অর্চি হক, ঢাকা
মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোড ধরে জেনেভা ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যেতেই নাকে লাগবে ভাজা মাংস ও কাবাবের সুবাস। দোকানগুলোর সামনেই ভাজা হয় মাংসের বিভিন্ন কাবাব, চাপ, লুচিসহ জিবে জল আনা আরও অনেক রকম পদ। তিন দশক ধরে চলছে ‘বিহারি ক্যাম্পের’ কাবাবের দোকানগুলো। রোজায় ইফতার উপলক্ষে সেই আয়োজন বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ইফতারের আগে আগে বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীরা হাঁকডাক করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন।
ক্যাম্পের সবচেয়ে পুরোনো দোকান ‘মোস্তাকিম ভ্যারাইটিজ কাবাব অ্যান্ড স্যুপ’। মোহাম্মদপুর তো বটেই, ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এখানে ইফতারি কিনতে ভিড় জমান। দুপুর থেকে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও মূল ভিড়টা হয় বিকেল ৫টার পর থেকে। মোহাম্মদপুরের টিক্কা পাড়া রোডের বাসিন্দা রওশন আরা বলেন, ‘মোস্তাকিমের চাপ ছাড়া ইফতার কিসের? ২০ বছর ধইরা এই চাপ-লুচি দিয়া ইফতার করতাছি। ছেলেরা ব্যস্ত থাকায় আজকে নিজেই কিনতে আইসা পড়ছি।’
১৯৮২ সাল থেকে বিহারি ক্যাম্পের সামনে চাপ-কাবাব বিক্রি শুরু করেন মোস্তাকিম। ২০০৩ সালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি মারা যাওয়ার পর দোকান দেখছেন তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং শ্যালক জাভেদ হোসাইন। জাভেদ জানান, দোকানের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাকিম ছিলেন তাঁর ওস্তাদ। ৩০ বছর ধরে এই দোকানে আছেন তিনি। গরু-মুরগির চাপ-কাবারের জন্য মোস্তাকিম সুপরিচিত হলেও বর্তমানে তাঁদের কবুতরের ফ্রাই বিক্রি হচ্ছে দেদার।
দোকানের কর্মচারীরা জানান, মোস্তাকিম ভ্যারাইটিজ কাবাব অ্যান্ড স্যুপের খাবার তালিকায় বেশি বিক্রির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কবুতরের ফ্রাই। প্রতিটি বড় সাইজের কবুতর ফ্রাই ২০০ টাকা, আর ছোট সাইজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। এ ছাড়া গরু, খাসির চাপ ১৫০ থেকে ১২০ টাকা, মগজ ফ্রাই ১২০ টাকা, বটি, কাঠি, গুর্দা, ক্ষীরি কাবাব ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে রয়েছে দুই টাকা ও পাঁচ টাকার লুচি। রোজায় প্রতিদিন তাঁদের প্রায় ৫০ কেজি ময়দার লুচি বিক্রি হয়। এক কেজি ময়দায় ২০০টির মতো লুচি হয়। সে হিসাবে প্রতিদিন তাঁদের বিক্রি হয় প্রায় ১০ হাজার লুচি।
এ ছাড়া মোস্তাকিমের ইফতার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে আস্ত মুরগির রোস্ট, হালিম, দই বড়া, স্যুপ, লাচ্ছি, জালি কাবাব, জিলাপি, লাচ্ছিসহ পিয়াজি, বেগুনি, চপের মতো নিয়মিত সব আইটেম।
মোস্তাকিম ছাড়াও বিহারি ক্যাম্প এলাকার মুসলিম, মুরসালিন ও রহিম কাবাবও বেশ জনপ্রিয়। গরুর চাপ, খাসির চাপ, বটি কাবাব, ক্ষীরি, মগজ, মুরগি ফ্রাই, কলিজা, কর্ন স্যুপ, গিলা-কলিজা, লুচি এসব দোকানেই পাওয়া যায়। দামও প্রায় একই রকম।
ক্যাম্পের এই হোটেলগুলো ছাড়াও আশপাশের ফুটপাতে বাহারি ইফতারসামগ্রীর পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা। এসব জায়গায় যেকোনো আইটেমের সঙ্গে ঘুগনি মিশিয়ে খাওয়ার চল আছে বলে জানালেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। ইফতারি কিনতে আসা মোখলেছুর রহমান নামের একজন বললেন, ‘ঘুগনির সঙ্গে যাই খাইবেন, তাতেই তৃপ্তি পাইবেন। ১০০-১৫০ টাকায় পুরো পেট কাবার।’
মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোড ধরে জেনেভা ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যেতেই নাকে লাগবে ভাজা মাংস ও কাবাবের সুবাস। দোকানগুলোর সামনেই ভাজা হয় মাংসের বিভিন্ন কাবাব, চাপ, লুচিসহ জিবে জল আনা আরও অনেক রকম পদ। তিন দশক ধরে চলছে ‘বিহারি ক্যাম্পের’ কাবাবের দোকানগুলো। রোজায় ইফতার উপলক্ষে সেই আয়োজন বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ইফতারের আগে আগে বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীরা হাঁকডাক করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন।
ক্যাম্পের সবচেয়ে পুরোনো দোকান ‘মোস্তাকিম ভ্যারাইটিজ কাবাব অ্যান্ড স্যুপ’। মোহাম্মদপুর তো বটেই, ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এখানে ইফতারি কিনতে ভিড় জমান। দুপুর থেকে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও মূল ভিড়টা হয় বিকেল ৫টার পর থেকে। মোহাম্মদপুরের টিক্কা পাড়া রোডের বাসিন্দা রওশন আরা বলেন, ‘মোস্তাকিমের চাপ ছাড়া ইফতার কিসের? ২০ বছর ধইরা এই চাপ-লুচি দিয়া ইফতার করতাছি। ছেলেরা ব্যস্ত থাকায় আজকে নিজেই কিনতে আইসা পড়ছি।’
১৯৮২ সাল থেকে বিহারি ক্যাম্পের সামনে চাপ-কাবাব বিক্রি শুরু করেন মোস্তাকিম। ২০০৩ সালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি মারা যাওয়ার পর দোকান দেখছেন তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং শ্যালক জাভেদ হোসাইন। জাভেদ জানান, দোকানের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাকিম ছিলেন তাঁর ওস্তাদ। ৩০ বছর ধরে এই দোকানে আছেন তিনি। গরু-মুরগির চাপ-কাবারের জন্য মোস্তাকিম সুপরিচিত হলেও বর্তমানে তাঁদের কবুতরের ফ্রাই বিক্রি হচ্ছে দেদার।
দোকানের কর্মচারীরা জানান, মোস্তাকিম ভ্যারাইটিজ কাবাব অ্যান্ড স্যুপের খাবার তালিকায় বেশি বিক্রির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কবুতরের ফ্রাই। প্রতিটি বড় সাইজের কবুতর ফ্রাই ২০০ টাকা, আর ছোট সাইজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। এ ছাড়া গরু, খাসির চাপ ১৫০ থেকে ১২০ টাকা, মগজ ফ্রাই ১২০ টাকা, বটি, কাঠি, গুর্দা, ক্ষীরি কাবাব ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে রয়েছে দুই টাকা ও পাঁচ টাকার লুচি। রোজায় প্রতিদিন তাঁদের প্রায় ৫০ কেজি ময়দার লুচি বিক্রি হয়। এক কেজি ময়দায় ২০০টির মতো লুচি হয়। সে হিসাবে প্রতিদিন তাঁদের বিক্রি হয় প্রায় ১০ হাজার লুচি।
এ ছাড়া মোস্তাকিমের ইফতার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে আস্ত মুরগির রোস্ট, হালিম, দই বড়া, স্যুপ, লাচ্ছি, জালি কাবাব, জিলাপি, লাচ্ছিসহ পিয়াজি, বেগুনি, চপের মতো নিয়মিত সব আইটেম।
মোস্তাকিম ছাড়াও বিহারি ক্যাম্প এলাকার মুসলিম, মুরসালিন ও রহিম কাবাবও বেশ জনপ্রিয়। গরুর চাপ, খাসির চাপ, বটি কাবাব, ক্ষীরি, মগজ, মুরগি ফ্রাই, কলিজা, কর্ন স্যুপ, গিলা-কলিজা, লুচি এসব দোকানেই পাওয়া যায়। দামও প্রায় একই রকম।
ক্যাম্পের এই হোটেলগুলো ছাড়াও আশপাশের ফুটপাতে বাহারি ইফতারসামগ্রীর পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা। এসব জায়গায় যেকোনো আইটেমের সঙ্গে ঘুগনি মিশিয়ে খাওয়ার চল আছে বলে জানালেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। ইফতারি কিনতে আসা মোখলেছুর রহমান নামের একজন বললেন, ‘ঘুগনির সঙ্গে যাই খাইবেন, তাতেই তৃপ্তি পাইবেন। ১০০-১৫০ টাকায় পুরো পেট কাবার।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪