ফারুক মেহেদী, ঢাকা
দেশের অর্থনীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে কর দেওয়ার চিত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সক্ষমরা তাঁদের বিভিন্ন সেবা নেওয়ার জন্য ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) নিলেও তাঁদের বেশির ভাগই নিজেদের আয়-ব্যয়ের তথ্য বা রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত কয়েক বছর যাবৎ নানান তৎপরতা চালালেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় টিআইএনধারীরা রিটার্ন দিতে এগিয়ে আসছেন না। টিআইএন থাকলে রিটার্ন জমা–এটা কাগুজে বাধ্যতামূলক। ফলে কাজের জন্য টিআইএন নিয়ে কাজ শেষে নিষ্ক্রিয় থাকছেন অনেক করদাতা। কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনবিআরের এমন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করতে হবে, যাতে সেবা নিতে গেলেই কর দিতে হবে এবং অবধারিতভাবেই রিটার্নও দিতে হবে।
এনবিআরের গত জুন পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্যে জানা যায়, দেশের টিআইএনধারী সক্ষম করদাতার সংখ্যা প্রায় ৬৭ লাখ। তাঁদের মাত্র ৩৭ শতাংশ বছর শেষে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। সোমবার পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা হয়েছে ২৩ লাখ। এ বছর গতবারের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা হলেও আয়কর জমার দিক থেকে গতবারের চেয়ে কম। গত বছর রিটার্ন জমা থেকে সরকার কর পেয়েছিল ৪ হাজার ১০ কোটি টাকা। আর এ বছর পাওয়া গেছে ৩ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। যেখানে আয়কর বেশি পাওয়ার কথা, সেখানে কম জমা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বলছে, এবার ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮২ জন করদাতা সময় চেয়ে পরে রিটার্ন জমার আবেদন করেছেন। এদের সবার আবেদন জমা হলে রিটার্ন জমার সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখে পৌঁছাবে। তারপরও তা টিআইএনধারী করদাতার তুলনায় অনেক কম।
কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পরও করদাতাদের বেশির ভাগই রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেননি। এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে কোনো ব্যক্তির বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা বাদ দিয়ে বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি আয় করলেই কর দেওয়ার কথা। তাঁদের মতে, দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের যে প্রসার ঘটছে, মাথাপিছু আয় এখন আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে গেছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু কর দেওয়ার চিত্র দেখলে এটা প্রতিফলিত হয় না। এমনকি যতজন টিআইএন গ্রহণ করেছেন, বাধ্যতামূলক হওয়া সত্ত্বেও তাঁরাও ঠিকমতো রিটার্ন দিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর বিভাগের সাবেক সদস্য অপূর্ব কান্তি দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরে ঘরে গিয়ে, সনাতনি জরিপের মাধ্যমে করদাতা ধরা সম্ভব নয়। তা ছাড়া, করদাতার সঙ্গে কর কর্মকর্তারও দেখা হওয়ার প্রয়োজন নেই—এখন এমন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করতে হবে, যাতে করদাতারা যখন যে সেবা নেবেন, তার মাধ্যমেই কর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। শুধু টিআইএন নিলেই শেষ নয়; তাঁরা যখন সেবা নেবেন, তখন রিটার্ন দাখিল করেছেন কি না–এমন ক্লিয়ারেন্স নিয়েই সেবা নেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তখন আর কারও রিটার্ন দাখিল বাকি থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।
জানা যায়, গাড়ি, বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট কেনাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবা নেওয়ার জন্য টিআইএন নিতে হয়। এসব কাজ শেষ হয়ে গেলেও বছর শেষে তাঁদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। অথচ প্রয়োজন শেষ হলে ওই সব সক্ষম করদাতার বেশির ভাগই রিটার্ন জমা দেন না। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, যাঁরা গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট বা প্লট কেনার জন্য টিআইএন গ্রহণ করেন, তাঁদের অবশ্যই করযোগ্য আয় আছে, না হলে তাঁরা এসব সম্পদ কেনেন কীভাবে? তবে যাঁরা রিটার্ন দিচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কর বিভাগ আরও কঠোর হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
দেশের অর্থনীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে কর দেওয়ার চিত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সক্ষমরা তাঁদের বিভিন্ন সেবা নেওয়ার জন্য ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) নিলেও তাঁদের বেশির ভাগই নিজেদের আয়-ব্যয়ের তথ্য বা রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত কয়েক বছর যাবৎ নানান তৎপরতা চালালেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় টিআইএনধারীরা রিটার্ন দিতে এগিয়ে আসছেন না। টিআইএন থাকলে রিটার্ন জমা–এটা কাগুজে বাধ্যতামূলক। ফলে কাজের জন্য টিআইএন নিয়ে কাজ শেষে নিষ্ক্রিয় থাকছেন অনেক করদাতা। কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনবিআরের এমন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করতে হবে, যাতে সেবা নিতে গেলেই কর দিতে হবে এবং অবধারিতভাবেই রিটার্নও দিতে হবে।
এনবিআরের গত জুন পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্যে জানা যায়, দেশের টিআইএনধারী সক্ষম করদাতার সংখ্যা প্রায় ৬৭ লাখ। তাঁদের মাত্র ৩৭ শতাংশ বছর শেষে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। সোমবার পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা হয়েছে ২৩ লাখ। এ বছর গতবারের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা হলেও আয়কর জমার দিক থেকে গতবারের চেয়ে কম। গত বছর রিটার্ন জমা থেকে সরকার কর পেয়েছিল ৪ হাজার ১০ কোটি টাকা। আর এ বছর পাওয়া গেছে ৩ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। যেখানে আয়কর বেশি পাওয়ার কথা, সেখানে কম জমা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বলছে, এবার ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮২ জন করদাতা সময় চেয়ে পরে রিটার্ন জমার আবেদন করেছেন। এদের সবার আবেদন জমা হলে রিটার্ন জমার সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখে পৌঁছাবে। তারপরও তা টিআইএনধারী করদাতার তুলনায় অনেক কম।
কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পরও করদাতাদের বেশির ভাগই রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেননি। এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে কোনো ব্যক্তির বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা বাদ দিয়ে বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি আয় করলেই কর দেওয়ার কথা। তাঁদের মতে, দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের যে প্রসার ঘটছে, মাথাপিছু আয় এখন আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে গেছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু কর দেওয়ার চিত্র দেখলে এটা প্রতিফলিত হয় না। এমনকি যতজন টিআইএন গ্রহণ করেছেন, বাধ্যতামূলক হওয়া সত্ত্বেও তাঁরাও ঠিকমতো রিটার্ন দিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর বিভাগের সাবেক সদস্য অপূর্ব কান্তি দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরে ঘরে গিয়ে, সনাতনি জরিপের মাধ্যমে করদাতা ধরা সম্ভব নয়। তা ছাড়া, করদাতার সঙ্গে কর কর্মকর্তারও দেখা হওয়ার প্রয়োজন নেই—এখন এমন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করতে হবে, যাতে করদাতারা যখন যে সেবা নেবেন, তার মাধ্যমেই কর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। শুধু টিআইএন নিলেই শেষ নয়; তাঁরা যখন সেবা নেবেন, তখন রিটার্ন দাখিল করেছেন কি না–এমন ক্লিয়ারেন্স নিয়েই সেবা নেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তখন আর কারও রিটার্ন দাখিল বাকি থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।
জানা যায়, গাড়ি, বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট কেনাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবা নেওয়ার জন্য টিআইএন নিতে হয়। এসব কাজ শেষ হয়ে গেলেও বছর শেষে তাঁদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। অথচ প্রয়োজন শেষ হলে ওই সব সক্ষম করদাতার বেশির ভাগই রিটার্ন জমা দেন না। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, যাঁরা গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট বা প্লট কেনার জন্য টিআইএন গ্রহণ করেন, তাঁদের অবশ্যই করযোগ্য আয় আছে, না হলে তাঁরা এসব সম্পদ কেনেন কীভাবে? তবে যাঁরা রিটার্ন দিচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কর বিভাগ আরও কঠোর হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫