ে আসছে ইমরান। তিনি নিজেও সেবন করতেন, আবার বাইরেও বিক্রি করতেন। ‘আমরা আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’ প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভবনটিতে তাঁর আরও ফ্ল্যাট রয়েছে। সেগুলো তিনি ভাড়া দিয়েছেন। তাঁর পেশা বলতে তেমন কিছু নেই। মাদক কারবারের পাশাপাশি বাসা ভাড়া থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চলতেন।
জানা গেছে, গত বছর ১২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার নতুন ফিশারিঘাট এলাকা থেকে ১৪০ গ্রাম আইসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। এটাই ছিল চট্টগ্রাম নগরীতে সর্বপ্রথম আইস জব্দের ঘটনা। ওই ঘটনার দুদিন পর একই থানার ব্রিজঘাট থেকে ৮০ গ্রাম আইসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপরও বিভিন্ন সময় নগরী থেকে আরও আইস জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার পাশাপাশি মাদক কারবারিরা আইস বাজারজাত করছে। অধিক লাভের আশায় মাদক কারবারিরা এতে জড়াচ্ছে। চট্টগ্রামে উঠতি বয়সী বিত্তশালী তরুণদের টার্গেট করে এই মাদক বাজারজাত করা হচ্ছে।
প্রিটন সরকার বলেন, ইয়াবা কারবারের জড়িতরাই আইস ব্যবসায় ঝুঁকছে।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবর রহমান পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূলত ইয়াবা যারা সেবন করতেন, তারাই আইস সেবনের দিকে ঝুঁকছে। তবে আইস তুলনামূলক দামে বেশি। এ কারণে বিশেষ করে উচ্চবিত্ত শ্রেণির লোকজনই এর গ্রাহক হিসেবে থাকে।
মজিবর রহমান পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যারা বিভিন্ন সময় আইসসহ ধরা পড়ছেন, তাঁরা কার কাছ থেকে এসব মাদক আনছেন তা স্বীকার করতে চান না। এ কারণে মূল হোতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।’
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে এসব চালান দেশে ঢুকছে। পরে তা চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আইস কারবারির সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়া বাইরে রয়েছে।
চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট বাসায় ভয়ানক মাদক আইস বিক্রির অভিযোগে ইমরান হায়দার (৫৯) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ইমরান হায়দার নিজে আইস সেবন করেন, আবার বাইরেও বিক্রি করেন বলে জানায় পুলিশ।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জামালখান রোডের সিনিয়র ক্লাবের সামনে থেকে ৩ গ্রাম আইসসহ সুমন দাস (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী লিচুবাগান বাই লেইনের সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হায়দারের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আরও ৬ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া আইসের বাজার মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক প্রিটন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুমনের কাছ থেকে আইসের উৎস সম্পর্কে জানতে গিয়ে হায়দারের তথ্য পাওয়া যায়। হায়দারের কাছ থেকে নিয়ে সুমন এসব মাদক বাইরে বিক্রি করতেন। এগুলো মূলত বিত্তশালীদের কাছে বিক্রি করা হতো।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রিটন সরকার বলেন, নিজস্ব ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ইমরান। ফ্ল্যাটের পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জানা গেছে, বাসায় প্রায় সময়ই লোকজন যাওয়া-আসা করত। এতে বোঝা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ব্যবসা চালিয়ে আসছে ইমরান। তিনি নিজেও সেবন করতেন, আবার বাইরেও বিক্রি করতেন। ‘আমরা আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’ প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভবনটিতে তাঁর আরও ফ্ল্যাট রয়েছে। সেগুলো তিনি ভাড়া দিয়েছেন। তাঁর পেশা বলতে তেমন কিছু নেই। মাদক কারবারের পাশাপাশি বাসা ভাড়া থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চলতেন।
জানা গেছে, গত বছর ১২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার নতুন ফিশারিঘাট এলাকা থেকে ১৪০ গ্রাম আইসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। এটাই ছিল চট্টগ্রাম নগরীতে সর্বপ্রথম আইস জব্দের ঘটনা। ওই ঘটনার দুদিন পর একই থানার ব্রিজঘাট থেকে ৮০ গ্রাম আইসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপরও বিভিন্ন সময় নগরী থেকে আরও আইস জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার পাশাপাশি মাদক কারবারিরা আইস বাজারজাত করছে। অধিক লাভের আশায় মাদক কারবারিরা এতে জড়াচ্ছে। চট্টগ্রামে উঠতি বয়সী বিত্তশালী তরুণদের টার্গেট করে এই মাদক বাজারজাত করা হচ্ছে।
প্রিটন সরকার বলেন, ইয়াবা কারবারের জড়িতরাই আইস ব্যবসায় ঝুঁকছে।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবর রহমান পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূলত ইয়াবা যারা সেবন করতেন, তারাই আইস সেবনের দিকে ঝুঁকছে। তবে আইস তুলনামূলক দামে বেশি। এ কারণে বিশেষ করে উচ্চবিত্ত শ্রেণির লোকজনই এর গ্রাহক হিসেবে থাকে।
মজিবর রহমান পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যারা বিভিন্ন সময় আইসসহ ধরা পড়ছেন, তাঁরা কার কাছ থেকে এসব মাদক আনছেন তা স্বীকার করতে চান না। এ কারণে মূল হোতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।’
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে এসব চালান দেশে ঢুকছে। পরে তা চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আইস কারবারির সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়া বাইরে রয়েছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৪ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫