Ajker Patrika

দেশের টেস্ট সংস্কৃতিতে পরিবর্তন দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মে ২০২২, ১৫: ৩৬
দেশের টেস্ট সংস্কৃতিতে পরিবর্তন দরকার

আরেকবার ‘প্যানিক অ্যাটাকে’ সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের তিরে বিদ্ধ হতে হতো মুমিনুল হককে। ব্যর্থতার ষোলোকলা পূরণ করা অধিনায়ককে সে কারণে বোধ হয় ঝামেলায় ফেলতে চায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। মুমিনুলের বদলে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশের প্রধান কোচকে সিরিজ হারের হতাশার চেয়ে শিষ্যদের নিম্নমুখী পারফরম্যান্স গ্রাফই বেশি ভাবাচ্ছে। এখানকার টেস্ট সংস্কৃতির নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

সিরিজ শুরুর আগে চ্যালেঞ্জ
‘ছেলেদের একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। ওদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমরা এর আগে কখনো জিম্বাবুয়ে (আসলে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ছাড়া বড় দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছ কি না? উত্তর ছিল ‘না’। ওরা যতক্ষণ বড় দলকে হারাতে পারবে না, ততক্ষণ পরবর্তী ধাপেও পৌঁছানো সম্ভব নয়।’

হারের মাঝেও ইতিবাচক দিক
‘দিন শেষে অনেক ইতিবাচক দিক আছে। আমরা বেশির ভাগ সময় খুব ভালো অবস্থানে থাকছি। হঠাৎ একটা বাজে সেশন কাটছে। কোচিং স্টাফ বা খেলোয়াড়দের জন্য ব্যাপারটা অনেক হতাশার। কারণ, লড়াই করার পরও একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা পিছিয়ে পড়ছে। চার দিন লড়াইয়ের পর পিছিয়ে পড়লে ফিরে আসার কোনো উপায় থাকে না।’

বারবার ব্যাটিং বিপর্যয় কেন
‘ওরা খারাপ উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, তাই ভালো করতে পারছে না। যদি মনে করি, বাজে উইকেটে খেলে প্রতিপক্ষকে ১০০ রানে অলআউট করে আমরা ১২০ রান করব; তাহলে কখনো উন্নতি হবে না। এভাবে খেলে সিরিজ জেতা যায় না।’

ঘরোয়া টুর্নামেন্টের পার্থক্য
‘এই শ্রীলঙ্কা দলের টেস্ট অভিজ্ঞতা আমাদের মতোই। কিন্তু আমাদের তুলনায় তাদের তরুণ ক্রিকেটাররা প্রচুর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছে। শুধু ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নয়, দুই দলের টেস্ট সংস্কৃতিতেও পার্থক্য রয়েছে। এটাই তাদের ভালো করতে সহয়তা করে।’

কী ধরনের বদল আনা দরকার
‘ক্রিকেটারদের কীভাবে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেওয়া হয়, এই সংস্করণকে কতটা মর্যাদার ভাবা হয়, মাঠে কেমন দর্শক আসে—কোনো সন্দেহ নেই, এসব অন্য দেশে বেশি গুরুত্ব পায়। আমরা সবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে শুরু করেছি। আরও এক ধাপ উন্নতি করতে হলে টেস্টের মর্ম বোঝা দরকার।’

হাথুরুর কৌশলে ফেরার ভাবনা
‘এটা (স্পিনিং উইকেট তৈরি) হয়তো আমাদের একটি টেস্টে সাহায্য করবে। কিন্তু দীর্ঘ পরিসরের জন্য টেস্ট দল গড়তে সাহায্য করবে না। আগের টেস্ট জয়গুলোর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, সেগুলো পরে আমাদের ক্ষতি করেছে। এরপর যখনই ভালো উইকেটে খেলেছি, পারিনি।’

তাসকিন-মিরাজের শূন্যতা
‘আমরা নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতেছিলাম। সেখানে তাসকিন, শরীফুল, ইবাদত, মিরাজ সবাই ছিল। ঢাকা টেস্টে শুধু ইবাদতকে পেয়েছি আমরা। আগের টেস্টের তুলনায় একেবারেই নতুন বোলিং আক্রমণ। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখবেন—স্কয়ার লেগ, ফাইন লেগ, মিড উইকেট দিয়ে অনেক রান হয়েছে। এর আগে এমন হতে দেখিনি। অনেক বেশি আলগা বল করা হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় দিনে ও শেষ দিকে। তাতে ওরা প্রথম ইনিংসে ৫০০ পেরিয়েছে। এই বিষয়গুলোই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’

খেলা সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত