আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরগুনার আমতলী–তালতলী উপজেলার বিভিন্ন লোকালয় ও ধানখেতে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ইটভাটার অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রভাবে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লোকালয় ও কৃষিজমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন কৃষিজমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, কৃষি অফিসের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়া ২১টি ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। এসব ইটভাটায় স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ও ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি স্থাপন করা হয়েছে।
জ্বালানি হিসেবে অনেক ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। গ্রাম থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে পরিবেশগত বিপর্যয় ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকির আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।
কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণ করায় ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। এদিকে ইটভাটা নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের অফিস ও কৃষি অফিসের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হলেও অধিকাংশ ভাটায় এ সব ছাড়পত্র নেই। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলছেন এসব ইটভাটা।
অভিযোগ রয়েছে ‘র্যাব’ ইটভাটার মালিক হারুন অর রশিদ আকন তাঁর ছোট ভাই সহকারী উপসচিব আতাহার উদ্দিনের প্রভাব খাঁটিয়ে সেকান্দারখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসংলগ্ন স্থানে ধানখেত ও লোকালয়ে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। এতে ওই এলাকার পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও ফসলি জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১০টি ইটভাটা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নে মহাসড়কের পাশে র্যাব, জিমি, এসইউএবি ও এমএসবি চারটি ইটভাটায় ধান খেতের মধ্যে ইট তৈরির কাজ চলছে। আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের বাদুরা নামক স্থানে ধানখেতের পাশে ঢাকা ব্রিকস ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামে ধানখেত ও লোকালয়ে বিবিসি নামের একটি ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে।
কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বারেক বলেন, ‘কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণ করায় যেমন ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এর প্রভাবে অনেক গাছপালা মরে যাচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, ধানখেত ও লোকালয়ে ইটভাটা নির্মাণ করায় ফসলি জমি ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাঁরা আরও বলেন, ইটভাটার কারণে এ বছর তেমন জমিতে ধান ফলেনি। অনেক জমি পুড়ে গেছে। দ্রুত ফসলি জমি রক্ষায় ইটভাটা নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান তারা।
চালিতাবুনিয়া গ্রামের কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, চারপাশে ধানখেত। মাঝখানে ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষায় দ্রুত ওই ইটভাটাগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিম পাঁচটি ইটভাটায় ছাড়পত্র দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে কৃষিজমি এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক হালিম মিয়া বলেন, ‘কৃষিজমিতে ইটভাটাসহ কোনো ধরনের শিল্পকারখানা নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কেউ যদি ইটভাটা নির্মাণ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরগুনার আমতলী–তালতলী উপজেলার বিভিন্ন লোকালয় ও ধানখেতে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ইটভাটার অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রভাবে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লোকালয় ও কৃষিজমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন কৃষিজমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, কৃষি অফিসের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়া ২১টি ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। এসব ইটভাটায় স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ও ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি স্থাপন করা হয়েছে।
জ্বালানি হিসেবে অনেক ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। গ্রাম থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে পরিবেশগত বিপর্যয় ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকির আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।
কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণ করায় ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। এদিকে ইটভাটা নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের অফিস ও কৃষি অফিসের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হলেও অধিকাংশ ভাটায় এ সব ছাড়পত্র নেই। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলছেন এসব ইটভাটা।
অভিযোগ রয়েছে ‘র্যাব’ ইটভাটার মালিক হারুন অর রশিদ আকন তাঁর ছোট ভাই সহকারী উপসচিব আতাহার উদ্দিনের প্রভাব খাঁটিয়ে সেকান্দারখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসংলগ্ন স্থানে ধানখেত ও লোকালয়ে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। এতে ওই এলাকার পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও ফসলি জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১০টি ইটভাটা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নে মহাসড়কের পাশে র্যাব, জিমি, এসইউএবি ও এমএসবি চারটি ইটভাটায় ধান খেতের মধ্যে ইট তৈরির কাজ চলছে। আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের বাদুরা নামক স্থানে ধানখেতের পাশে ঢাকা ব্রিকস ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামে ধানখেত ও লোকালয়ে বিবিসি নামের একটি ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে।
কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বারেক বলেন, ‘কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণ করায় যেমন ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এর প্রভাবে অনেক গাছপালা মরে যাচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, ধানখেত ও লোকালয়ে ইটভাটা নির্মাণ করায় ফসলি জমি ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাঁরা আরও বলেন, ইটভাটার কারণে এ বছর তেমন জমিতে ধান ফলেনি। অনেক জমি পুড়ে গেছে। দ্রুত ফসলি জমি রক্ষায় ইটভাটা নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান তারা।
চালিতাবুনিয়া গ্রামের কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, চারপাশে ধানখেত। মাঝখানে ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষায় দ্রুত ওই ইটভাটাগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিম পাঁচটি ইটভাটায় ছাড়পত্র দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে কৃষিজমি এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক হালিম মিয়া বলেন, ‘কৃষিজমিতে ইটভাটাসহ কোনো ধরনের শিল্পকারখানা নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কেউ যদি ইটভাটা নির্মাণ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪